হলদিয়ায় ইউপি নির্বাচনে কারচুপি নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করলেন যুবলীগ নেতা

Sajuবিশেষ প্রতিবেদক : শেষ দফার ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন শেষে উখিয়ার হলদিয়াপালং ইউনিয়নের ফলাফল নিয়ে শুরু থেকেই ব্যাপক আলোচনা সমালোচনা চলছে। এই ইউনিয়নের আওয়ামীলীগ প্রার্থি অধ্যক্ষ শাহা আলমের ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতির বিষয়ে বিভিন্ন সংবাদ মাধ্যম ও সামাজিক গনযোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে তোলপাড় সৃষ্টি হয়েছে। হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনটি যারাই নিজ চোক্ষে দেখেছেন তারা সবাই ফেসবুতে তাদের প্রতিক্রিয়ার কথা জানিয়েছেন।

তবে আশ্চর্যের বিষয় হলেও সত্যি যে অবশেষে হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচন নিয়ে দুঃখ প্রকাশ করেছে যুবলীগ নেতা শাহাজান সাজু। ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে আওয়ামীলীগ প্রার্থি অধ্যক্ষ শাহা আলমের ব্যাপক কারচুপি ও ভোট ডাকাতির অন্যতম সহযোগী ছিলেন এই শাহাজান সাজু। জনগনের ভোটাধিকার ও রায় ছিনিয়ে নেয়ার অন্যতম খলনায়ক এই যুবলীগ নেতাকে নিজ এলাকায় (৬নং ওয়ার্ড) অবাঞ্চিত করে হাজার হাজার সাধারন ভোটার। এর পরথেকেই জনরোশের ভয়ে নিজ এলাকা মরিচ্যায় যাচ্ছেননা সাজু। জনরোশানল থেকে বাচার জন্য সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেইসবুকে প্রকাশ্যে ক্ষমা চান এই যুবলীগ নেতা। শাহাজান সাজু তার ফেইসবুকে স্ট্যাটাসে লিখেছেন ” সদ্য সমাপ্ত হলদিয়াপালং ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে নৌকার প্রার্থীকে বিজয়ী করতে গিয়ে আমার কারণে মনের অজান্তে যদি কেউ কষ্ট পেয়ে থাকেন তাহলে আমি আন্তরিক ভাবে দুঃখ প্রকাশ করছি।” সাজুর এই স্ট্যাটাসে ব্যাপক প্রতিক্রিয়া দেখিয়েছে হলদিয়ার সাধারন মানুষ। তারা বলেছেন জনগনের ভোটাধিকার কেড়ে নিয়ে জালিয়াতির মাধ্যমে শাহ আলমকে বিজয়ী করা হয়েছে। এই জুলুমের বিচার আল্লাহ করবে। আবার অনেকেই বলছে, এই শাহজান সাজু গতবারও জামবাগান (৬ নং ওয়ার্ড) কেন্দ্রে ভোট কারচুপি বরে সেইবারও ফলাফল জালিয়াতি করেছিলো। উল্লেখ্য শেষ দফা ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে, উখিয়া হলদিয়ায় সবচেয়ে ভয়াবহ ভোট কারচুপি হয়। আওয়ামীলীগের প্রার্থিকে জয়ি করার জন্য গোপনে ব্যালট বক্সে ভোট ডুকিয়ে দেয়া হয়। ভোট গ্রহন শেষে প্রিসাইডিং অফিসার ও কক্সবাজারের অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক শিক্ষার সহযোগিতায় শাহাজান সাজুর নেতৃত্বে ৪ নং ওয়ার্ড পাতাবাড়ি কেন্দ্রে ভোট কারচুপি করে আওয়ামীলীগের প্রার্থিকে বিজয়ী ঘোষনা করা হয়।


শেয়ার করুন