হিলারি প্রেসিডেন্ট হলেই সরকারকে উৎখাত করবেন ইউনূস!

1454751669-400x266সিটিএন ডেস্ক

আগামীতে যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে হিলারি ক্লিন্টন প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হবেন, এমন অপেক্ষায় আছেন নোবেলজয়ী ও সাবেক গ্রামীন ব্যাংকের চেয়ারম্যান ড. ইউনুস। কারণ তিনি আশা করছেন হিলারি রাষ্ট্রপতি নির্বাচিত হলে বর্তমান সরকারকে আবার বেকায়দায় ফেলতে পারবেন তিনি। সোমবার সচিবালয়ে মন্ত্রিপরিষদ সভাকক্ষে অনুষ্ঠিত মন্ত্রিসভা বৈঠকের অনির্ধারিত আলোচনায় এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বৈঠকে উপস্থিত একাধিক মন্ত্রী বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক মন্ত্রিসভার একাধিক সদস্য জানান, পদ্মা সেতুর মূল কাজ পাইলিং এর উদ্বোধন শুরু করার জন্য আমন্ত্রণ জানালে প্রধানমন্ত্রী এ মন্তব্য করেছিলেন। এ বিষয়ে তিনি আরো বলেন, গ্রামীন ব্যাংককে নিজ সম্পত্তি ভাবতে শুরু করেছিলেন ড. ইউনুস।
এজন্যই তিনি এই ব্যাংকের চোরম্যানের শীর্ষ পদটি ছাড়তে চাননি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বিদ্যমান আইনের তোয়াক্কা না করে দীর্ঘ দিন একটি পদ আগলে রাখবেন এটা কি করে হয়। ১৮ বছর ব্যাংকের শীর্ষ এই পদটি তিনি ধরে রেখেছিলেন। এটাতো হতে পারেনা। এজন্য আইন আছে। নীতিমালা আছে। এরপর তাকে আলোচনার জন্য অর্থমন্ত্রণালয়ের সঙ্গে আলোচনা করার প্রস্তাব দেওয়া হয়।

তাকে গ্রামীন ব্যাংকের উপদেষ্টা নিয়োগ করারও প্রস্তাব দেওয়া হয়। এর বিপরীতে তিনি কি করলেন? উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব ফিরিয়ে দিয়ে ড. কামাল হোসেনকে নিয়ে আদালতে গেলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, সরকার তাকে আলোচনার প্রস্তাব দিল, উপদেষ্টা হওয়ার প্রস্তাব দিলে সেটা প্রত্যাখ্যান করে তিনি আদালতে গেলেন। এরপরও আদালত এ মামলায় ড. কামাল হোসেনকে অ্যামিকাস কিউরি (আদালত বন্ধু) হওয়ার প্রস্তাব দেয়। কিন্তু কামাল সাহেব সেটা না করে ইউনুসের পক্ষেই থাকলেন। বেশ কিছু দিন আগেই ৬০ বছর অতিক্রান্ত হওয়ায় আদালত ড. ইউনুসকে এ পদে থাকার জন্য অযোগ্য ঘোষণা করে। এরপর যথারীতি আদালতের নির্দেশনা অনুযায়ী মামলায় হেরে গ্রামীন ব্যাংকের শীর্ষ পদটি ছাড়তে বাধ্য হয় ড. ইউনুস। ব্যাংকের চেয়ারম্যানের শীর্ষ পদ ছাড়তে বাধ্য করে আদালত। সরকারতো তাকে এ পদ ছাড়তে বাধ্য করেনি। কিন্তু তারপরও এ ঘটনায় সরকারের ওপর তার রাগ (গোস্বা)।

এ ঘটনার প্রতিশোধ নিতে পরে ইউনুস সাহেব আমাকে তথা মহাজোট সরকারকে বিপদে ফেলতে এবং বিব্রত করতে নানা রকম চেষ্টা করতে থাকেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ড. ইউনুস ২০১১ সালে গ্রামীণ ব্যাংকের চেয়ারম্যানের পদ হারানোর পর থেকেই পদ্মা সেতুতে বিশ্বব্যাংকের অর্থায়ন বন্ধ সহ নানাভাবে সরকারকে বিপদে ফেলার চেষ্টা করে আসছেন। তিনি বলেন, বিশ্বব্যাংক টাকা না দিয়ে অহেতুক পদ্মা সেতু প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছিল সেসময়। শেষ পর্যন্ত তাদের অভিযোগ মিথ্যা প্রমাণিত হয়। প্রধানমন্ত্রী আক্ষেপ করে বলেন, এই প্রকল্প নিয়ে ব্যাপক ষড়যন্ত্র হয়েছে। আমাকে, আমার পরিবারসহ বিদেশে থাকা আমার ভাগ্না-ভাগ্নিদেরও দুর্নীতিতে জড়ানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারা আমার অর্থ বিষয়ক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান ও সাবেক যোগাযোগমন্ত্রী আবুল হোসেনকে গ্রেপ্তার করতে চাপ দিয়েছিল।

কিন্তু সে চাপের কাছে আমি নতি স্বীকার করিনি। কারণ আমি আমার কাজ ও সততা নিয়ে নিশ্চিত ছিলাম। আমার একটুও ভয় বা দুশ্চিন্তা ছিলনা। এসব করে তারা পদ্মা প্রকল্প শুরু করতে দেরি করে দিয়েছে আমাদের। নির্ধারিত সময়ে প্রকল্প শুরু হলে এতোদিনে এই পদ্মা সেতু দিয়ে জনগণ চলাচল শুরু করতে পারত। তবে ২০১৮ নালে এই প্রকল্প শেষ হওয়ার যে কথা রয়েছে, তখনই শেষ হবে। একদিনও দেরি হবে না, বরং হয়ত দু’একদিন আগে শেষ হবে পদ্মা সেতু প্রকল্প জোর দিয়ে বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ইউরো বিডি নিউজ থেকে নেয়া

বি:দ্র: পাঠকদের অবগতির জন্যে ইউরো বিডি নিউজের এ খবরটি দেয়া হলেও এর সত্যতা যাচাই করা সম্ভব হয়নি।


শেয়ার করুন