সন্তানের মৃত্যুর দিনেও মাঠে ছিলেন আলিম দার!

3Aleem-Dar-2-400x380
আম্পায়ার হিসেবে আলিম দারের অভিষেক হয় ২০০০ সালে শ্রীলঙ্কা-পাকিস্তান ওয়ানডে ম্যাচ দিয়ে। তিন বছর পর ঢাকায় বাংলাদেশ-ইংল্যান্ড ম্যাচে প্রথমবারের মতো টেস্টে আম্পায়ারিং করেন আলিম দার।
সময়ের পরিক্রমায় শনিবার কেপটাউনে স্বাগতিক দক্ষিণ আফ্রিকা ও সফরকারী ইংল্যান্ডের মধ্যকার ম্যাচ দিয়ে ১০০ টেস্টে আম্পায়ারিং করার মাইলফলক ছুঁয়ে ফেলেন তিনি। কিন্তু এই কৃতিত্ব অজর্নে অনেক ত্যাগ স্বীকার করতে হয়েছে আলিম দারকে। এ প্রসঙ্গে লাহোরে আলিম দারের স্ত্রী নোসাবা বানু জানালেন, এক মর্মস্পর্শী কাহিনী।
আলিম দারের স্ত্রী বললেন, ‘সময়টা ২০০৩ সাল। এ সময় দক্ষিণ আফ্রিকায় চলছিল ক্রিকেট বিশ্বকাপ। তিনি তখন ম্যাচ পরিচালনায় অনেক ব্যস্ত। এরই মধ্যে আমাদের মেয়ে জাভেদা মারা যায়। জন্মের পর থেকেই জাভেদা অসুস্থ ছিল। ডাক্তারও জানিয়েছিল ও বেশিদিন বাঁচবে না। কিন্তু, আমাদের ছেড়ে ও এত তাড়াতাড়ি চলে যাবে ভাবতেও পারিনি। মেয়ের মৃত্যুর খবরটি আমি তাকে জানাই নি। তারপরও সে কিভাবে যেন মেয়ের মৃত্যুর বিষয়টি জেনে যায়।’
আলিম দারের পরিবারের অন্য সদস্যরাও খবরটা লুকিয়ে রেখেছিল। কিন্তু, শেষ পর্যন্ত তিনি জেনেই যায়। এ বিষয়ে আলিম দারের স্ত্রী বলেন, ‘আমরা না বললেও, হয়তো অন্য কেউ জানিয়ে দিয়েছিল।’
সন্তানের মৃত্যু খবর পেয়েও তিনি বিশ্বকাপে আম্পায়ারিং থেকে সরে দাঁড়াননি। তিনি বুকে পাথর রেখে তার কাজ চালিয়ে যান। আসলে সকল অর্জনের পেছনে লুকিয়ে থাকে এমন বড় বড় ত্যাগ স্বীকার। প্রিয়


শেয়ার করুন