স্বপ্নের সেন্টমার্টিন: মন জুড়াবে পাথুরে সৈকত

st-1

শাহেদ ইমরান মিজান, সেন্টমার্টিন থেকে ফিরে:
সেন্টমার্টিন পাথুর ঘেরা একটি দ্বীপ। দ্বীপের আশপাশ ছাড়িয়ে গভীর সমুদ্রে পর্যন্ত পাথরের রাজত্ব। জনশ্রুতি রয়েছে, সেন্টমার্টিনে রয়েছে জীবন্ত পাথর। পাথরের কারণে নৌ-রুটের জাহাজ ও বোটগুলোকে খুব সাবধানে চলাচল করতে হয়। না হয় পাথরে লাগলেই সব শেষ! এরকম অনেক দুর্ঘটনা ঘটেছে। অনেক ক্ষেত্রে ‘পথের কাটা’ হলেও এইসব পাথরই সেন্টমার্টিনকে দান করেছে অনন্য সৌন্দর্য্য। দ্বীপের চারপাশের সৈকত জুড়ে দেখা মিলে পাথর আর পাথর। ছোট-বড় নানা আকারের রকমারি পাথরের অস্থিত্ব সেন্টমার্টিনজুড়ে। সেন্টমার্টিনে আকষর্ণীয় অনেক উপসঙ্গের মধ্যে অন্যতম পাথরের চাঁদর বিছানো অপূর্ব মনোরম সৈকত। সেন্টমার্টিনের অঙ্গাংশ ছেঁড়াদ্বীপেই দেখা মেলে সব থেকে মনোহরী পাথরের। সেখানকার একেকটি পাথরকে মনে হবে একেকটি দানব। প্রকৃতি প্রদত্ত নানা আকার-আকৃতির চোখ জুড়ানো পাথরগুলো যেকোনো প্রকৃতিপ্রেমীকে বিমোহিত করে তুলবে নিমিশেই। সেন্টমার্টিন ও তার ‘ছানা’ ছেঁড়াদ্বীপের পর্যটক গমনোপযোগী অনেক বড় পাথুরে সৈকত রয়েছে।

ছেঁড়াদ্বীপ

ছেঁড়াদ্বীপ

পাথরকে সঙ্গী করে সেখানে মনের হরষে অনায়সে ঘুরে বেড়াতে পারেন। পাথরের উপর ঘুরে বেড়ানো এক অন্যতম শিহরণ। এ পাথর থেকে ও পাথরে লাফিয়ে বেড়ানো সেকি কম আনন্দ! তবে সাবধান অনেক ক্ষেত্রে প্রায় সব পাথরে ধারালো অঙ্গ। এতে লেগে গেলেই শেষ! পাথরের ধারালো মুখে পড়ে কেটে যেতে পারে পা। এতে ভ্রমণ আনন্দটাই মাটি হয়ে যেতে পারে। পাথরের উপর দাঁড়িয়ে ছবি তোলা সেন্টমার্টিন ভ্রমণের অনেক আনন্দয়ক একটি অংশ। তাই ক্যামেরা বা ক্যামেরাবিহীন মুঠোফোন ছাড়া সৈকতে গেলেই আপনার জীবনের সুন্দর মুহূর্তটা স্মৃতির ঝাঁপিতে আর জমা হলো না। এতে আফসোস করা ছাড়া কোন উপায় থাকবে না। এই আফসোসটা হয়তো আপনাকে অনেক দিনও ভোগাতে পারে।


শেয়ার করুন