সৌদি-ইরান যুদ্ধ কি লেগেই যাচ্ছে !

ইয়েমেনে হুথি সম্প্রদায়ের উপর সৌদি জোটের হামলার পরপরই বিষয়টি আলোচনায় উঠেছে। এরপর ইরানের ওমরা ফ্লাইটে দুই কিশোর যৌন হেনস্থার শিকার হন সৌদি আরবে যেয়ে। এ নিয়ে ইরানের রাস্তায় এখন হাজার হাজার মানুষ এ ঘটনার বিচারের দাবিতে প্রতিবাদ করেছেন।
ইরান শুরু থেকেই সৌদি আরবকে ইয়েমেনে হামলার জন্যে দোষারোপ করে আসছিল। কিন্তু সৌদি আরব তাতে কান দেয়নি। পশ্চিমা দেশ থেকে শুরু করে অনেক আরব দেশ সৌদি আরবের পাশে রয়েছে।
জাতিসংঘ ইয়েমেনে হুদি যোদ্ধাদের অস্ত্র দেয়ার বিরুদ্ধে উদ্যোগ নিলেও এপর্যন্ত সৌদি আরবের জঙ্গি বিমান থেকে বোমা বর্ষণে আড়াই হাজার মানুষ মারা গেলে তার নিন্দা বা এধরনের বিমান হামলার কোনো নিন্দা জানায়নি। সম্প্রতি ইরানের পক্ষ থেকে কূটনৈতিক চাপ বেড়ে যাওয়ায় বিষয়টি এড়াতে পারছে না সৌদি সরকার। রোববার এক বিবৃতিতে সৌদি সরকার বলেছে, আমাদের যুদ্ধ ইরানের সঙ্গে নয়।
বিশ্লেষকরা বলছেন, এই বিবৃতিতে ভীতির ছাপ লক্ষ্য করা গেছে। বিশেষ করে পারমানবিক ক্ষমতাধর ইরান এখন বিশ্বের ক্ষমতাসীনদের কাতারে অবস্থান করছে। অল্প কদিন হলো আমেরিকার সঙ্গে ইরানের সফল পরমানু চুক্তি সম্পন্ন হয়েছে। এ অবস্থায় ইরানের বিপক্ষে দাঁড়ানো সৌদি আরকের জন্য কষ্টকর বলেই মানছেন বিশ্লেষকরা।
এদিকে ইরান ঘোষণা দিয়েছে দুই কিশোরের উপর যৌন নির্যাতনের তদন্ত ও বিচার করা না হলে কোনো ওমরার ফ্লাইট তেহরান থেকে পাঠানো হবে না। ইরানের সংস্কৃতি মন্ত্রী আলী জান্নাতি হজ সংস্থাকে বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
গত ২৬ মার্চ থেকে ইয়েমেনে সৌদি হামলা শুরুর পর এ পর্যন্ত বাড়ি ছাড়তে হয়েছে হাজারো পরিবারকে। ইয়েমেনের এডেনসহ কয়েকটি শহর এখন ভূতুরে নগরী। ইরান হামলার শুরু থেকেই সৌদিকে চরম মূল্য দিতে হবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। সেই হুমকি অবশ্য আমলে আনেনি সৌদি। কারণ তার সমর্থক হিসেবে যেখানে দুই শক্তিশালী পরাশক্তি আমেরিকা আর ইসরায়েল রয়েছে সেখানে ইরান তো চুনোপুঁটি।
তবে সাম্প্রতিক বিশ্লেষণে ধারণা করা হচ্ছে ইরান সৌদি সম্ভাব্য সংকটে ইসরায়েল বিনা দ্বিধায় সৌদিকে সমর্থন দিলেও আমেরিকা কোন দিকে যাবে সেটা নিয়ে সংশয় তৈরি হয়েছে। কারণ আমেরিকার কাছে এখন সৌদি ইরান দুই কুল রক্ষাই গুরুত্বপূর্ণ।


শেয়ার করুন