সংলাপের দরজা বন্ধ

সিটিএন ডেস্ক:

-ওবায়দুল-কাদের1-e1413438426760

সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রী ওবায়দুল কাদের বলেছেন, ‘বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর মৃতদেহ বাংলাদেশে আসার পর প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা খালেদা জিয়ার কার্যালয়ে গিয়েছিলেন। শেখ হাসিনা দরজা বন্ধ করেননি। ওইদিন খালেদা জিয়া দরজা খুললেই সংলাপের দরজা খুলে যেতে পারতো। এখন সংলাপের দরজা বন্ধ। সরকারের দায়িত্বশীল পর্যায় থেকে যতটুকু জানি সংলাপের বিষয়ে কোনো সম্ভাবনা নেই।’

কূটনৈতিক ও নাগরিক সমাজের উদ্যোগ এবং তৎপরতা সম্পর্কে সেতুমন্ত্রী বলেন, ‘সরকারবিরোধী অবস্থানে থাকলে আমরা এ ধরনের কথা বলতাম।’

বৃহস্পতিবার দুপুরে সড়ক পরিবহন ও সেতুমন্ত্রীর কার্যালয়ে ওবায়দুল কাদেরের সঙ্গে ডেনমার্কের রাষ্ট্রদূত হেনে ফুগল এএসকেয়ার নেতৃত্বে বাংলাদেশ সফররত ডেনিস ব্যবসায়ী প্রতিনিধিদলের মতবিনিময় শেষে সাংবাদিকদের তিনি এ কথা বলেন।

‘হরতাল-অবরোধের নামে জ্বালাও-পোড়াও নাশকতা করা উচিৎ নয়। এই অবস্থা আর চলতে পারে না। আত্মবিনাসী আগুন সারাদেশে দাউ দাউ করে জ্বলছে। হয়তো আলোক ঝিলিক বেড় হয়ে আসবে।’ বললেন ওবায়দুল কাদের।

মন্ত্রী বলেন, ‘আমাদের সমস্যা আমাদেরই সমাধান করতে হবে। এখন যে অবস্থা তৈরি হয়েছে সেখানে সংলাপের দরজা একেবারেই বন্ধ হয়ে গেছে।’ তবে সংলাপের মাধ্যমেই বন্ধ দরজা খুলে যেতে পারতো বলেও মন্ত্রী মন্তব্য করেন।

মন্ত্রী আরো বলেন, ‘নাশকতার আগুনে ১২শ গাড়ি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাণ হারিয়েছে বিভিন্ন যানবাহনের ড্রাইভার, হেলপালসহ ৪০ জন। ক্ষতিগ্রস্তদের জন্য সরকার সাড়ে ৬ কোটি টাকা বরাদ্দ ঘোষণা করেছে। যা ক্ষতিগ্রস্তদের মধ্যে দেয়া হবে।’

বাংলাদেশ সফররত ডেনিস ব্যবসায়ীরা এসেছেন, পিপিপির (প্রাইভেট পাটনারশপি প্রজেক্ট) মাধ্যমে তিনটি প্রজেক্টে কাজ করার প্রস্তাব দিয়েছে। তারা ব্যবসায়ীক মনোভাব প্রকাশ করেছে বলেও মন্ত্রী জানান।


শেয়ার করুন