ইউএনও, ওসি’র ঘটনাস্থল পরিদর্শন

রামুতে মসজিদ-মাদ্রাসায় হামলার ঘটনায় থানায় অভিযোগ

ramu pic madrasa 23.09.15সোয়েব সাঈদ, রামু :
রামু উপজেলার কাউয়ারখোপ ইউনিয়নের লট উখিয়ারঘোনা খেনচরঘোনা জামে মসজিদ ও নুরানী মাদরাসায় হামলার ঘটনায় রামু থানায় লিখিত এজাহার দেয়া হয়েছে। এদিকে সৃষ্ট ঘটনার প্রেক্ষিতে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন, রামু উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. মাসুদ হোসেন, রামু থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মো. আবদুল মজিদ, রামু উপজেলা সহকারি কমিশনার (ভূমি) মো. মাহবুবল করিম ও কাউয়ারখোপ ইউপি চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা নুরুল হক। গত ২০ সেপ্টেম্বর সকালে সরেজমিন পরিদর্শন কালে প্রশাসনিক নেতৃবৃন্দ মসজিদ ও মাদরাসার কর্তৃপক্ষ এবং স্থানীয় জনতা ও বিরোধীয় ব্যক্তিদের সাথে কথা বলেন।
এসময় যাবতীয় কাগজপত্র দেখে মসজিদ-মাদরাসার জমিতে কাউকে হস্তক্ষেপ না করার জন্য অনুরোধ জানান ইউএনও মাসুদ হোসেন। তিনি আরো জানান, রামু-কক্সবাজার আসনের সংসদ সদস্য সাইমুম সরওয়ার কমল এ বিষয়টি সমাধানের উদ্যোগ নিয়েছেন। তাই বিরোধ মিমাংসা না হওয়া পর্যন্ত উভয় পক্ষকে শান্তিপূর্ণ অবস্থান বজায় রাখতে হবে।
উল্লেখ্য গত ১৭ সেপ্টেম্বর মসজিদ মাদরাসার জমিতে দেয়া ঘেরা বেড়া উপড়ে ফেলেন স্থানীয় মৃত লাল মিয়ার ছেলে ফরিদুল আলম ও ছৈয়দুল আলম, মেহের আলীর ছেলে আবদুর রহমান, ছৈয়দুল আলমের স্ত্রী হাসনুর আকতার হান্না এবং আকতার হোসেনের নেতৃত্বে একটি চক্র। পরে গত ১৯ সেপ্টেম্বর রাতে মাদরাসায় হামলা চালিয়ে প্রয়োজনীয় কাগজপত্র ও মালামাল লুট এবং ব্যাপক ভাংচুর চালায় চক্রটি। এ ঘটনায় লুট হওয়া একটি চালের ড্রাম অভিযুক্ত আকতার হোসেনের বাড়ি থেকে উদ্ধার করা হয়।
পরদিন ২০ সেপ্টেম্বর এ ঘটনায় জড়িতদেরর বিরুদ্ধে রামু থানায় লিখিত এজাহার দেন, খেনচরঘোনা জামে মসজিদের ইমাম মাওলানা মহি উদ্দিন। এতে বাদীকে হত্যা এবং মসজিদের যাবতীয় দলিলপত্র লুটের উদ্দেশ্যে অবৈধ অনুপ্রবেশ সহ লুটপাট ও ভাংচুরের অভিযোগ আনা হয়।
পরিদর্শনকালে স্থানীয় সমাজসেবক গোলাম ছোবহান, মসজিদ ও নুরানী মাদরাসা পরিচালনা কমিটির সাধারণ সম্পাদক আহমদুর রহমান, মসজিদের ইমাম মাওলানা মহি উদ্দিন, ইউপি সদস্য মো. কায়েস সহ গন্যমান্য ব্যক্তিবর্গ উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন