স্কটিশদের উড়িয়ে কোয়ার্টারে বাংলাদেশ

u-19-world-cup_100480সিটিএন ডেস্ক

যুব বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচেও দাপুটে জয় পেয়েছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। নাজমুল হোসেন শান্তর বিশ্বরেকর্ডে ২৫৬ রান সংগ্রহ করার পর, স্কটিশদের মিরাজ বাহিনী আটকে দেয় ১৪২ রানে। ১১৪ রানের এই জয়ে যুবাদের সুপার লিগ কোয়ার্টার ফাইনাল নিশ্চিত হয়ে গেল। প্রথম ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়ন দক্ষিণ আফ্রিকাকে উড়িয়ে দেয় লাল-সবুজের প্রতিনিধিরা।

এদিন টস হেরে ব্যাট করতে নামার পর পিনাক ঘোষ-জয়রাজ শেখ দ্রুত ফিরে গেলে প্রতিরোধ গড়েন সাইফ হাসান এবং শান্ত। সাইফ এক রানের জন্য অর্ধশতক মিস করলেও ভিত গড়ে দিয়ে যান। তার সঙ্গী শান্ত ঠিকই অর্ধশতক তুলে নেন। সেই সঙ্গে তিনি যুব ক্রিকেটের ওয়ানডে ইতিহাসে ঐতিহাসিক এক রেকর্ড করে বাংলাদেশের নাম উজ্জ্বল করেন। শান্ত এখন ব্যক্তিগত সর্বোচ্চ রানের মালিক। ছোটদের ওয়ানডে ক্রিকেটে রবিবার ১৬৩৪ রান নিয়ে ব্যাটিংয়ে নামেন শান্ত। তার উপরে ছিলেন পাকিস্তানের সামি আসলাম। তিনি ৪০ ম্যাচ খেলে ৬ সেঞ্চুরি ও ১০ হাফ-সেঞ্চুরিতে করেছেন ১৬৯৫ রান।

এদিন ১১২ বলে শতক তুলে নেন শান্ত। প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটেও তার একটা শতক আছে। রবিবার কক্সবাজারে দলীয় ১৭ রানের মাথায় দ্বিতীয় উইকেটের পতন ঘটলে ক্রিজে আসেন তিনি। সাইফের সঙ্গে ১০১ রানের জুটি গড়ার পর অধিনায়ক মিরাজকে নিয়ে দলীয় স্কোর ২১৮ পর্যন্ত টেনে নিয়ে যান। শতকে পৌছাতে চার মারেন আটটি। পরে আরো দুটি। ঝুঁকিপূর্ণ শট এড়ানোর জন্য ছয় মারা থেকে নিজেকে বিরত রাখেন। অর্ধশতক পূরণ করার পরপর মিরাজও (৫১) সাজঘরের পথ ধরেন। মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও (৩) দ্রুত ফিরে যান। সাঈদ সরকার ছোটো খাটো একটা ঝড় তুলে মিলিয়ে যান, ৬ বলে ১৬। শুধু শান্তকে টলাতে পারেনি স্কটিশরা। শেষ পর্যন্ত ১১৩ রানে অপরাজিত থাকেন তিনি।

জবাব দিতে নেমে স্কটিশরা শুরুটা ভালো করলেও ধীরে-ধীরে চাপে পড়তে থাকে। স্কটল্যান্ড প্রথম উইকেট হারায় দলীয় ৪৮ রানের মাথায়। অধিনায়ক মিরাজের বলে শান্তর হাতে ধরা পড়েন ফ্লাক (২৮)। এরপর আর আট রান যোগ করতে না করতে আরো দুইজন সাজঘরে ফেরেন।

অবৈধ বোলিংয়ের অভিযোগে নিষিদ্ধ সঞ্জিত সাহার পরিবর্তে এদিন একাদশে সুযোগ পান আরিফুল ইসলাম জনি। সুযোগ কাজে লাগিয়েছেন জাতীয় দলের ক্রিকেটার জুবায়ের হোসেন লিখনের এই বন্ধু। ১০ ওভার বল করে ২৮ রান দিয়ে দুই উইকেট নেন। সালেহ আহমেদ শাওনও নিজের স্বাভাবিক ছন্দ ধরে রাখেন। ১০ ওভার হাত ঘুরিয়ে ২৭ রানের বিনিময়ে ৩ উইকেট পেয়েছেন তিনি। তিন উইকেট পেয়েছেন মোহাম্মদ সাইফুদ্দিনও। ৭.২ ওভার বল করে ১৭ রান খরচ করেন এই তরুণ।


শেয়ার করুন