কক্সবাজারে

সপ্তাহব্যাপী বীচ কার্ণিভাল শুরু

ইসলাম মাহমুদঃ

কক্সবাজারে সপ্তাহব্যাপী মেলা ও বীচ কার্নিভাল শুরু হয়েছে। বিশ্ব পর্যটন দিবস ২০২২ উপলক্ষে এ উৎসব।

“পর্যটনে নতুন ভাবনা” প্রতিপাদ্যে সাত দিন ব্যাপী পর্যটন মেলার আয়োজনে করেছে কক্সবাজার জেলা প্রশাসন ও বিচ ম্যানেজমেন্ট কমিটি। কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্টে বসছে এ মেলা।

২৭ সেপ্টেম্বর সকাল ১০ টায় কক্সবাজার সৈকতের লাবণী পয়েন্ট থেকে বর্ণাঢ্য উৎসবের শোভাযাত্রা শুরু হয়। সুগন্ধ্যা পয়েন্ট ঘুরে পূনরায় লাবণী পয়েন্টে শেষ হয়। অংশ নেন- কক্সবাজারের সাংসদ সাইমুম সরওয়ার কমল, জাফর আলম, আশেক উল্লাহ রফিক, জেলা প্রশাসক মো: মামুনুর রশীদ, কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের ধর্মবিষয়ক সম্পাদক এড. সিরাজুল মোস্তফা, জেলা আওয়ামী লীগের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি এডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক ও কক্সবাজার পৌর মেয়র মুজিবুর রহমান, ট্যুরিষ্ট পুলিশের কক্সবাজার রিজিয়নের পুলিশ সুপার মো: জিল্লুর রহমান, হোটেল-মোটেল মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাশেম সিকদার, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান মো: কায়সারুল হক জুয়েল, কক্সবাজার চেম্বার অব কমার্সের সভাপতি আবু মোরশেদ চৌধুরী খোকা, কক্সবাজার প্রেসক্লাবের সাধারণ সম্পাদক মো: মুজিবুল ইসলাম, জেলা দূর্ণীতি প্রতিরোধ কমিটির চেয়ারম্যান সুমেশ্বর চক্রবর্তি, বীচ ম্যানেজমেন্ট কমিটির সদস্য রেজাউল করিম, জেলা যুবলীগের সভাপতি সোহেল আহমদ বাহাদুর, জেলা ক্রীড়া সংস্থার সাধারণ সম্পাদক এডভোকেট জসিম উদ্দিন, হোটেল রেস্তোরাঁ মালিক সমিতির সভাপতি নঈমুল হক চৌধুরী টুটুল, বসুন্ধরা গ্রুপের সিনিয়র জোনাল ম্যানেজার আবু হেনা, টুয়াক এর সভাপতি আনোয়ার কামাল, ট্যুর অপারেটর ওনার্স এসােসিয়েশন এর সভাপতি মো: রেজাউল করিম রেজা, সাধারণ সম্পাদক আজমল হুদা, হোটেল অফিসার্স এসোসিয়েশন এর সাধারণ সম্পাদক কলিম উল্লাহ কলিম, হোটেল ব্যবসায়ী মুকিম খান। সমগ্র অনুষ্টান পরিচালনা করেন-কার্ণিভাল বাস্তবায়ন কমিটির সচিব ও অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট মো: আবু সুফিয়ান। শোভাযাত্রা শেষে আলোচনা সভা অনুষ্টিত হয়। এতে আমন্ত্রিত অতিথিরা বক্তব্য রাখেন। মেলা উপলক্ষে কক্সবাজারের সব হোটেল-মোটেল ও রেস্তোরাঁ গুলোতে দেয়া হবে ৩০-৭০ শতাংশ মূল্য ছাড়। পর্যটকদের পাশাপাশি স্থানীয়রাও পাবেন এ সুবিধা।
এ বিষয়ে মেলা বাস্তবায়ন কমিটির সচিব জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আবু সুফিয়ান বলেন, কক্সবাজারকে আরও ব্রান্ডিং করতে হবে। প্রচার আরো বাড়াতে হবে। কার্ণিভালকে স্থায়ীভাবে আন্তর্জাতিক মানের রুপ দেওয়া এই আয়োজনের অন্যতম উদ্দেশ্য।

মেলায় বসেছে ২০০টি স্টল। এছাড়া থাকছে পর্যটন বিষয়ক রচনা প্রতিযোগিতা, চিত্রাংকন, ঘুড়ি উৎসব, সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান, ফানগেম, ক্ষুদ্র নৃ-তাত্ত্বিক উৎসব, ফানুস উৎসব, বালি ভাস্কর্য্য, বিচ ভলিবল, ক্রিকেট, ম্যাজিক শো, আতশবাজি, ডিজে শো ও কনসার্ট। সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে স্থানীয় শিল্পীদের পাশাপাশি আঞ্চলিক শিল্পী মেরি, পপ শিল্পী মেহেরিন, আঁখি আলমগীর ও জনপ্রিয় কুঁড়ে ঘর ও কৌতুক অভিনেতা আরমান পারফর্ম করবেন। এছাড়া বিদেশী পর্যটকদের অংশগ্রহণে একটি বিশেষ অনুষ্ঠান থাকবে। এতে তাঁরা জাজ মিউজিক, হ্যাবি মেটাল ও অপেরার মাধ্যমে সবাইকে মাতিয়ে তুলবেন। প্রতিদিন সকাল ১০টা থেকে রাত ১২টা পর্যন্ত এই আয়োজন চলবে।

সাজানো হয়েছে বীচ এলাকা ও হোটেল রেস্তােরাঁ । লাবণী পয়েন্টের হোটেল কল্লোল প্রাঙ্গণ থেকে শুরু করে ট্যুরিস্ট পুলিশের গেইট পর্যন্ত রাস্তার দুই পাশে তৈরি করা হয়েছে স্টল।
পর্যটন মেলাকে দর্শনার্থীদের কাছে আকর্ষণীয় করতে ২০০টি স্টল স্থাপন করা হয়। এসব স্টলে কক্সবাজারের পর্যটন খাত সংশ্লিষ্ট জিনিসপত্র তুলে ধরা হবে। একই সঙ্গে থাকবে আচার, শুঁটকি ও পিঠাসহ হরেক রকমের আয়োজন।
হোটেল-মোটেল গেস্ট হাউস মালিক সমিতির সভাপতি আবুল কাসেম সিকদার জানান, সপ্তাহব্যাপী আয়োজন উপলক্ষে কক্সবাজারে আগত হোটেল-মোটেল গুলোতে অতিথিরা হোটেল ভাড়ায় ৩০-৭০ শতাংশ ছাড় পাবেন। এছাড়াও সকল হোটেল-রেস্তোরাঁয় খাবার ২০-৩০ শতাংশ মূল্য ছাড় দেওয়া হবে। এ সুযোগ সবাই ভোগ করতে পারবেন। এ আয়োজনে আন্তর্জাতিকভাবে কক্সবাজার বিশ্বমানচিত্রে আরো পরিচিতি লাভ করবে।


শেয়ার করুন