সাংবাদিক আলতাফ মাহমুদ আর নেই

altab_5_621371080সিটিএন ডেস্ক:
বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) সভাপতি আলতাফ মাহমুদ আর নেই। রোববার (২৪ জানুয়ারি) সকাল ৮টা ৪০ মিনিটে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় (বিএসএমএমইউ) হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিলো ৬৫ বছর।
রোববার বেলা সারে ১১ টায় ডিআরইউ তে জানাযা শেষে তাকে জাতীয় প্রেসক্লাবে আনা হয়েছে। বেলা ১২টায় প্রেসক্লাবে তার ২য় জানাযা নামাজ অনুষ্ঠিত হবে বলে জানা গেছে।
গত ১৪ জানুয়ারি স্পাইনাল কডের সমস্যা, মাথার পেছনে ও ঘাড়ে ব্যথা নিয়ে হাসপাতালে ভর্তি হন। এরপর ২১ জানুয়ারি সকালে তার স্পাইনাল কডের (মেরুদ-ের হাড়) অপারেশন করা হয়। অপারেশনের পরপরই আইসিইউতে নেওয়া হয় আলতাফ মাহমুদকে। পোস্ট অপারেটিভ জটিলতায় তিনি মৃত্যুবরণ করেন।
এদিকে, আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম বলেন, মৃত্যুর খবর পাওয়ার পর গভীর শোক প্রকাশ করেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করেন ও শোকসন্তপ্ত পরিবারের প্রতি সমবেদনা জানান।
আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে গভীর শোক প্রকাশ করেছেন রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ। রোববার এক শোকবার্তায় রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘আলতাফ মাহমুদের মৃত্যুতে দেশ একজন একনিষ্ঠ সংবাদকর্মীকে হারাল।’ তিনি প্রয়াত এই সাংবাদিক ইউনিয়ন নেতার আত্মার শান্তি কামনা করেন এবং পরিবারের সদস্যদের প্রতি গভীর সমবেদনা জানান।
সত্তর দশকে সাংবাদিকতা পেশায় আসা আলতাফ মাহমুদ দীর্ঘদিন বিভিন্ন রাজনৈতিক দল, বিশেষ করে আওয়ামী লীগের বড় বড় সমাবেশের সংবাদ সংগ্রহ করেছেন। বিভিন্ন টেলিভিশনের টকশোতেও তাকে দেখা গেছে রাজনৈতিক বিশ্লেষক হিসেবে।
আওয়ামী লীগ নেতৃত্বাধীন ১৪ দলের জন্ম ইতিহাস, চট্টগ্রামের লালদিঘী মাঠের জনসভায় শেখ হাসিনার ওপর গুলিবর্ষণসহ অনেক ঐতিহাসিক ঘটনার সাক্ষী আলতাফ মাহমুদ “১৯৭৫ সালে যখন জাতির জনক বঙ্গবন্ধুর ছবি ছাপতে গণমাধ্যম ভয় পেত, তখন আমি বঙ্গবন্ধুর ছবি বুকে নিয়ে সাহস করে সাপ্তাহিক খবরে প্রকাশ করেছিলেন।’’
মহান এই সাংবাদিক পটুয়াখালীর গলাচিপা উপজেলার কচুয়া ইউনিয়নে জন্ম গ্রহণ করেন। তিনি তার স্ত্রী, দুই মেয়ে, এক ছেলে রেখে গেছেন। সংস্কৃতিক অঙ্গনেও তার সাবলিল বিচরণ ছিলো। তিনি একটি চলচ্চিত্রেও অভিনয় করেছিলেন।


শেয়ার করুন