হেরে গেলেন চকরিয়ার রাশেদুল

আবু তাহের ও ইউসুফের দাফন সম্পন্ন

Chakaria Picture Rasedul Islam 04-05-2015
জহিরুল ইসলাম, চকরিয়া :
দুর্বৃত্তের ছোড়াঁ পেট্রোল বোমায় অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকার মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের বার্ন ইউনিটে ত্রিশ ঘন্টা চিকিৎসাধীন অবস্থায় জীবন যুদ্ধে হেরে গেলেন চকরিয়ার আরেক স্বপ্নের কাতার যাত্রী রাশেদুল ইসলাম বাদশা (২৩)। দরিদ্র পরিবারে স্বচ্ছলতার ফিরে এনে উন্নত জীবনের আশায় রাশেদুলও স্বপ্নের কাতার যাওয়ার জন্য গত সোমবার রাতে ঢাকা যাচ্ছিলেন। বুধবার সকালে কাতারে যাওয়ার ফ্লাইট হওয়ার কথা ছিল। সে জন্য কাতার যাত্রী তিন বন্ধু মিলে হরতাল ও অবরোধের কারণে একদিন আগেই ঢাকা পৌছার জন্য ওইদিন রাতে আইকন পরিবহনে করে চকরিয়া থেকে গাড়ি উঠেন। বিমানে তুলে দেওয়ার জন্য ওইতিন জনের সাথে আরো তিন তাদের সাথে ঢাকা যাচ্ছিল। তাদের বহন করা বাসটি ওইদিন রাতেই কুমিল্লা চৌদ্দগ্রাম মিয়াবাজারে পৌছামাত্র দুবৃর্ত্তদের ছোঁড়া পেট্রোল বোমায় সাতজন নিহত হন। সেখানে রাশেদুল মারাত্মকভাবে অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢাকা মেড়িকেলের বার্ণ ইউনিয়ে চিকিৎসাধীন ছিল।
রাশেদুলের শরীরের আশি ভাগ পুড়ে যাওয়া অংশে বার্ন ইউনিটের চিকিৎসকরা সাধ্যমতো চেষ্ঠা করেও তাকে বাঁচিয়ে রাখতে পারেনি। বুধবার বিকেল ৫টা ১২মিনিটে ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে রাশেদুল মারা যান। তিনি চকরিয়া উপজেলার বরইতলী ইউনিয়নের গোবিন্দপুর গ্রামের মৃত ছৈয়দ আহমদের পুত্র। সে কৃষি কাজ করে জীবিকা নির্বাহ করতো। পরিবারে স্ত্রীসহ তার একজন ৪মাস বয়সের ও আরেকজন আড়াই বছর বয়সের দু’ছেলে সন্তানও রয়েছে।

???????????????????????????????

এদিকে কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে পেট্রল বোমায় নিহত চকরিয়া উপজেলার হারবাং ৯নং ওয়ার্ডের গাইনাকাঠা গ্রামের বাসিন্দা মৃত ছিদ্দিক আহমদের পুত্র আবু তাহের (৩৫) ও একই এলাকার ছালেহ আহমদের পুত্র ইউসুপ (৫০) এর জানাযা গতকাল তাদের স্ব-স্ব গ্রামের বাড়ি সংলগ্ন সমজিদে জানাযা শেষে দাফন করা হয়েছে। কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামের যাত্রী আইকন বাসে পেট্রল বোমা হামলায় ঘটনাস্থলে ৭জন ও ঢাকা মেডিকেল হাসপাতালে নেওয়ার পর চকরিয়া রাশেদুলসহ মোট ৮জন যাত্রী মারা গেছে। ওই নিহত ৮জনের মধ্যে ৩জনের বাড়ি কক্সবাজারের চকরিয়া উপজেলায়। নিহত আবু তাহের (৩৫) ও ইউসুপ (৫০) এ দু জনের বাড়ি হারবাং ইউনিয়নের উত্তর হারবাং গাইনাকাঠা গ্রামে ও রাশেদুলের বাড়ি বরইতলী ইউনিয়নের পহরচাদা গোবিন্দপুর গ্রামে। নিহত ৩জন যাত্রীই স্বপ্নের কাতার যাওয়ার জন্য ঢাকায় যাচ্ছিলেন।


শেয়ার করুন