উখিয়ায় খাল থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন

হুমকির মুখে পালংখালী সীমান্ত ব্রিজ

PIC UKHIYA,07,09,2015শফিক আজাদ, ষ্টাফ রিপোর্টার :

উখিয়া উপজেলার সর্বদক্ষিণে অবস্থিত ইউনিয়ন পালংখালী সীমান্ত খালের উপর নির্মিত ব্রিজটি সংঘবদ্ধ বালিখেকোদের অবৈধ বালি উত্তোলনের কারনে নীচ থেকে মাটি সরে গিয়ে দিনদিন ব্রিজটি হুমকির সম্মূখীনে উপনীত হতে চলেছে। এ নিয়ে স্থানীয় লোকজনের মাঝে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি হয়েছে। সচেতন এলাকাবাসির অভিমত, এভাবে বালি উত্তোলন অব্যাহত থাকলে যেকোন সময় ব্রিজটি ধ্বসে পড়ে কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক যোগাযোগ বন্ধের পাশাপাশি সীমান্তবাসির অপূরণীয় ক্ষতি হওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।
সরজমিন গতকাল সোমবার উপজেলার সীমান্ত ইউনিয়ন পালংখালীর অনেক দিনের পুরনো সীমান্ত ব্রিজটি ঘুরে স্থানীয় এলাকাবাসির সাথে কথা বলে জানা গেছে, ভূমি অফিসের কিছু অসাধূ কর্মকর্তার মাধ্যমে জেলা প্রশাসন থেকে নামে মাত্র লিজ নিয়ে পালংখালী এলাকার নুরুল হুদার নেতৃত্বে একটি শক্তিশালী সিন্ডিকেট কোন প্রকার নিয়মনীতি তোয়াক্কা না করে ব্রিজের পার্শ্বস্থ থেকে অবৈধ বালি উত্তোলন করে আসছে দীর্ঘ কয়েক বছর ধরে। সরকারী দলের গুটি কয়েক স্থানীয় প্রভাবশালী নেতা এ বালি উত্তোলনে জড়িত থাকায় এলাকার সচেতন লোকজন মূখ খূলে প্রতিবাদ করার সাহজ পাচ্ছেনা। যাহা ইতিপূর্বে এধরনের প্রতিবাদ করেছে, তারা কয়েকটি মিথ্যা মামলার শিকার হয়ে এলাকা ছাড়া হয়েছে বলে একাধিক ভুক্তভোগী এ প্রতিবেদককে জানিয়েছেন। নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক বয়োবৃদ্ধা জানান, বিগত ২ বছরে ব্রিজের নীচে যে ভয়াবহ অবস্থা সৃষ্টি হয়েছে, তা স্বাধীনতার ৪৪ বছরে ও আগে দেখা যায়নি। প্রতিদিন অন্তত ৪০/৫০টি ডাম্পার এবং ট্রাক উপজেলার বিভিন্ন স্থানে বালি পাচার করে থাকে এ স্থান থেকে। যার কারনে ব্রিজটি আজকে ধ্বসে পড়ার সম্মূখীন হয়েছে। এ ধরনের অভিযোগ আরো অনেকের। অভিযুক্ত নুরুল হুদার নিকট এ ব্যাপারে জানার জন্য যোগাযোগ করা হলে তিনি জানান, সরকার থেকে লিজ নিয়ে বালি উত্তোলন করা হচ্ছে। এখানে কোন প্রকার দুর্নীতি করার সুযোগ নেই। তিনি আরো বলেন, ব্রিজের অনেক দুর থেকে খালের গভীরতা জন্য বালি উত্তোলন করা হয়, সেখানে ব্রিজের ক্ষতি হওয়ার কোন সম্ভাবনা নেই।
এব্যাপারে জানতে চাইলে উখিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা হিল্লোল বিশ্বাস বলেন, সরকারী লিজ ব্যতিত বালি উত্তোলন করা হলে অবশ্যই তার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হবে।


শেয়ার করুন