হাসতে হাসতে জান্নাতে যাবেন যিনি

অন্যায় অপরাধে মনে জঙ ধরে। মরে যায় অন্তর। মরা দিল জিন্দা হয় আল্লাহর জিকিরে। দূর হয় মনের জঙ। অন্তর পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন হয় আল্লাহর জিকিরে। কোরান শরিফে আল্লাহ বলেন, আল্লাহর জিকিরের মাধ্যমে মন শীতল হয়, প্রশান্তি বাড়ে। আব্দুল্লাহ বিন আমর সূত্রে রাসূল সা. বলেন, সব বস্তুর গায়েই ময়লা ধরে। অন্তরের ময়লা পরিষ্কারের প্রধান অবলম্বন আল্লাহর জিকির। (ইবনে আবি“ুনিয়া)
অন্যত্র রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি আল্লাহর জিকির করে তার হৃদয় সজীব ও সতেজ থাকে, যে জিকির করে না তার হৃদয় মরে মরুভূমি হয়ে যায়। (বুখারি)
রোজার মাস ইবাদতের বসন্ত কাল। জিকির ও ধ্যানে কাটানোর মাস। গোনাহ থেকে পবিত্র হয়ে মন সজীব রাখার মাস। রাসুল সা. বলেন, যে ব্যক্তি জিকিরের মাধ্যমে জিহ্বাকে তাজা রাখবে, কেয়ামতের মাঠে হাসতে হাসতে সে জান্নাতে প্রবেশ করবে। (বায়হাকি)
আল্লাহ হাদিসে কুদসিতে বলেন, আমি আল্লাহ ততক্ষণ বান্দার খুব কাছে থাকি, যখন সে ঠোঁট নাড়িয়ে আমার জিকির করে। (আহমদ)
দায়লামি শরিফে হজরত আবু হুরায়রা সূত্রে বর্ণিত, কেয়ামতের মাঠে আল্লাহ কোনো এক গাছের দিকে ইঙ্গিত করে বলবেন, আমার ওই সকল বান্দাদেরকে প্রেমময় ছন্দ-সুরে মুগ্ধ করো, যারা পৃথিবীতে আমার জিকিরে মগ্ন হয়ে গান-বাদ্য থেকে দূরে রয়েছে। আজ জিকিরকারীরা এমন সুর তরঙ্গে নেচে উঠবেন পৃথিবীতে কোনো প্রাণী কোনোদিন তা অনুভব করেনি।
পুরো রোজার মাসে মুমিন বান্দা জিকিরের রুটিন করে নিবে। সুযোগ সন্ধানে থাকবে জিকিরের। আল্লাহ বলেন, হে ইমানদারগণ তোমরা অধিক হারে আল্লাহর জিকির করো। সকাল-সন্ধ্যায় আমার তাসবিহ পাঠ করো। (আহযাব ৪১-৪২)
কোন জিকির আল্লাহর কাছে প্রিয়, আমরা কোন জিকির বেশি করে পাঠ করবোÑ সাহাবি সামুরাহ ইবনে জুন্দুল রা. বলেন, রাসুল সা. বলেছেন, সুবহানাল্লাহ, আল হামদুলিল্লাহ, লা-ইলাহা ইল্লাহ ও আল্লাহু আকবার এই চারটি জিকির আল্লাহর কাছে অধিকতর পছন্দের। (মুসলিম শরিফ)
এ ছাড়াও হাদিসে আয়াতুল কুরসি, সাইয়েদুল ইস্তেগফার, সোবহানাল্লাহি ওয়াবিহামদিহি সোবহানাল্লাহিল আজিম ইত্যাদি কথা আছে।
ইবাদতের এই মৌসুমে আমরা আল্লাহর জিকিরে মন সজীব রাখি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দিন।