শেষ মুহুর্তে সিম নিবন্ধনে উপচে পড়া ভীড়

6b3426b4d5163ca10122c418143e6161-1

এম.এ আজিজ রাসেল :
জেলায় বায়োমেট্রিক পদ্ধতিতে সিম পুনঃনিবন্ধন করতে কেন্দ্র গুলোতে মানুষের উপচে পড়া ভীড় বেড়েছে। শুক্রবার ছুটির দিনে সকাল থেকে কাস্টমার কেয়ার ও সিম কোম্পানীর রিটেইলারদের কাছে ছিল উপচেপড়া ভিড়। সিম নিবন্ধনের জন্য আসা ব্যক্তিদের সামাল দিতে হিমশিম অবস্থা কর্মীদের। গ্রাহকদের ব্যাপক উপস্থিতির কারণে গতকাল সকালে কয়েক ঘণ্টার জন্য মূল ‘সার্ভার ডাউন’ হয়ে যায়। ফলে নিবন্ধনের কাজে সকাল থেকে দুপুর পর্যন্ত ধীর গতি দেখা গেছে। তবে কাজ বন্ধ ছিল না। সার্ভারের ধীর গতির সময় ফরমপূরণসহ অন্যান্য কাজ চলেছে।
কক্সবাজার গ্রামীণ ফোনের কর্মকর্তা আরিফুর রহমান জানান, শেষ মুহুর্তে সিম নিবন্ধনের হিড়িক পড়েছে। যা সামাল দিতে হিমশিম খেতে হচ্ছে। বিলকিস মার্কেটস্থ রবির কর্মী সাহেদ উদ্দিন জানান, সিম নিবন্ধনে ব্যাপক সাড়া মিলেছে। গ্রাহকদের প্রচন্ড ভীড়েও নিবন্ধন বন্ধ হয়নি। তবে সার্ভার একটু দুর্বল ছিল।
এয়ারটেল কাস্টমার কেয়াররের শিমুল মল্লিক জানান সকাল ১০টা থেকে দুপুর ১টা পর্যন্ত তিন ঘণ্টা সার্ভার ডাউন ছিল। তবে তাদের দাবি এই সময়ের মধ্যে কাজ একেবারেই বন্ধ ছিল না। ধীর গতিতে হলেও কাজ চলেছে।  সকালে রবি, গ্রামীণফোন, এয়ারটেল ও বাংলালিংকের নিবন্ধন কেন্দ্রে গিয়ে সাধারণ মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা যায়। টেকপাড়ার বাসিন্দা মিনহাজ মেহেদী বলেন, নিবন্ধন শেষ হতে অনেক সময় লেগেছে। লম্বা লাইন ছিল। তারপর সার্ভার ডাউনের কারণে তথ্য নাকি মেলানো যাচ্ছিল না। কয়েকবার পিন কোড দেয়ার পর নিবন্ধন শেষ হয়েছে।
বাংলালিংকের কর্মী শাহাদাত জানান, শেষ মুহূর্তে মানুষের ভিড় বাড়ছে। আজ শনিবার নিবন্ধনের সময় শেষ হবে। তার মতে সাধারণ মানুষ আদালতের রায়ের অপেক্ষায় ছিল। গত ১২ এপ্রিল রায় ঘোষণার পর থেকেই নিবন্ধন কেন্দ্রে আসা মানুষের সংখ্যা বাড়ছে।
সিকদার মহলে রবির কাস্টমার কেয়ার সেন্টারে গিয়েও একই চিত্র দেখা যায়। সেখানেও প্রচুর মানুষের ভিড়। তবে সার্ভার ঠিক হওয়ায় ততক্ষণে নিবন্ধনের গতি বেড়েছে। সময়ও বেশি লাগেনি। গ্রাহকরা বাইরে দাঁড়িয়ে ফরম পূরণ করে লাইনে দাঁড়াচ্ছেন। ফলে সময় কিছুটা কম লাগছে। সেন্টারের দায়িত্বপ্রাপ্ত সঠিকভাবে ফরম পূরণ হয়েছে কি না তা আগেই দেখে নিচ্ছেন।
বার্মিজ স্কুল রোডের জ জ রাখাইন, আক্য ও জ জ ইয়ুদি জানান , তথ্য নিয়ে নেবে এমন কথা বলা হচ্ছিল। অবশ্য এ সম্পর্কে তার কোনো ধারণা নেই। যেহেতু সিম নিবন্ধন করতেই হবে, তাই চলে আসা। ঝাউতলার সাব্বির আহমেদ জানান, বাসার চারটি সিমই তিনি নিজের নামে নিবন্ধন করেছেন। ফলে ভোগান্তি তার একার ওপর দিয়েই গেছে।
কাস্টমার কেয়ার ছাড়াও টুল নিয়ে বিভিন্ন পাড়া মহল¬া ও সড়কের পাশে বসে সিম নিবন্ধনের কাজ করা হচ্ছে। সেখানে মানুষের ব্যাপক উপস্থিতি লক্ষ্য করা গেছে। শহরের টেকপাড়া, বাহারছড়া, চাউল বাজার, কলাতলী, গোলদিঘীর পাড়ে কয়েকটি দোকানেও চলছে একই কাজ।


শেয়ার করুন