শ্বাসরোধে মা-মেয়েকে হত্যা

হত্যা ctnসিটিএন ডেস্ক :

জেলার কালিগঞ্জের তারালী গ্রামে শ্বাসরোধে গৃহবধূ সাবিনা ও আড়াই বছরের সন্তান আয়েশাকে হত্যা করা হয়েছে। এ ঘটনায় স্বামী রউফকে গ্রেপ্তার করেছে পুলিশ।

মঙ্গলবার ভোরের দিকে এ ঘটনা ঘটে।

নিহতরা হলেন-তারালী গ্রামের আনোয়ার হোসেনের মেয়ে সাবিনা খাতুন (২৪) ও তার আড়াই বছর বয়েসের শিশু কন্যা আয়েশা সিদ্দিকা।

কালিগঞ্জ থানার ওসি সুভাষ বিশ্বাস মা-মেয়ে হত্যার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।

স্থানীয় সূত্র জানায়, সাড়ে ৪ বছর আগে কালিগঞ্জের তারালী গ্রামের আনোয়ারের মেয়ে সাবিনার সঙ্গে আব্দুর রউফের বিয়ে হয়। বিয়ের পর থেকে যৌতুক হিসেবে আব্দুর রউফ শ্বশুরের কাছে মোটরসাইকেল দাবি করে আসছিল। এ নিয়ে দীর্ঘদিন ধরে তাদের মধ্যে বিরোধ চলে আসছে।

৪ দিন আগে স্বামীর ওপর রাগ করে সাবিনা খাতুন তার আড়াই বছরের কন্যা আয়েশাকে নিয়ে বাপের বাড়িতে চলে আসেন। সোমবার রাতে সাবিনার স্বামী আব্দুর রউফ শ্বশুর বাড়িতে আসে এবং তারা একই ঘরে রাতে ঘুমাতে যায়। রাতের কোন এক সময় আব্দুর রউফ তার স্ত্রী সাবিনা ও শিশু কন্যা আয়েশাকে শ্বাসরোধ করে হত্যার পর সেখান থেকে পালিয়ে যায়।

সাবিনার মা জাহানারা বেগম জানান, রাত সাড়ে ৩টার দিকে তিনি উঠে দেখেন ঘরের দরজা খোলা। এ সময় মেয়ে-জামাইকে ডাকাডাকি করতে থাকে। কিন্তু কোনো সাড়া-শব্দ না পেয়ে ঘরের ভিতর ঢুকেই তার মেয়ে সাবিনা ও নাতনীর লাশ দেখতে পান। বিষয়টি স্থানীয় লোকজন জানার পর পুলিশকে খবর দিলে পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে মা-মেয়ের লাশ উদ্ধার করে।

কালিগঞ্জ সার্কেলের সহকারী পুলিশ সুপার মীর মনির হোসেন জানান, নিহত মা-মেয়েকে শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাদের উভয়ের গলায় একাধিক দাগ রয়েছে। সাবিনার স্বামীকে গ্রেপ্তার করে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়েছে। তবে নিহত সাবিনার স্বামী আব্দুর রউফ এখনও এ হত্যাকাণ্ডের দায় স্বীকার করেনি বলে তিনি জানান।

কালিগঞ্জ থানার ওসি সুভাষ বিশ্বাস জানান, তাদের শ্বাসরোধ করে হত্যা করা হয়েছে বলে ধারণা করা হচ্ছে। লাশের ময়নাতদন্তের জন্য সাতক্ষীরা সদর হাসপাতালের মর্গে পাঠানো হয়েছে। এ ব্যাপারে মামলার প্রস্তুতি চলছে।


শেয়ার করুন