শিক্ষক নিয়োগ

হলে ঢুকে প্রশ্নের ছবি তোলার চেষ্টা ছাত্রলীগ নেতার

Noman-Chy-CTGচট্টগ্রামে প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগ পরীক্ষার কেন্দ্রে ঢুকে মোবাইল ফোনে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার চেষ্টার পর কয়েকজন শিক্ষককে লাঞ্চিত করেছেন নগর ছাত্রলীগের এক নেতা।

শুক্রবার সকাল ১০টায় পরীক্ষা শুরুর আধা ঘণ্টা পর নগরীর সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রের দক্ষিণ ভবনের একটি কক্ষে এ ঘটনা ঘটান নগর ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি নোমান চৌধুরী।

এ সময় তাকে বাধা দিতে গিয়ে কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত জেলা প্রশাসনের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামও দুর্ব্যবহারের শিকার হন। পরে চট্টগ্রামের জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন, পুলিশ ও র‌্যাব সদস্যরা গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন।

প্রত্যক্ষদর্শী কয়েকজন শিক্ষক বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, ওই ছাত্রলীগ নেতা গেইটে পুলিশের বাধা ডিঙিয়ে জোর করে কেন্দ্রে প্রবেশ করেন। এরপর দক্ষিণ ভবনের নিচতলার একটি কক্ষে গিয়ে প্রশ্নপত্রের ছবি তোলার চেষ্টা করলে শিক্ষকরা তাকে বাধা দেন।

জেলা প্রশাসক মেজবাহ উদ্দিন বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “নোমান চৌধুরী নামের ওই ছাত্রলীগ নেতা জোর করে কেন্দ্রে ঢুকেছিল। সে প্রশ্নপত্রের ছবি তুললে শিক্ষকরা তা কেড়ে নেন।”

ম্যাজিস্ট্রেট সাইফুল ইসলামকে পাঠানো হলে তার সঙ্গে নোমান ‘খারাপ আচরণ করেন’ মন্তব্য করে জেলা প্রশাসক বলেন, “বিষয়টি জানার পর ঘটনাস্থলে বিপুল সংখ্যক পুলিশ ও র‌্যাব পাঠানো হয়। আমি নিজেও ঘটনাস্থলে যাই।”

ওই ছাত্রলীগ নেতা সিটি কলেজের অধ্যক্ষ আবদুল হামিদের সঙ্গেও দুর্ব্যবহার করেছেন বলে জেলা প্রশাসক জানান।

অধ্যক্ষ হামিদ বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “এক ছাত্র কলেজে প্রবেশ করে রুমে গিয়ে ছবি তোলার চেষ্টা করে। তাকে বাধা দিলে সে দায়িত্বরতদের সঙ্গে খারাপ ব্যবহার করে। পরে তার সঙ্গে আরও কিছু ছেলে জড়ো হয়েছিল।”

এ বিষয়ে দৃষ্টি আকর্ষণ করলে চট্টগ্রাম নগর ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক নুরুল আজিম রনি বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকমকে বলেন, “আমরা ঘটনাটি জেনেছি। ছাত্রলীগের পক্ষ থেকে একটি তদন্ত কমিটি করা হচ্ছে। অভিযোগ প্রমাণিত হলে নোমান চৌধুরীর বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

ওই ঘটনার পর সরকারি সিটি কলেজ কেন্দ্রে আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতিতে নির্বিঘ্নেই পরীক্ষা শেষ হয় বলে জেলা প্রশাসক জানান।

তিনি বলেন, “যে মোবাইল ফোন দিয়ে ছবি তোলা হয়েছে, সেটি জব্দ করে সদরঘাট থানার ওসির কাছে জমা দেওয়া হয়েছে। তাকে তদন্ত করে ব্যবস্থা নিতে বলা হয়েছে।”

প্রাক-প্রাথমিকে শিক্ষক নিয়োগে চতুর্থ ও শেষ ধাপে শুক্রবার চট্টগ্রামসহ ১৭ জেলায় এই পরীক্ষা হয়। প্রশ্নফাঁস ঠেকাতে এবার পরীক্ষা শুরুর আগে আগে প্রশ্ন ছাপিয়ে হলে পাঠানো হয়েছে।

–বিডিনিউজ টোয়েন্টিফোর ডটকম


শেয়ার করুন