৫ শতাধিক ঝাউগাছ বিলীন

Jaw treeশাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:
কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতে বিভিন্ন পয়েন্টে পয়েন্টে দু’দিনের ব্যবধানে ৫ শতাধিক ঝাউগাছ সাগরে বিলীন হয়ে গেছে। সাগরের করাল গ্রাস অব্যাহত থাকায় এখনো তা অব্যাহত রয়েছে। ফলে চরম ঝুঁকির মুখে পড়েছে সৈকতের সৌন্দর্য্য রক্ষার বাহক ঝাউবাগান। তবে বনবিভাগ দাবি করছে একশ’র কিছু বেশী ঝাউগাছ বিলীন হয়েছে।
কক্সবাজার বনবিভাগের বিট কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানিয়েছেন, ঘূর্ণিঝড় ‘কোমেন’র প্রভাবে সৃষ্ট জলোচ্ছ্বাসে গত দু’দিনে সৈকতের মাদ্রাসা পয়েন্ট ও ডায়বেটিস পয়েন্ট থেকে নাজিরারটেক পয়েন্ট পর্যন্ত একশ ২০টি’র মতো ঝাউগাছ সাগরে বিলীন হয়েছে। তবে আসল চিত্র ভিন্ন!
শুক্রবার সরেজমিনে দেখা গেছে, সৈকতের ওইসব পয়েন্টে ৫শ’র বেশি ঝাউগাছ বিলীন হয়েছে। সাগরের তুমুল ঢেউ অব্যাহত থাকায় আরো বিলীন হওয়ার আশঙ্কা দেখা দিয়েছে। বিলীন হওয়া গাছগুলো দুর্বৃত্তরা চুরি করে নিয়ে যাচ্ছে।
বিট কর্মকর্তা তৌহিদুর রহমান জানান, বিলীন হওয়া ঝাউগাছ গুলো সংরক্ষণ করছে বনবিভাগ। বনবিভাগের কর্মীরা দু’দিনে অধিকাংশ গাছ সংরক্ষণ করে নিয়েছে। সংরক্ষণ অব্যাহত রয়েছে।
ঝাউগাছ রক্ষার ব্যাপারে বিট কর্মকর্তা বলেন, ‘বালিয়াড়ি ভাঙনের কারণে ঝাউগাছ সাগরে বিলীন হচ্ছে। প্রাকৃতিক উপায় ছাড়া কৃত্রিম কোন উপায় নেই ঝাউগাছ রক্ষার। একমাত্র আল্লাহই পারেন তা রক্ষা করতে।’
11805928_10204636821061778_1727157147_nকক্সবাজার পরিবেশ অধিদপ্তরের সহকারী পরিচালক সরদার শরীফুল ইসলাম বলেন, ‘ঝাউগাছ বিলীন পরিবেশ বিপর্যয়ের পাশাপাশি সৈকতের অস্থিত্বও হুমকির মুখে পড়ছে। তাই আমরা বারবার তাগিদ দিচ্ছি ঝাউবাগান রক্ষায় উদ্যোগ নিতে। কিন্তু তা আদৌ বাস্তবায়ন হচ্ছে না।’
ঝাউবাগান রক্ষার ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘বালিয়াড়ি ছাড়া ঝাউগাছ রক্ষা হবে না। কক্সবাজার সৈকতের কোথাও কোথাও প্রাকৃতিক ভাবে বালিয়াড়ি না থাকলেও কয়েকটি পয়েন্টে নষ্ট করা হয়েছে বালিয়াড়ি। এ কারণে ঝাউবাগান বিলীন হচ্ছে। ঝাউবাগান রক্ষা করতে হলে বালিয়াড়ি সৃষ্টি করতে হবে। এ প্রস্তাবটি আমরা বনবিভাগকে দিয়েছি।’


শেয়ার করুন