১ নভেম্বর থেকে সিম নিবন্ধন শুরু

biometriসিটিএন ডেস্ক:

এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের সিম নিবন্ধনের আপডেট তথ্য জানাবে মোবাইল অপারেটরগুলো। ১ নভেম্বর থেকে বায়োমেট্রিক বা আঙুলের ছাপ পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন কার্যক্রম পরীক্ষামূলকভাবে শুরু করা হবে।
গুলশানে মোবাইল অপারেটরদের সংগঠন এমটবের নিজ কার্যালয়ে বুধবার সাংবাদিক সম্মেলনে এ তথ্য জানিয়েছেন সংগঠনটির মহাসচিব টি আই এম নূরুল কবির।
নূরুল কবির জানান, অনিবন্ধিত সিম বা রিম কার্ড নিবন্ধনের আওতায় আনতে ১ নভেম্বর থেকে নিবন্ধন কার্যক্রম শুরু করা হবে। প্রাথমিকভাবে নিজ নিজ আউটলেট থেকে গ্রাহকদের এই সেবা দেবে মোবাইল অপারেটরগুলো। এ দিন থেকেই মোবাইল অপারেটরগুলোর ডাটাবেজে যেসব সিমের বিপরীতে এনআইডির (জাতীয় পরিচয়পত্র) তথ্য নেই ওইসব সিমে এসএমএসের মাধ্যমে গ্রাহকদের নিবন্ধন সম্পর্কিত আপডেট জানানো হবে। এসএমএস বাংলায় পাঠানো হবে। যাতে সব স্তরের গ্রাহকদের নিবন্ধনের বিষয়টি বুঝতে পারেন। এ ছাড়া মোবাইল অপারেটরগুলোর ওয়েবসাইটে সিম নিবন্ধন প্রক্রিয়ার তথ্য থাকবে।
১৬ ডিসেম্বর থেকে জাতীয় পর্যায়ে মোবাইল অপারেটরগুলোর নিজস্ব ও মনোনীত আউটলেট থেকে বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে বিনামূল্যে সিম নিবন্ধন করতে পারবেন গ্রাহকরা। একই সঙ্গে সিম পুনঃনিবন্ধনও করা যাবে।
নূরুল কবির আরও বলেন, ১৬ ডিসেম্বর পর থেকে বিটিআরসির সঙ্গে আলোচনা করে গ্রাহকদের সিম নিবন্ধনের সময়সীমা বেঁধে দিয়ে এসএমএস পাঠানো হবে। এ ছাড়া ভয়েস মেসেজ পাঠানো হবে। এর মাধ্যমে সিম নিবন্ধন কোথায়, কীভাবে করতে হবে তা শুনতে পারবেন গ্রাহকরা। এ সময়ের মধ্যে নিবন্ধন নিতে ব্যর্থ হলে সিম বন্ধ করে দেওয়া হবে।
লিখিত বক্তব্যে নূরুল কবির বলেন, ‘এতদিন পর্যন্ত জাতীয় ডাটাবেজে সংরক্ষিত জাতীয় পরিচয়পত্রের সঙ্গে পরিচয় মিলিয়ে দেখার সুযোগ ছিল না। ফলে অপারেটররা জাতীয় পরিচয়পত্রের তথ্যের সত্যতা যাচাই করার সুযোগ পায়নি। এর আগে ২০০৮ সালে সিম পুনঃনিবন্ধনের উদ্যোগ নেওয়া হলেও তথ্য যাচাইয়ের কোনো সুযোগ না থাকায় সেই উদ্যোগ সফল হয়নি। সরকারের স্বতঃস্ফূর্ত উদ্যোগের ফলে ১৩ সেপ্টেম্বর থেকে অপারেটরদের সিম রেজিস্ট্রেশনের তথ্যের সঙ্গে এনআইডি ডাটাবেজের তথ্য মিলিয়ে দেখে বৈধভাবে নিবন্ধিত সিম কার্ড যাচাইয়ের জন্য মোবাইল অপারেটর ও সরকার সমন্বিতভাবে কাজ করছে।’
এখনই অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হচ্ছে না
সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সিম নিবন্ধন কার্যক্রম একটি চলমান প্রক্রিয়া। যতক্ষণ পর্যন্ত এক্টিভ সব সিম নিবন্ধনের আওতায় না আসছে ততক্ষণ পর্যন্ত নিবন্ধন কার্যক্রম চলমান থাকবে। এখনই অনিবন্ধিত সিম বন্ধ হচ্ছে না। সব কার্যক্রম শেষ করার পরও যদি কোনো গ্রাহকের সিম অনিবন্ধিত থাকে তাহলে ওই সিম বন্ধ করা হবে।
অনিবন্ধিত সিম বন্ধের বিপক্ষে যুক্তি দেখিয়ে তিনি বলেন, কোনো গ্রাহক যদি উপজেলা পরিষদ থেকে নেওয়া কাগজপত্র দিয়ে সিম নিবন্ধন করেন তাহলে তাকে নিবন্ধনের জন্য সময় দেওয়া হবে। এখন শুধু এনআইডি দিয়ে নিবন্ধন দেওয়া হবে। ভবিষ্যতে পাসপোর্ট, ড্রাইভিং লাইসেন্স ছাড়াও অন্যান্য পরিচয়পত্র দিয়েও সিমের নিবন্ধন দেওয়া হবে।
ভবিষ্যতে সিম নিবন্ধনে এনআইডির (জাতীয় পরিচয়পত্র) ডাটাবেজ ব্যবহার করবে মোবাইল অপারেটরগুলো। এ জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে মোবাইল অপারেটরগুলোর সমঝোতা হয়েছে। শিগগির চুক্তি স্বাক্ষর হবে।
তিনি আরো জানান, আগামীতে মোবাইল অপারেটরগুলোর নিজস্ব ও মনোনীত এজেন্ট ছাড়া সিম নিবন্ধন করা যাবে না।
সংবাদ সম্মেলনে মোবাইল অপারেটরগুলোর কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।


শেয়ার করুন