সাঁতরে আটলান্টিক পাড়ি দেয়ার প্রস্তুতি

122887_1সিটিএন ডেস্ক :

বেন হুপার নামের এক ব্রিটিশ নাগরিক সাঁতরে আটলান্টিক মহাসাগর পার হওয়ার এক দুঃসাহসী সংকল্প করেছেন।

এই শীতে চেল্টেনহ্যাম পুলিশের সাবেক এই সদস্য আফ্রিকা থেকে দক্ষিণ আমেরিকা মহাদেশ পাড়ি দেয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করেছেন।

উৎসাহীদের মনে প্রশ্ন বেন হুপার কি আটলান্টিক মহাসাগরে ১,৭৬৩ মাইল(২,৮৩৭ কি.মি.)পথ সাঁতরে পার হতে পারবেন?

এ বছরের ডিসেম্বরে তিনি সেনেগালের ডাকার থেকে আটলান্টিকের গরম নীল পানিতে তার যাত্রা শুরু করবেন এবং ১,৭৬৩ মাইল পথ পাড়ি দিয়ে ব্রাজিলের নাটাল বন্দরে পৌঁছানোর আশা করছেন।

তিনি যদি সরল পথে যান তাহলে এই দূরত্ব অতিক্রম করতে হবে। কিন্তু আটলান্টিকে সরলপথে সাঁতারের চিন্তা করাটা বোকামি।

তিনি বলেন, ‘আটলান্টিকের মাঝখানে স্রোত খুব শক্তিশালী। আমি কখনোই সেটা পার হতে পারবো না।’

সরলরেখার পরিবর্তে তিনি এল আকৃতির একটি রুট নির্ধারণ করেছেন। বিষুবরেখা পার না হওয়া পর্যন্ত তিনি দক্ষিণে যাবেন এবং পরে ব্রাজিল উপকূলের দিকে ঘুরে যাবেন।

যদি সবকিছু ঠিক থাকে তাহলে আটলান্টিক পাড়ি দিতে তার ১২০ দিন (৪ মাস) সময় লাগবে। তিনি প্রতিদিন ৮/৯ ঘণ্টা করে সাঁতরাবেন।

তিনি বলেন, ‘আমাকে সবসময় নীল পানির দেয়ালে চোখ লাগিয়ে রাখতে হবে। কিছু সামুদ্রিক প্রাণী ,হাঙ্গর, ডলফিন, কার্গো কন্টেইনার,আবর্জনাসহ আরো অনেক কিছুই হয়তো চোখে পড়বে। কিন্তু প্রধানত নীল জলরাশির দেয়ালই সবসময় চোখে ভাসবে।’

যদি কেউ মনে করে শুধুমাত্র হাত,পা আর সাঁতার স্যুট নিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দেয়া অসম্ভব তবে তা ভুল বলে উড়িয়ে দেয়ার সুযোগ নেই।

কারণ এখন পর্যন্ত ৪,১০০ জন এভারেস্ট জয় করেছে, ১,৩৪০জন ইংলিশ চ্যানেল পাড়ি দিয়েছে এবং ১২ জন মানুষ চাঁদে পা দিয়েছে কিন্তু আটলান্টিক পাড়ি দেয়ার রেকর্ড কারো নেই।

৩৫ বছর বয়সী হুপার শুধু এটা করা সম্ভব বলেই মনে করেন না বরং নিজেকেই এটা করার যোগ্য বলে মনে করেন।

তার মতে, ‘এটাই সর্বশেষ বড় চ্যালেঞ্জ যা মানুষ এখনো অর্জন করতে পারেনি।’

এর জন্য হুপার তার সর্বাত্নক চেস্টা চালিয়ে যাচ্ছেন।

তিনি গত দুই বছর থেকে ফ্লোরিডার গরম সমুদ্রের পানিতে নিজেকে মানিয়ে নেয়ার জন্য অনুশীলন করছেন,ডাক্তার ও বিশেষঞ্জদের নিয়ে একটি সহায়ক দল গঠন করেছেন এবং ট্যুরের ব্যয় বাবদ ১০০,০০০ পাউন্ডের স্পন্সরশিপ যোগাড় করেছেন।

এর আগে আরো ২ জন ব্যক্তি শুধুমাত্র হাত,পা আর সাঁতার স্যুট নিয়ে আটলান্টিক পাড়ি দেয়ার চেষ্টা করেছিলেন কিন্তু পানিতে তাদের কাটানো সময় এবং রুটের স্বচ্ছতা না থাকায় গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ড তাদের অভিযানকে স্বীকৃতি দেয়নি।

এবার দেখার পালা বেন কুপার এ অসম্ভবকে সম্ভব করতে পারেন কিনা।

সূত্র: দ্য টেলিগ্রাফ


শেয়ার করুন