১৮’র নিচে সিম নিবন্ধন অভিভাবকের এনআইডিতে

image_138862_0সিটিএন ডেস্ক :

সচেতন গ্রাহকদের নিজেদের সিম সঠিক ভাবে নিবন্ধন করার আহ্বান জানিয়ে ডাক ও টেলিযোগাযোগ প্রতিমন্ত্রী তারানা তারানা বলেছেন, যাদের বয়স ১৮’র নিচে তাদের সিম নেওয়ারই অনুমতি নেই। তবে যদি নিতেও হয়, তবে অভিভাবকের এনআইডির বিপরীতে সিম নিবন্ধন করতে হবে। আর ওই সিম দিয়ে কোনো অপরাধ হলে, সে দায়ও পরিচয়পত্রের মালিককেই নিতে হবে।

মঙ্গলবার সচিবালয়ে নিজ কার্যালয়ে ছয় মোবাইলফোন অপারেটরদের সঙ্গে বৈঠক শেষে এ কথা বলেন প্রতিমন্ত্রী। তিনি বলেন, সঠিকভাবে নিবন্ধন করতে হবে। এটি গ্রাহকদের জন্য সতর্কবার্তা। আগামী ১ নভেম্বর থেকে অপারেটররা প্রতিটি অপারেটর তাদের নিজ নিজ সার্ভিস সেন্টার থেকে পরীক্ষামূলকভাবে বায়োমেট্রিক্স পদ্ধতিতে সিম নিবন্ধন শুরু করবে। আর চূড়ান্তভাবে কার্যক্রম শুরু হবে ১৬ ডিসেম্বর।

বৈঠকের শুরুতেই চোখে আতঙ্কের ছাপ, কপালে দুশ্চিন্তার ভাঁজ আর ঠোঁটে শ্লেষ নিয়ে তারানা বলেন, “কেবল একটিমাত্র জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধন হয়েছে ১৪ হাজার ১১৭টি সিম! এখানেই শেষ নয়। এরকম আরও রয়েছে। আরেকটি এনআইডি’র বিপরীতে ১১ হাজার ৭২৮টি সিম নিবন্ধন হয়েছে। এগুলো সবই অবৈধ।”

এরপর একে এক তুলে ধরে দেশজুড়ে বিভিন্ন অপারেটরের মোট গ্রাহক সংখ্যা ও প্রাপ্ত ডাটা এবং সেই সঙ্গে জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে নিবন্ধনের তথ্য।

তারানা হালিম বলেন, “গ্রাহকের হাতে থাকা প্রায় ১৩ কোটি সিমের মধ্যে এক কোটির তথ্য সরকার হাতে পেয়েছে, যার ৭৫ শতাংশই ‘সঠিকভাবে নিবন্ধিত নয়।”

তিনি বলেন, “জাতীয় পরিচয়পত্রের বিপরীতে এয়ারটেল, জিপি, সিটিসেল, রবি, টেলিটক, বাংলালিংকের নিবন্ধনের চিত্র খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। ছয় অপারেটরের মাধ্যমে সিম নিবন্ধনে মাত্র ৬ হাজার ১৭৯টি পরিচয়পত্র ব্যবহার করা হয়েছে। এখন পর্যন্ত প্রায় এক কোটি গ্রাহকের নিবন্ধন যাচাই করা হয়েছে। এর মধ্যে সঠিকভাবে নিবন্ধন হয়েছে মাত্র ২৩ লাখ ৪৩ হাজার ৬৮০টি।”

বৈঠকে সকল জাল নিবন্ধিত বা অবৈধ সিম বড় ধরনের অপরাধ হতে পারে এমন শঙ্কা প্রকাশ করে সকল অপারেটরকে সতর্ক হবার নির্দেশ দেন তারানা হালিম।

তারানা হালিম বলেন, “গতকাল পর্যন্ত অপারেটররা গ্রাহকদের যে তথ্য দিয়েছে তা খুবই অপর্যাপ্ত। সব অপারেটর মিলিয়ে প্রায় ১৩ কোটি সিম আছে। এর মধ্যে মাত্র ৭ দশমিক ৬৫ শতাংশ সিমের তথ্য মিলেছে।”

তিনি জানান, অপারেটরদের মধ্যে এয়ারটেল ১৪ লাখ চার হাজার ৯৩৮ জন, বাংলালিংক ২৩ লাখ ৫৫ হাজার, সিটিসেল দিয়েছে ৪ লাখ ১৪ হাজার, রবি ১৮ লাখ এবং রাষ্ট্রায়াত্ত প্রতিষ্ঠান টেলিটক ১৬ লাখ গ্রাহকের তথ্য দিয়েছে।

আর দেশের সবচেয়ে বড় অপারেটর গ্রামীণফোন তাদের পাঁচ কোটির বেশি গ্রাহকের মধ্যে মাত্র ২২ লাখের নিবন্ধনের তথ্য দিয়েছে। এই হিসাব অনুযায়ী, গ্রামীণফোনের গ্রাহক সংখ্যার ৯৫ দশমিক ০২ শতাংশ সিমই অনিবন্ধিত।


শেয়ার করুন