উখিয়ায় জোড়াতালি দিয়ে সড়ক সংস্কারে ব্যস্ত সওজ শ্রমিক

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী আসলেন তাই…..

SAMSUNG CAMERA PICTURES

শফিক আজাদ, স্টাফ রিপোর্টার :

সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপির উখিয়ার ঘুমধুমস্থ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পরিদর্শনকে সামনে রেখে কক্সবাজার থেকে উখিয়া পর্যন্ত খানা খন্দকে পরিপূর্ণ সড়ক সংস্কারে ব্যস্ত দিন পার করলেন সড়ক ও জনপদ বিভাগের শ্রমিকেরা। গত শনিবার দুপুর ১২টার দিকে মন্ত্রী সীমান্ত এলাকা ঘুরে উখিয়া ত্যাগ করার পরপরই সড়কের সেই পুরনো চেহারা আবারো ভেসে উঠার ঘটনা নিয়ে সড়ক ও জনপদ বিভাগের প্রতি বিরুপ মন্তব্য করে অনেকেই বললেন, মন্ত্রী আবার কবে আসবেন।

উপজেলা ভিত্তিক বিভিন্ন যানবাহন শ্রমিক সংগঠনের নেতৃবৃন্দের অভিযোগ, কক্সবাজার-টেকনাফ ৭৯ কিলোমিটার সড়কটি দেশের অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রেখে আসছে। যেহেতু এ সড়কপথে বাণিজ্য চুক্তির আওতায় টেকনাফ বন্দর দিয়ে আসা কোটি কোটি টাকার মালামাল দেশের বিভিন্ন স্থানে চালান হচ্ছে। পাশাপাশি টেকনাফের সেন্টমার্টিন ও উখিয়ার ইনানী বীচের নৈস্বর্গিক সৌন্দর্য্য উপভোগ করতে এখানে ছুটে আসছে প্রতিনিয়ত হাজারো দেশি-বিদেশি পর্যটক। এ খাতে সরকার বিপুল পরিমাণ রাজস্ব আদায় সহ অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি অর্জন করতে সক্ষম হলেও সড়ক সংস্কারে তেমন কোন উদ্যোগ নিচ্ছে না সংশ্লিষ্ট বিভাগ।

গত শনিবার সকাল ১০টার দিকে সড়ক ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের এমপি সীমান্তের ঘুমধুমস্থ বাংলাদেশ-মিয়ানমার মৈত্রী সড়ক পরিদর্শনে আসেন। তার পরিদর্শনকে সামনে রেখে সড়ক ও জনপদ বিভাগ শুক্রবার থেকে শনিবার সকাল পর্যন্ত উখিয়া-কক্সবাজার সড়কপথের বিভিন্ন স্থানে খানা খন্দকে একাকার সড়কটি জোড়াতালি দিয়ে সংস্কার করতে দেখা গেছে। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, খানা খন্দকে কংক্রিট দিয়ে তার উপরে বালি ছিটিয়ে বিটুমিনের প্রলেপ মন্ত্রী যেতে না যেতেই উঠে যাচ্ছে। এ ব্যাপারে জানতে চাওয়া হলে সড়ক ও জনপদ বিভাগের নির্বাহী প্রকৌশলী রানা প্রিয় বড়ুয়া জানান, কক্সবাজার-টেকনাফ সড়ক ও কয়েকটি কালভার্ট নির্মাণের জন্য বরাদ্ধ চাওয়া হয়েছে। অর্থ পেলেই সড়ক সংস্কার ও ঝুকিপূর্ণ কালভার্ট ব্রিজগুলো নির্মাণের কাজ শুরু করা হবে।

শফিক আজাদ


শেয়ার করুন