সৈকতে ঘোষণা না দিয়ে বীচ কার্নিভাল বন্ধ

20160709_123201-640x385-575x323সিটিএন ডেস্ক :

ঘোষণা না দিয়ে তথাকথিত বীচ কার্নিভাল বন্ধ করে দেয়ায় হতাশ পর্যটক এবং দর্শনার্থীরা। ফলে আয়োজকদের প্রতারণায় ঈদ আনন্দে ছেদ পড়ে সাগর পাড়ের লক্ষাধিক পর্যটক এবং স্থানীয় দর্শণার্থীদের মাঝে। অনেকে আয়োজক কমিটির এহেন সিদ্ধান্তকে প্রতারণা বলে আখ্যা দিয়েছেন।
জানা যায়, প্রাইম ব্যাংক বীচ কার্নিভালের বিভিন্ন অনুষ্ঠানমালা নিয়ে গত ১০ দিন যাবৎ ব্যাপক প্রচারণা চালিয়ে আসে। বিভিন্ন মিডিয়ায় বীচ কার্নিভালের প্রচারণা দেখে লক্ষাধিক পর্যটক ভীড় করে লাবণী পয়েন্টে। পূর্ব ঘোষিত ৯ জুলাই বেলা ১২টা থেকে রাত ১টা পর্যন্ত বীচ কার্নিভাল উপভোগ করতে ঢাকা সহ দেশের বিভিন্ন স্থান থেকে পর্যটকরা জমায়েত হয়। কিন্তু লাবণী পয়েন্টে আয়োজক কমিটির কাউকে চোখে পড়েনি।
রাজশাহীর কলেজ শিক্ষক দম্পতি শহিদ ও সাবিহা জানান “মূলত বীচ কার্নিভাল দেখতে এবং মুক্ত বিনোদন উপভোগের আশায় এখানে এসেছিলাম কিন্তু বিকাল ৪টা অবধি বীচ কার্নিভালের সংশ্লিষ্ট কাউকে চোখে পড়েনি। আয়োজকরা যে পর্যটকদের সাথে প্রতারণা করেছে এটা শতভাগ নিশ্চিত” এমন মন্তব্য স্থানীয় ঝিনুক ব্যবসায়ী শফিকের।
রামু মিঠাছড়ির জাহিদ নববধূকে নিয়ে বীচ কার্নিভাল দেখতে এসে হতাশ। জাহেদের বক্তব্য ক্ষতি হয়েছে আমাদের কক্সবাজারের কেননা পর্যটকরা আয়োজকদের চেনে না, মূলত কক্সবাজার সমুদ্র সৈকতকেই প্রাধান্য দেয়।
এদিকে কোন ধরণের ঘোষণা না দিয়ে হঠাৎ করে বীচ কার্নিভাল বন্ধ করে দেয়ার কারণে বীচ কার্নিভাল উপভোগ করতে আসা লক্ষাধিক পর্যটক বিনোদন বঞ্চিত হওয়ার পাশাপাশি কক্সবাজারের পর্যটন ব্যবসায় প্রভাব পড়েছে। পাশাপাশি স্থানীয় প্রশাসনের এ বিষয়ে তদারকির প্রয়োজন ও আছে বলে মনে করেন দর্শণার্থীরা।
কার্নিভালের গুরুত্ব এবং পর্যটকদের বিনোদনের বিষয় না বুঝে ৯ ঘন্টার কর্মসূচি দিয়ে হঠাৎ অজ্ঞাত কারণে কার্নিভাল বন্ধ করে দেয়ায় কারণ খতিয়ে দেখা জরুরী। কেননা এটি বৃহত্তম সমুদ্র সৈকতের পর্যটন বিকালে অন্তরায় হিসাবে বিবেচনা করছেন সংশ্লিষ্ট ব্যবসায়ীরা।
আয়োজক ঢাকার ডাবুরী কমিউনিকেশনের কর্মকর্তা রাশেল জানান, প্রাইম ব্যাংকের অর্থায়নে বীচ কার্নিভালের আয়োজন করি কিন্তু প্রশাসনের নির্দেশে আমরা তা বাতিল করে দিই। বীচ কার্নিভাল বাতিল হওয়ার বিষয়টি গণমাধ্যম কর্মীদের অবগত না করার কারণে অনেক সাংবাদিক শনিবার কার্নিভাল স্থলে গিয়ে কাউকে না পেয়ে হতাশ হয়েছেন।
আয়োজক কমিটির পক্ষ থেকে “বাতিলের” বিষয়টি না জানায় অনেক সাংবাদিক ক্ষুব্ধ হয়েছেন।
এ ব্যাপারে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) মোঃ আনোয়ারুল নাসের বলেন- “ঈদের আগে আইন শৃংখলা পরিস্থিতি ভালো থাকায় প্রশাসনের পক্ষ থেকে কার্নিভালের অনুমতি দেখা হয়েছিল কিন্তু ঢাকা এবং শোলাকিয়ায় হামলার প্রেক্ষাপটে আমরা ডাবুরি কমিউনিকেশনকে অনুষ্ঠান করতে বারণ করে দিই। কিন্তু তারা বাতিলের বিষয়টি সাংবাদিকদের যে জানায়নি তা আমরাও জানি না।”


শেয়ার করুন