সঙ্কট নিরসনে বি চৌধুরীর প্রেসক্রিপশন

বাংলামেইল:

hasina-B.-Chwdhoryচলমান রাজনৈতিক সঙ্কট নিরসনে প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি প্রস্তাব দিয়ে সাবেক রাষ্ট্রপতি ডা. এ কিউ এম বদরুদ্দোজা চৌধুরী বলেছেন, ‘এ চলতি সঙ্কট নিরসনে একটাই প্রেসক্রিপশন। আর সেটা হলো সংলাপ, সংলাপ এবং সংলাপ।’

মঙ্গলবার জাতীয় প্রেসক্লাবের ভিআইপি লাউঞ্জে আয়োজিত এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এ কথা বলেন। ‘চলমান রানৈতিক সঙ্কট ও উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এ গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করে বাংলাদেশ সম্মিলিত পেশাজীবী পরিষদ।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ্য করে বি চৌধুরী বলেন, ‘জনগণের মনের কথা বুঝতে চেষ্টা করুন। জনগণ যেমন হরতাল-অবরোধ চায় না, তেমনি স্বৈরাচারী শাসনও চায় না। সুযোগ চলে যাচ্ছে, তাই খুব তাড়াতাড়ি সংলাপ করুন।’

সংলাপকে ত্বরান্বিত করতে প্রধানমন্ত্রীকে তিনটি উপায় বাতলে দিয়ে তিনি বলেন, ‘প্রথমত, আপনাকে স্বীকার করতে হবে দেশে রাজনৈতিক সঙ্কট বিরাজমান আর তাই সংলাপ করতে হবে। দ্বিতীয়ত, নির্বাচন যারা পরিচালনা করবে তাদেরকে সম্পূর্ণ নির্দলীয় হতে হবে। তৃতীয়ত, সকল দলের অংশগ্রহণে সংলাপ আপনাকেই আহ্বান করতে হবে, তবে প্রাধান্য দিতে হবে প্রধান দলকে।’ সঙ্কট সমাধানে প্রেসক্রিপশনে এ তিনটি ট্যাবলেট কাজ না করলে পরবর্তীতে ইনজেকশান দেয়া হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদার মনের মানুষ হতে হবে মন্তব্য করে সাবেক এই রাষ্ট্রপতি বলেন, ‘শুধু মানচিত্রকে নয়, দেশের মানুষকে ভালোবাসতে হবে। আপনি মানুষের বুকে গুলি চালানোর নির্দেশ দিতে পারেন না। আমি বিশ্বাস করি আপনি হয়তো না বুঝে এ নির্দেশ দিয়েছেন।’

রাষ্ট্রের দায়িত্ব প্রধানমন্ত্রীর, তাই দেশকে রক্ষা করার দায়িত্বও প্রধানমন্ত্রীর উপর বর্তায় মন্তব্য করে তিনি বলেন, ‘পুলিশ-দাঙ্গা দিয়ে এ সঙ্কটের সমাধান হবে না। আপনাকেই আগে সংলাপের আহ্বান জানাতে হবে।’ পছন্দ না হলেও দেশের স্বার্থে বিএনপির সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনা করতে হবে বলেও মন্তব্য করেন তিনি।

প্রধানমন্ত্রীকে উদ্দেশ করে তিনি আরো বলেন, ‘আপনার আমার কারও ভুলের জন্য যদি কোনো অরাজনৈতিক, অনির্বাচিত সরকার ক্ষমতায় আসে তাহলে কারও জন্যই মঙ্গলজনক হবে না। তাই সময় ও সুযোগ চলে যাচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি সংলাপের ব্যবস্থা করুন।’

পেশাজীবী পরিষদের ভারপ্রাপ্ত আহ্বায়ক রুহুল আমিন গাজী বলেন, ‘প্রধানমন্ত্রী বলেছেন, ২০১৯ সাল পর্যন্ত নির্বাচন দেবেন না, কিন্তু সেই পর্যন্ত কে আপনাকে মেন্ডেড দিয়েছে? নির্বাচন আপনাকে দিতেই হবে। এবার আপনি সম্মানের সাথে দিবেন নাকি অসম্মানের সাথে দিবেন সেটা আপনার ব্যাপার। এদেশের মানুষ ফুলের মালা দিতে জানে, আবার জুতার মালাও দিতে জানে।’

ইনকিলাবের সহ-সম্পাদক আবদুল আউয়াল ঠাকুর বলেন, ‘সরকার বিএনপির কিছু নেতাকে ধরে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে রাজনৈতকি সমঝোতার চেষ্টা করছে। এভাবে সমঝোতা হবে না। সমঝোতার জন্য উন্মুক্ত পরিবেশ তৈরি করতে হবে।’

দেশের রাষ্ট্রপতি যখন সরাসরি কোনো দলের পক্ষে সরাসরি অবস্থান নেয় তখন তার ওপর আস্থা রাখার যুক্তি নেই বলেও তিনি মন্তব্য করেন।


শেয়ার করুন