হজের সফরে অবশ্যই স্বরণ রাখুন!

hajj1-400x266সিটিএন ডেস্ক:

বছর ঘুরে আবারও এলো হজের মৌসুম। লাব্বাইক ধ্বনির গুঞ্জনে মুখরিত হয়ে উঠেছে গোটা বিশ্ব। দু’খ- কাপড় পরে পাগল প্রেমিকদের মিছিলে ছুটছে হেজাজের পানে। অযুত কণ্ঠের লাব্বাইক ধ্বনিতে জেগে উঠছে মুসলিম জনপদগুলো।
মহান আল্লাহ বলেন, ‘হজের কিছু নির্দিষ্ট মাস রয়েছে।’ সুরা বাকারা : ১৯৭। আর হজের এই নির্দিষ্ট মাসগুলো হলো, শাওয়াল, জিলকদ, জিলহজ। বরাবরের ন্যায় এবারও আমদের দেশ থেকে বিরাট কাফেলা ছুটবে এ পূণ্য যাত্রায়।
হজের সফরের একটি বিশেষ স্বরণীয় বিষয় হল সহনশীলতা। যে কোন সফর বা ভ্রমণে ক্লান্তি ও অবসাদ মানুষের সহজাত সঙ্গী। ভ্রমণে মানুষ ক্লান্ত হয়। আর হজের সময় জনবাহুল্যের কারণে কষ্টের মাত্রাটা একটু বেশিই থাকে। তার ওপর আরবের আবহাওয়ার রুক্ষতাও মন মেজাজে কিছুটা প্রভাব বিস্তার করে। আর তাই, দেশের মাটিতে বিনয় ন¤্রতার প্রবাদ প্রতিম ব্যক্তিটির আচরণেও সেখানে দেখা দেয় বিপত্তি। তাই অনেক হজ কাফেলাতেই নানা তুচ্ছ বিষয়কে কেন্দ্র করে তুলকালাম অবস্থার সৃষ্টি হয়।
এ বিষয়ে আমরা মহানবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লামের একটি হাদিস স্বরণ করতে পারি। তিনি বলেছেন, যে ব্যক্তি হজ করল, আর হজের মাঝে কোনো অশ্লীল কথা বলল না বা পাপ কাজে লিপ্ত হলো না, সে এমন নিষ্পাপ হয়ে ফিরল যেমনটি সে পৃথিবীতে ভূমিষ্ঠ হওয়ার দিন ছিল। বুখারী শরীফ
তাই হজের মাঝে কোন মন্দ কথা বা কাজ গোটা হজের উপরই প্রভাব ফেলতে পারে। বিনষ্ট হতে পারে এত কষ্টের অর্জিত সাওয়াব। তাই অত্যন্ত সংযম, সহনশীলতা ও সচেতনতার সাথে যে কোনো অনাকাক্ষিত পরিস্থিতির মোকাবেলা করতে হবে। তবেই সার্থক হবে এতো কষ্ট ও শ্রম। আল্লাহ তায়ালা তাওফিক দান করুন।


শেয়ার করুন