“শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ”

সহকারী শিক্ষকের কাছে জিম্মি ম্যানেজিং কমিটি

imagesমুফিজুর রহমান, বাইশারী :

একাধারে একজন স্কুল শিক্ষক, সরকার দলীয় রাজনৈতিক ব্যক্তি, এনজিও কর্মী। বিদ্যালয়ে শিক্ষার্থীদের নিয়মিত ক্লাস নিতে সময় পান না। খুশি মত স্কুলে যাবেন আর আসবেন। বর্তমানে তিনি স্কুলেও যান না। তার দাপড়ে অসহায় স্কুল শিক্ষক থেকে শুরু করে অভিভাবক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যরাও। তিনি বান্দরবানের নাইক্ষ্যংছড়ি উপজেলার বাইশারী ইউনিয়নের আলী মিয়া পাড়া সরকারী প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক মংলাগ্য মার্মা।

১৬ সেপ্টেম্বর বুধবার  সিনিয়র শিক্ষক মংলাগ্য মার্মার এহেন কর্মকান্ডে বিদ্যালয়ের পরিবেশ বিপর্যয় ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখার ব্যাঘাত হওয়ায় উপজেলা শিক্ষা কর্মকর্তা বরাবরে লিখিত অভিযোগ করেন স্কুল পরিচালনা কমিটির সভাপতি ও সদস্যবৃন্দগন।

অভিযোগে জানা যায়, ১৩ সেপ্টেম্বর জেলা শিক্ষা কর্মকর্তার আদেশ মূলে বর্তমান প্রধান শিক্ষক রুবায়েদ নাহিদ নুর বদলি হয়ে অন্যত্র যোগদান করলে প্রধান শিক্ষকের পদটি খালি হয়। উক্ত পদে নিয়মানুসারে স্কুলের সিনিয়র সহকারী শিক্ষক হিসাবে মংলাগ্য মার্মা দায়িত্ব পাওয়ার কথা। কিন্তু তার অতিত কর্মকান্ডের কারণে তাকে উক্ত পদে না দিয়ে আলোচনার মাধ্যমে অন্য কাউকে দায়িত্ব অর্পণের বিষয়টি জোরালো হয়।

আরো জানা যায়, বিগত ২০১৪ সালে সিনিয়র শিক্ষক মংলাগ্য মার্মা ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষকের দায়িত্ব পালনকালে স্লিপ কমিটির অনুদান পাওয়া ৩০ হাজার টাকা আত্বসাৎ করেন। তাছাড়া কথায় কথায় বিদ্যালয়ের অভিভাবক, শিক্ষক থেকে শুরু করে ম্যানেজিং কমিটির সদস্যদের সাথে অশালিন আচরণ করার কথাও উঠে আসে অভিযোগে।
বিদ্যালয়ের পরিবেশ ও শিক্ষার্থীদের পড়ালেখায় ব্যাঘাত সৃষ্টি হওয়ায় ভারপ্রাপ্ত প্রধান শিক্ষক হিসাবে সহকারী শিক্ষক মংলাগ্য মার্মাকে দায়িত্ব প্রদান না করার জন্য সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের প্রতি জোর আহবান জানিয়েছেন অভিভাবক, শিক্ষক ও ম্যানেজিং কমিটির সদস্যবৃন্দরা।

এ ব্যাপারে সহকারী শিক্ষক মংলাগ্য মার্মার সাথে মুঠোফোনে যোগাযোগ করলে নিয়মিত স্কুলে পাঠদান না করার বিষয়টি অস্বীকার করে বলেন, প্রধান শিক্ষক অন্যত্র বদলী হওয়ায় বিদ্যালয়ের সিনিয়র শিক্ষক হিসাবে উক্ত পদের দাবীদার। তাই উক্ত পদে দায়িত্ব না দিতে ম্যানেজিং কমিটির কয়েকজন সদস্য আমার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত রয়েছে।


শেয়ার করুন