সে মুমিন নয় যে তৃপ্তিসহ খায়, অথচ..

ramadan20150601204141-400x229 (1)বিদায় নিচ্ছে মহান অতিথি মাহে রমজান। দোরগোড়ায় কড়া নাড়ছে ঈদ। মুসলমানের জাতীয় উৎসব। দীর্ঘ মাসের ইবাদত যাপনে স্বচ্ছ ও পরিষ্কার হয়ে উঠেছে মানবাÍা। ভুলে বসেছে সব হিংসা, দ্বেষ, ধোকা, প্রতারণা, পরনিন্দা ও পরচর্চা। ঈদে সব একমনে এক মাঠে এক কাতারে। ঈদে তৈরি হয় সাম্য, মৈত্রী ভ্রাতৃত্ব, সহমর্মিতা ও সমবেদনার উজ্জ্বল পরিবেশ।
আনাস (রা.) বলেন, রসুল (সা.) মদিনায় এসে দেখলেন মদিনাবাসী দুদিন খেলাধুলায় আনন্দ করে। রসুল (সা.) এই দুদিন সম্পর্কে জিজ্ঞাসা করলে তারা বলেন, আমরা ইসলামপূর্ব অন্ধকার যুগে এই দুদিন আনন্দ করতাম। রসুল (সা.) বলেন, এই দুদিন অপেক্ষা আল্লাহ তোমাদের উত্তম দুটি দিন দান করেছেনÑ ১. ঈদুল ফিতর, ২. ঈদুল আজহা (আবু দাউদ)।
ঈদ ও পরবর্তী মুমিন জীবনের চিত্র উঠে এসেছে নোমান বিন বশির বর্ণিত হাদিস থেকে। রসুল (সা.) বলেন, মুমিন ভালোবাসা, সহমর্মিতা ও সমবেদনার ক্ষেত্রে পরস্পর একটি দেহের মতো। কোনো অঙ্গে ব্যথা অনুভব হলে ছড়িয়ে পড়ে পুরো দেহে (বুখারি, মুসলিম)।
ঈদে আমরা পরস্পর সালাম শুভেচ্ছা বিনিময় করি। কোলাকুলি করি, আÍীয়স্বজন পাড়া-প্রতিবেশীর বাসাবাড়িতে বেড়াতে যাই। শিশু-কিশোরদের চাঁদ দেখিয়ে আনন্দ দিই। বৃদ্ধ মুরব্বিদের দোয়া নিই। এসব আচার-অনুষ্ঠানের মাধ্যমে আমাদের পরস্পর সৌহার্দ্য রচিত হয়। ভালোবাসার বন্ধন হয় মজবুত। প্রতিবেশীদের জন্য করণীয় সম্পর্কে রসুল (সা.) বলেন, ওই ব্যক্তি মুমিন নয়, যে তৃপ্তি সহকারে খায় অথচ তার প্রতিবেশী অভুক্ত অবস্থায় পড়ে থাকে (বায়হাকি)।
কোরআন শরিফে মুমিনের পরিচয়ে আল্লাহ বলেছেন, মুমিন ধন-সম্পদের প্রতি ভালোবাসা সত্ত্বেও আÍীয়-স্বজনদের উপহার দেয় (সুরা-বাকারা ১৭৭)।
ঈদ উপলক্ষে সম্পর্ক রচনার পাশাপাশি পুনঃস্থাপনও জরুরি। জীবনের কোন বাঁকে আপনার প্রিয় মানুষের সঙ্গে সম্পর্কে ধুলা জমেছে, রাগ অভিমানে দেখা সাক্ষাতেও কথাবার্তা হয় না, ঈদের সম্প্রীতি বুকে ধারণ করে তার বাসায় হাজির হয়ে যান। সালাম শুভেচ্ছা ও কোলাকুলি করে সম্পর্ক পুনঃস্থাপন করুন।


শেয়ার করুন