সীমান্ত এলাকায় ভারতের রেড অ্যালার্ট জারি

আন্তর্জাতিক ডেস্ক:

পাকিস্তানের সীমান্তসংলগ্ন এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করে আশপাশের গ্রামগুলো ফাঁকা করে দেয়ার নির্দেশ দিয়েছে ভারতীয় কর্তৃপক্ষ।

জম্মু-কাশ্মীরকে কেন্দ্র করে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট সাম্প্রতিক উত্তেজনার পরিপ্রেক্ষিতে এ সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে।

এদিকে উদ্ভূত পরিস্থিতিতে করণীয় নির্ধারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফ গতকাল মন্ত্রিসভার জরুরি বৈঠক করেছেন।

ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের সীমান্ত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করার পর সীমান্ত-পার্শ্ববর্তী বিভিন্ন গ্রাম থেকে হাজার হাজার মানুষ নিরাপদ আশ্রয়ের জন্য অস্থায়ী ক্যাম্পে স্থানান্তর হতে শুরু করেছেন।

১৮ সেপ্টেম্বর ভারত নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের উরি সেনাঘাঁটিতে হামলায় ভারতীয় সেনাবাহিনীর ১৮ সদস্য নিহত হয়। এ ঘটনার জন্য ভারত শুরু থেকেই পাকিস্তানকে দায়ী করে আসছে। পাকিস্তান শুরু থেকেই ভারতের এ অভিযোগ অস্বীকার করে আসছে।

গত বুধবার মধ্যরাতে ভারতীয় সেনাবাহিনী পাকিস্তান নিয়ন্ত্রিত কাশ্মীরের কয়েকটি সন্ত্রাসী ঘাঁটিতে ‘সার্জিক্যাল অপারেশনের’ দাবি করে ভারত।

পাকিস্তান তাদের এই দাবি উড়িয়ে দিয়েছে। কিন্তু সীমান্তে গোলাগুলিতে দুই পাকিস্তানি সেনাসদস্য নিহত হয়েছেন বলে দেশটি স্বীকার করে।

বৃহস্পতিবার রাতে পাকিস্তানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, পাকিস্তান সেনাবাহিনী ভারতীয় সেনাবাহিনীর বিদ্রোহ দমন শাখার (কাউন্টার-ইনসারজেন্সি) ৩৭ রাষ্ট্রীয় রাইফেলসের এক সেনাসদস্যকে আটক করেছে। পাশাপাশি ভারতীয় এক সেনাসদস্য নিহত হয়েছে বলেও জানানো হয়। সেনাসদস্য নিহত হওয়ার বিষয়টি অস্বীকার করলেও আটকের বিষয়টি নিশ্চিত করেছে ভারত।

এরই ধারাবাহিকতায় সীমান্ত এলাকায় রেড অ্যালার্ট জারি করল দেশটি।

ভারত সরকার পাঞ্জাবের কর্তৃপক্ষকে সীমান্তসংলগ্ন এলাকার অধিবাসীদের সরিয়ে নেয়ার নির্দেশ দিয়েছে। এ নির্দেশের আওতায় প্রদেশটির ছয়টি জেলা রয়েছে। এ অঞ্চলের একজন বিধায়ক (এমএলএ) আইবিটাইমসকে জানিয়েছেন, দুই দেশের মধ্যে বিদ্যমান উত্তেজনার জেরে যাতে সাধারণ মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত না হয়, সেজন্যই এমন নির্দেশ দেয়া হয়েছে। এরই মধ্যে এসব এলাকা থেকে মানুষ সরিয়ে নেয়ার কাজ শুরু হয়েছে।

এদিকে ভারত ও পাকিস্তানের মধ্যে সৃষ্ট সাম্প্রতিক পরিস্থিতি গভীর পর্যবেক্ষণে রয়েছে বলে জানিয়েছে জাতিসংঘ।

জাতিসংঘের মুখপাত্র স্টিফেন ডুজারিক বলেছেন, ইউএন মিলিটারি অবজারভার গ্রুপ ফর ইন্ডিয়া অ্যান্ড পাকিস্তান (ইউএনএমওজিআইপি) সীমান্তে অস্ত্রবিরতি লঙ্ঘন সম্পর্কে অবগত। এ মুহূর্তে সংশ্লিষ্ট দুই কর্তৃপক্ষের কাছ থেকে এ বিষয়ে বিস্তারিত তথ্য পেতে যোগাযোগ করা হচ্ছে।

জাতিসংঘ দুই পক্ষকে শান্ত হওয়ার আহ্বান জানাচ্ছে। একই সঙ্গে শান্তিপূর্ণ আলোচনার মাধ্যমে সমস্যা সমাধানের ওপর গুরুত্বারোপ করছে।

আইবিটাইমস ও ডন অবলম্বনে

 


শেয়ার করুন