হিজরী নববর্ষকে হারিয়ে যেতে দেয়া যাবে না

Pic-02বার্তা পরিবেশক:
“অপসংস্কৃতি রুখে দাঁড়াও, সুস্থ সংস্কৃতির বিকাশ ঘটাও” এই শ্লোগানকে ধারণ করে হিজরী নববর্ষ উদযাপন পরিষদ কক্সবাজার কর্তৃক হিজরী নববর্ষ ১৪৩৭ বরণ উপলক্ষে হিজরী নববর্ষের গুরুত্ব ও তাৎপর্যের উপর আলোচনা সভা ও মনোজ্ঞ সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান হিজরী নববর্ষ উদযাপন পরিষদ কক্সবাজারের চেয়ারম্যান মুহাম্মদ আজিজুল ইসলামের সভাপতিত্বে এবং নির্বাহী সচিব এস. এম. নিয়ামত উল্লাহ মামুন ও সদস্য আবদুল মালেকের সঞ্চালনায় কক্সবাজার পাবলিক হল ময়দানে বিকাল ৪ ঘটিকা হতে অনুষ্ঠিত হয়।

অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-লেখক ও গবেষক, আহলে সুন্নাত ওয়াল জামাত সমন্বয় কমিটির মহাসচিব এডভোকেট মোছাহেব উদ্দিন বখতিয়ার। উদ্বোধক হিসেবে উপস্থিত ছিলেন-পরিষদের উপদেষ্টা হয়রতুলহাজ্ব আল্লামা সিরাজুল ইসলাম সিদ্দিকী। প্রধান অতিথি তার বক্তব্যে বলেন- হিজরী নববর্ষ নতুন কোন বিষয় নয়। কালের পরিক্রমায় তা আজ হারিয়ে যেতে বসেছে। কক্সবাজার হিজরী নববর্ষ উদযাপন পরিষদে তা আবার পুনঃ জাগরণ করেছে। এটা আমাদের সংস্কৃতির একটি অংশ। সরকার অনেক দিবস পালন করে এমন কি ডিম দিবস ও পালন করে অথচ হিজরী নববর্ষ সরকারী ভাবে পালন হচ্ছে না। আজকে এই ময়দান থেকে হিজরী নববর্ষ সরকারী ভাবে পালনের জোর দাবী জানাচ্ছি। অনেকে বলে থাকেন হিজরত মানে পলায়ন, আসলে হিজরত মানে পলায়ন নয়। এই সংস্কৃতি দেড় হাজার বছর আগের সংস্কৃতি। সম্রাট আকবর যে বাংলা সন চালু করেন তাও হিজরী নববর্ষকে কেন্দ্র করে। তাহলে আজকে যে পহেলা বৈশাখ নববর্ষ পালন করে তার আগে গোড়াপত্তন হিজরী নববর্ষের অথচ আজকে যখন স্কুল, কলেজ, কিংবা মাদ্রাসার কোন ছাত্র ও হিজরী নববর্ষ সম্পর্কে জানে না। এটা মুসলমানদের জন্য চরম দুঃখ ছাড়া আর কিছু না।

উদ্বোধকের বক্তব্যে আল্লামা সিরাজূল ইসলাম সিদ্দিকী বলেন-হিজরী নববর্ষ পালন মুসলমান সংস্কৃতির অংশ। এটা পালন মুসলমানের জন্য অত্যন্ত তাৎপর্যমন্ডিত। অনুষ্ঠানের শুরুতে স্বাগত বক্তব্য রাখেন হিজরী নববর্ষ উদযাপন পরিষদের মহাসচিব আবুল কালাম আযাদ। বিশেষ অতিথির মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাবেক অধ্যক্ষ মাওলানা ইদ্রিস, অধ্যক্ষ সৈয়দ মুহাম্মদ উল্লাহ নকশবন্দী, অধ্যাপক সালাহ উদ্দিন মুহাম্মদ খালেদ, অধ্যক্ষ শাহাদত হোসাইন আল কাদেরী, মাওলানা মনজুর আহমেদ, উপাধ্যক্ষ সালাহ উদ্দিন মুহাম্মদ তারেক, এড. একরামুল হক, মাওলানা রেজাউল করিম, মাওলানা এনাম রেজা আল কাদেরী, আজিজুল হক আজিজ, কমিশনার মিজানুর রহমান, রবিউল হাসান, আলাউদ্দিন, সাজ্জাদ হোসেন, মুহতাসিম বিল্লা হেলালী, মুজিব উল্লাহ প্রমুখ। আলোচনা সভা ও ইসলামী সংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে রামু, মহেশখালী, উখিয়া-টেকনাফ, পেকুয়া, চকরিয়া থেকে হাজার হাজার লোক অনুষ্ঠানে উপস্থিত হয়ে পাবলিক হল ময়দানকে লোকে লোকারণ্যে পরিণত হয়। পরে আল হাসান ইসলামী সাংস্কৃতিক ফোরামের পরিবেশনায় মনোজ্ঞ ইসলামী সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। তাদের পরিবেশনায় ছিল হাম্দ, নাতে রাসুল (দঃ), কাউয়ালী, মরমী এবং দেশাতœবোধক সংগীত। তারা তাদের পরিবেশনায় দেশে প্রচলিত যাবতীয় অপসংস্কৃতির কথা সুরে সুরে কক্সবাজারবাসীকে জানান। অনুষ্টানের শেষে চেয়ারম্যান আগত সকলকে ধন্যবাদ ও মোবারকবাদ জানান এবং মিলাত-ক্বিয়াম ও মুনাজাতের মাধ্যমে অনুষ্ঠান সমাপ্ত হয়।


শেয়ার করুন