সৈকতে ঝাউবন মারাত্মক ক্ষতিকর

ডেস্ক নিউজঃ

কক্সবাজারে সমুদ্রতীরে গড়ে তোলা ঝাউবন পরিবেশের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর। এ কারণে বন বিভাগ সিদ্ধান্ত নিয়েছে এখন থেকে সমুদ্রতীরে ঝাউগাছ আর রোপণ করা হবে না।

সোমবার কক্সবাজার শহরের একটি হোটেলে বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা কোডেক আয়োজিত কর্মশালায় চট্টগ্রাম উপকূলীয় বন বিভাগের কর্মকর্তা আব্দুর রহমান এ কথা বলেন।

বিভাগীয় কর্মকর্তা আব্দুর রহমান বলেন, ঝাউগাছের কারণে সৈকতে ভাঙন সৃষ্টি হচ্ছে, সাগর থেকে কাছিম কূলে এসে ডিম ছাড়তে পারে না ঝাউগাছের প্রতিবন্ধকতার কারণে। এ ছাড়া ঝাউগাছের ছায়ার কারণে বালিয়াড়ি ধরে রাখতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালনকারী সাগরলতা মরে যাচ্ছে। নিজেদের ভুল স্বীকার করে বন কর্মকর্তা বলেন, ক্ষতির বিষয়টি না জেনে ১৯৭৫ সাল থেকে কক্সবাজার সমুদ্রসৈকত ও সোনাদিয়া দ্বীপে ঝাউগাছ রোপণ করে আসছে বন বিভাগ।

বিপন্নপ্রায় সামুদ্রিক কাছিম সংরক্ষণে পরিচালিত জরিপের অবহিতকরণবিষয়ক এ কর্মশালায় বক্তব্য দেন চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণিবিদ্যা বিভাগের অধ্যাপক ফরিদ আহসান, সামুদ্রিক বিজ্ঞান ইনস্টিটিউটের সহকারী অধ্যাপক নেসারুল হক, কক্সবাজার দক্ষিণ বন বিভাগের বিভাগীয় কর্মকর্তা সারোয়ার আলম, চট্টগ্রাম বন্যপ্রাণী ও প্রাকৃতিক সম্পদ সংরক্ষণ বিভাগীয় বন কর্মকর্তা রফিকুল ইসলাম চৌধুরী, কক্সবাজার উত্তর বন বিভাগের সহকারী বন সংরক্ষক প্রাণতোশ রায়, বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা ক্যারিনাম বাংলাদেশের প্রধান নির্বাহী ড. এসএমএ রশিদ, কক্সবাজার জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বদরুজ্জামান, সমুদ্র গবেষণা ইনস্টিটিউটের বৈজ্ঞানিক কর্মকর্তা আবু সাঈদ মো. শরীফ এবং কোডেকের প্রকল্প পরিচালক শীতল কুমার নাথ।

সভায় জানানো হয়, কোডেকের নেচার অ্যান্ড লাইফ প্রকল্পের উদ্যোগে ২০০০ থেকে ২০২২ সাল পর্যন্ত কক্সবাজার সমুদ্রসৈকতে ৪৩ হাজার ৩৫টি কাছিমের ডিম সংগ্রহ করা হয়েছে। ৩৬ হাজার ৪১৯টি কাছিমের বাচ্চা সাগরে অবমুক্ত করা হয়েছে।


শেয়ার করুন