সাংসদ আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া

19ba76e457fd6854a82d57c9dcfec92a-c662e307aa433d6ca73e70aaaa09f2c4-Untitled-4টাঙ্গাইলে আওয়ামী লীগ নেতা ফারুক আহমেদ হত্যা মামলায় সরকারদলীয় সাংসদ আমানুর রহমান খান রানাসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারি করেছেন আদালত।

আজ মঙ্গলবার আদালত থেকে এই পরোয়ানা থানায় পাঠিয়ে দেওয়া হয়েছে। টাঙ্গাইল সদর থানা-পুলিশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
টাঙ্গাইলের আদালত পরিদর্শক আনোয়ার হোসেন বলেন, গতকাল সোমবার মামলার ধার্য তারিখে জ্যেষ্ঠ বিচারিক হাকিম গোলাম কিবরিয়া এ আদেশ দেন।
এর আগে গত ৬ এপ্রিল আদালত মামলার অভিযোগপত্র গ্রহণ করে পলাতক আমানুরসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে গ্রেপ্তারি পরোয়ানা জারি করেছিলেন। তদন্ত শেষে টাঙ্গাইল গোয়েন্দা পুলিশের ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) গোলাম মাহফিজুর রহমান গত ৩ ফেব্রুয়ারি আদালতে অভিযোগপত্র জমা দেন। এতে আমানুর ও তাঁর তিন ভাইসহ ১৪ জনকে অভিযুক্ত করা হয়।
হুলিয়া ও ক্রোক পরোয়ানা জারি হওয়া অন্য আসামিরা হলেন সাংসদ আমানুরের তিন ভাই—টাঙ্গাইল পৌরসভার সাবেক মেয়র ও শহর আওয়ামী লীগের সাবেক সাধারণ সম্পাদক সহিদুর রহমান খান (মুক্তি), ছাত্রলীগের কেন্দ্রীয় সাবেক সহসভাপতি সানিয়াত খান (বাপ্পা) ও ব্যবসায়ী নেতা জাহিদুর রহমান খান (কাঁকন) এবং সাংসদের ঘনিষ্ঠ সহযোগী কবির হোসেন, যুবলীগের তৎকালীন নেতা আলমগীর হোসেন (চান), নাসির উদ্দিন (নূরু), ছানোয়ার হোসেন, সাবেক পৌর কমিশনার মাসুদুর রহমান ও সাংসদের দারোয়ান বাবু।
মামলায় অভিযোগপত্রভুক্ত আসামিদের মধ্যে আনিছুল ইসলাম রাজা, মোহাম্মদ আলী, ফরিদ আহমেদ ও মোহাম্মদ সমীর কারাগারে আছেন। সাংসদ আমানুর ও তাঁর তিন ভাইসহ ১০ আসামি পলাতক রয়েছেন। অভিযোগপত্রে বলা হয়েছে, আসামিরা খুবই কৌশলী হওয়ায় তাঁদের দীর্ঘদিনেও গ্রেপ্তার করা সম্ভব হয়নি।
২০১৩ সালের ১৮ জানুয়ারি রাতে জেলা আওয়ামী লীগের সদস্য ও মুক্তিযোদ্ধা ফারুক আহমেদের গুলিবিদ্ধ লাশ তাঁর কলেজপাড়া এলাকার বাসার সামনে পাওয়া যায়। ঘটনার তিন দিন পর তাঁর স্ত্রী নাহার আহমেদ টাঙ্গাইল সদর থানায় মামলা করেন। মামলায় তিনি কোনো আসামির নাম উল্লেখ করেননি। প্রথমে থানার পুলিশ ও পরে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ (ডিবি) মামলার তদন্ত শুরু করে। ২০১৪ সালের আগস্টে এই মামলার আসামি আনিছুল ইসলাম রাজা ও মোহাম্মদ আলী গ্রেপ্তার হন। আদালতে তাঁদের স্বীকারোক্তিতে সাংসদ আমানুর ও তাঁর ভাইদের এ হত্যায় জড়িত থাকার বিষয়টি বের হয়ে আসে। এরপর থেকে সাংসদ ও তাঁর ভাইয়েরা আত্মগোপনে আছেন।


শেয়ার করুন