০৫:০২ অপরাহ্ণ 
dav
সিটিএন ডেস্ক :
সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে খুব ভালো লাগে বলে জানালেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহম্মদ এরশাদ।
চ্যানেল আই অনলাইনকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে ৮৫ বছর বয়সী এই সাবেক স্বৈরশাসক বলেন, ‘সেলফি তুলতে আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। যেখানেই আমি যাই না কেনো মেয়েরা আমার সঙ্গে সেলফি তোলে। আমারও বেশ ভালো লাগে। ব্যাপারটা উপভোগ করি।’
সাবেক সামরিক শাসক এরশাদের জীবন ঘিরে রয়েছে নারী কেলেঙ্কারির নানা গুজব। এর মধ্যে জিনাত মোশাররফ আর বিদিশার কাহিনী তো কমবেশি সবারই জানা।
সাক্ষাৎকারে এরশাদ বলেন, ‘আমি প্রতিদিন ভোর পাঁচটায় ঘুম থেকে উঠি। এরপর কিছুক্ষণ হাঁটাহাঁটি করার পর আমার জিম ট্রেইনার আসে। তার কাছে জিম করি। জিম করার পর গোসল করে নিই। এরপর গ্রিন টি খাই আর খবরের কাগজ পড়ি। সকালের নাস্তাটা বিভিন্ন ফ্রুটস দিয়ে করে থাকি। সঙ্গে থাকে পাউরুটি, ওমলেট আর দুধ। আসলে খাবার আমি খুব পরিমাণ মতো খাই। এরপর বাসায় একটা জায়গায় বসি। বিভিন্ন এলাকা থেকে মানুষ আসে তাদের সুপারিশ নিয়ে। আমার যতোটুকু সামর্থ্য আছে ততোটুকু দিয়ে সাহায্য করার চেষ্টা করি। পার্টির কর্মীরাও আসে, বিভিন্ন দিক নির্দেশনা নিয়ে তাদের সঙ্গে কথা বলি। প্রতিদিন এতো লোক সমাগম হয় বলে আমার ছেলে এই বাড়ির নাম দিয়েছে সুপারিশ বাড়ি। এভাবেই প্রতিদিন সকালের পর্বটা শেষ করি।’
দুপুরের মেনুতে কোন ধরণের খাবার থাকে জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘আমরা যেহেতু বাঙালি তাই বাঙালি খাবারের আইটেমই ভালো লাগে বেশি। রংপুরে একটি সুস্বাদু খাবার আছে আলুর ডাল। এই খাবারটা রংপুরবাসীর খুব পছন্দের খাবার। সেই খাবারটি বেশি থাকে। এছাড়াও বেগুন ভর্তা, বিভিন্ন মাছের আইটেম দিয়ে দুপুরের খাবার খাই। মাছ আমার খুব পছন্দের খাবার। যে কোনো মাছই আমার খুব ভালো লাগে।’
কোন খাবারটি এখন তিনি এগিয়ে চলেন জানতে চাইলে এরশাদ বলেন, ‘বয়স হয়েছে তাই মাংস বা মাংস দিয়ে তৈরি খাবার খুব বেশি খাই না বললেই চলে। তাই বিয়ে বাড়িতে যেতে আমার ভালো লাগে না। তবে গেলেও কোনো খাবার খাই না। এতো পরিমাণ তেল মসলা থাকে যে খাবারকে বিষ মনে হয়। অবশ্য বিয়ে বাড়িতে গেলে অনেক ছবি তোলা হয়। এখন তো আবার সেলফির যুগ।’
সেলফি তুলতে কেমন লাগে জানতে চাইলে তিনি বলেন, ‘সেলফি তুলতে আমার ভালো লাগে। বিশেষ করে সুন্দরী মেয়েদের সঙ্গে সেলফি তুলতে আমার খুব ভালো লাগে। যেখানেই আমি যাই না কেনো মেয়েরা আমার সঙ্গে সেলফি তোলে। আমারও বেশ ভালো লাগে। ব্যাপারটা উপভোগ করি।’
সাক্ষাৎকারে এরশাদ জানান, ‘বিকেলে সাধারণতঃ তেমন কোনো কাজ থাকে না। আমার ছেলে এরিক এরশাদ গান গায়। ওর চারটি অ্যালবাম বাজারে এসেছে। বিকেলে বসে ছেলের গান শুনি। আর আমার ছেলে তো মান্না দের অনেক ভক্ত। ওনার গানও শোনা হয়। এছাড়া পুরনো দিনের সব শিল্পীর গান শুনতে পছন্দ করি।’
