শেষ দেখা করে বের হয়ে এলেন মীর কাসেমের স্বজনরা

গাজীপুর: মানবতাবিরোধী অপরাধের অভিযোগে মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াতে ইসলামীর নির্বাহী সদস্য মীর কাসেম আলীর সঙ্গে শেষ দেখা শেষে কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার থেকে বের হয়েছেন পরিবারের ২২ সদস্য।

শনিবার বিকেল পৌনে ৫টা থেকে সন্ধ্যা ৬টা ৮মিনিট পর্যন্ত সব সদস্য পর্যায়ক্রমে দেখা করেন।

গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর জেলার নাশির আহমেদ জানান, বিকেল ৩টা ৪০ মিনিটের দিকে ৬টি গাড়িতে করে ফাঁসির দণ্ডপ্রাপ্ত জামায়াত নেতা মীর কাসেম আলীর পরিবারের সদস্যরা কারাগারে আসেন। পরে নিয়মমতে তারা কারা কর্তৃপক্ষের কাছে সাক্ষাতের জন্য আবেদন করেন। পরিবারের ২২ জনকেই কিছু সময়ের জন্য সাক্ষাতের সুযোগ দেয়া হয়।

কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-২ এর ৪০ নম্বর কনডেম সেলে রাখা হয়েছে মীর কাসেমকে।তবে কখন মীর কাসেম আলীর মৃত্যুদণ্ড কার্যকর করা হবে সেটা এখনও নিশ্চিতভাবে জানা যায়নি।

জেলার নাশির আহমদ জানান, কারাগারের চিকিৎসকরা তার স্বাস্থ্য পরীক্ষা করেছেন। তাকে স্বাভাবিক খাবার দেয়া হচ্ছে। জল্লাদ শাজাহানের নেতৃত্বে চারজন জল্লাদকে প্রস্তুত রাখা হয়েছে বলেও ওই কর্মকর্তা জানান।

এই জল্লাদ দল এর আগে যুদ্ধাপরাধী মতিউর রহমান নিজামী, কাদের মোল্লা, আলী আহসান মোহাম্মদ মুজাহিদ ও সালাহউদ্দিন কাদের চৌধুরীর ফাঁসি কার্যকর করেছিল।

এছাড়া কারাগার এলাকায় নিরাপত্তা ব্যবস্থাও জোরদার করা হয়েছে। মোতায়েন করা হয়েছে নিরাপত্তা বাহিনীর অতিরিক্ত সদস্য।

পুলিশের পাশাপাশি কারাগারের ফটকে সারি বেঁধে অবস্থান নিয়েছেন বিপুল সংখ্যাক র্যাাব সদস্যা। বিকাল সোয়া ৪টার দিকে কারাগারে ঢুকেছে ফায়ার সার্ভিসের একটা গাড়ি। পুলিশের একটি জলকামান আগের রাতেই কারাগারের ভেতরে নিয়ে রাখা হয়েছিল।

এর আগে মানবতা বিরোধী অপরাধের দায়ে সবগুলো মৃত্যুদণ্ডই কার্যকর করা হয়েছে ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে, যেটিকে কদিন আগেই পরিত্যক্ত ঘোষণা করা হয়।


শেয়ার করুন