সমন্বিতভাবে পর্যটনবর্ষ পালনের দাবী ‘টুয়াক’র

toac_1শাহেদ ইমরান মিজান :
প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত ২০১৬ সালের পর্যটনবর্ষ সমন্বিতভাবে পালনের দাবী জানিয়েছে পর্যটক সেবাদানকারী কক্সবাজারের শীর্ষ সংগঠন ট্যুর অপারেটস অব এসোসিয়েশন (টুয়াক)। সোমবার দুপুরে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এ দাবী জানান সংগঠনটির নেতৃবৃন্দ।
নেতৃবৃন্দ বলেন, ‘ আগামী ২৭ সেপ্টেম্বর পর্যটন দিবসসহ পর্যটন বর্ষ-২০১৬ পালনে টুয়াকের মতো সংগঠনকে সম্পৃক্তের কথা এখনো জানানো হয়নি। এমনকি বাইরের চারটি সংগঠন নিয়ে এই উপলক্ষ্য উদ্যাপন করার পাঁয়তারা চলছে। এটি অত্যন্ত উদ্বেগজনক। কেননা বিগত ১২ টি বছর পর্যটকদের নিরলস সেবা দিয়ে যাচ্ছে টুয়াক।’
তাই মহা এ আয়োজনের টুয়াকের আওতাভুক্ত হোটেল মোটেল ব্যবসায়ী, রেস্তুঁরা মালিক, ব্যচ অমব্রেলা কিটকট ব্যবসায়ী ও শিল্প উদ্যোক্তাদের পর্যটন পালন কার্যক্রমে অন্তর্ভুক্ত করার দাবী জানিয়েছেন তারা।
সংবাদ সম্মেলনে পর্যটন বর্ষ নিয়ে নিজেদের পরিকল্পনার কথাও প্রকাশ করে, নেতৃবৃন্দ বলেন, কক্সবাজারকে পূর্ণাঙ্গ পর্যটন নগরীতে রূপ দিতে দীর্ঘ একযুগ ধরে কাজ করছে টুয়াক। সেই ধারাবাহিকতায় পর্যটন বর্ষ পালনে আন্তরিকভাবে কাজ করবো।’
পর্যটকদের দ্বারপ্রান্তে কক্সবাজারের বিভিন্ন তথ্য উপাত্ত উপস্থাপন করছেন। লিফলেট, বিলবোর্ড, প্লে-কার্ড ও বিভিন্ন অনলাইনে প্রচারণার মাধ্যমে কক্সবাজারকে বিশ্ববাসীর কাছে তুল ধরার চেষ্টা অব্যাহত রেখেছেন। ২৭ সেপ্টেম্বরও আন্তর্জাতিক পর্যটন দিবসকে সফল করতে তারা নানামূখি পরিকল্পনা নিয়েছেন। এ জন্য সকলের সহযোগিতা কামণা করেছেন টুয়াক নেতারা।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে টুয়াক’ সাবেক আহবায়ক মুফিজুর রহমান মুফিজ বলেন, ‘বিদেশী পর্যটকদের কক্সবাজারকে তুলে ধরতে বালি ভাস্কর্য ও পর্যটন মেলাসহ আকর্ষণীয় কর্মসুচি পালন করে থাকেন। ক্ষুদ্র নৃ-গোষ্টির সংস্কৃতিকে তারা আয়োজনে প্রাধান্য দেয়।’
তিনি বলেন, প্রকৃতি যেখানে উপস্থিত পর্যটনও সেখানে উপস্থিত। প্রকৃতির সীমারেখা যেখানে শেষ, পর্যটনের সীমানাও সেখানে শেষ। প্রকৃতিই কক্সবাজারকে সুনিপুনভাবে সাজিয়েছে। সাজানো এ প্রকৃতি ধরে রাখতে সকলের আন্তরিকতা দরকার।
তিনি আরো বলেন, ‘সমুদ্র সৈকতে পর্যটকদের নিরাপদ করতে বিভিন্ন অনলাইম মাধ্যমসহ সচেতনতামূলক প্রচারাভিযান করে টুয়াক। এ সময় তিনি দুঃখ করে বলেন, ‘২০১১ সালে শিল্পী রাজি সমুদ্রে গোসলে নেমে ভেসে যায়। এটি আমাদের নাড়া দিয়েছে। আহতদের করেছে জেলাবাসীকে। তবে এটিকে নিয়ে কিছু মিডিয়া নেতিবাচক প্রচারণা চালিয়েছে। সবশেষে তিনি পর্যটনশিল্পের উন্নয়নে পর্যটনসেবী, পর্যটন ব্যবসায়ীদের নিয়ে প্রয়োজনে একটি ‘ব্যবসায়ী সমন্বয় পরিষদ’ গঠনের ইঙ্গিত দেন।
এ সময় উপস্থিত ছিলেন টুয়াকের সভাপতি এসএম কিবরিয়া খান, সাধারণ সম্পাদক আসাফ-উদ দৌলা আশেক, সহ-সভাপতি রেজাউল করিম, সদস্য আনোয়ার কামাল, মিজানুর রহমান মিল্কি, শহিদুল্লাহ নঈম, কামরুল ইসলাম, আল-আমীন বিশ্বাস প্রমুখ।


শেয়ার করুন