শেখ কামাল পেলেন মরণোত্তর জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার

fileখেলা ডেস্ক

ক্রীড়াক্ষেত্রে বাংলাদেশ সরকারের সর্বোচ্চ সম্মাননা জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার (মরণোত্তর) পেয়েছেন বঙ্গবন্ধুর বড় ছেলে আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত থেকে রবিবার শেখ কামালের পদকটি নেন তার বন্ধু বাংলাদেশ অলিম্পিক অ্যাসোসিয়েশনের মহাসচিব ও ঢাকা ক্লাবের সভাপতি সৈয়দ শাহেদ রেজা।

যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় এবং জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের উদ্যোগে ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে আয়োজিত ২০১০, ২০১১ ও ২০১২ সালের জাতীয় ক্রীড়া পুরস্কার বিতরণ করেন প্রধানমন্ত্রী।

দেশের ক্রীড়াঙ্গণে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে শেখ কামাল এবং দেশের ক্রিকেটে অল রাউন্ডার সাকিব আল হাসানসহ মোট ৩২ জন ক্রীড়া ব্যক্তিত্বকে এই পদক প্রদান করা হয়। পুরস্কার হিসেবে বিজয়ীদের ২৫ হাজার টাকার চেক এবং স্বর্ণপদক প্রদান করা হয়।

শেখ কামাল ১৯৭৫ সালের ১৫ আগস্ট বঙ্গবন্ধু এবং তার পরিবারের অধিকাংশ সদস্যের সঙ্গে শাহাদাৎবরণ করেন। দেশের জনপ্রিয় স্পোর্টস ক্লাব আবাহনী ক্রীড়া চক্রের প্রতিষ্ঠাতা শেখ কামাল আজাদ বয়েজ ক্লাবের হয়ে প্রথম বিভাগে ক্রিকেট খেলেন।

২০১০ সালের জাতীয় ক্রীড়া পদক বিজয়ী ১০ ক্রীড়াবিদ হচ্ছেন- মাস্টার অফিসার মো. হারুন-উর-রশীদ (সুইমিং), কমনওয়েলথ গেসসে স্বর্ণজয়ী শুটার আতিকুর রহমান (শুটিং), মাহমুদা বেগম (এ্যাথলেট), দেওয়ান মো. নজরুল হোসেন (জিমনাস্টিক), মো.মিজানুর রহমান মানু (সংগঠক), এ এস এম আলী কবির (সংগঠক), মো. তকবির হোসেন (সুইমিং, মরনোত্তর), ফরিদ খান চৌধুরী (এ্যাথলেট), বেগম নেলি জেসমিন (এ্যাথলেট) এবং শারিরীক প্রতিবন্ধীদের ক্রীড়ায় বিশেষ সাফল্যের জন্য বেগম নিপা বোস (এ্যাথলেটিক্স )।

২০১১ সালের পদক বিজয়ী ১০ ক্রীড়াবিদ হচ্ছেন- বেগম রওশন আরা ছবি (জিমনাস্টিক), সার্জেন্ট মো. কাঞ্চন আলী অবসরপ্রাপ্ত (বক্সিং), মো. আশরাফ আলী (রেসলিং), বেগম হেলেনা খান ইভা (ভলিবল), জাতীয় ক্রিকেট দলের সাবেক অধিনায়ক খালেদ মাসুদ পাইলট (ক্রিকেট), মো.রবিউল ইসলাম (ফটিক দত্ত) (বডিবল্ডিং), জুম্মন লুসাই (হকি, মরনোত্তর), কুতুবুদ্দিন মোহাম্মদ আকসির (সংগঠক), আশিকুর রহমান মিকু (সংগঠক) এবং শহীদ শেখ কামাল (ক্রীড়াবিদ এবং সংগঠক, মরণোত্তর)।

২০১২ সালের পদক বিজয়ী ১২ ক্রীড়াবিদ হচ্ছেন- সাকিব আল হাসান (ক্রিকেট), মো. মহসিন (ফুটবল), খুরশীদ আলম বাবুল (ফুটবল), আশিষ কুমার ভদ্র (ফুটবল), মো.আব্দুল গাফ্ফার (ফুটবল), সত্যজিৎ দাস রুপু (ফুটবল), ফিরোজা খাতুন (এ্যাথলেটিক্স), নাজিয়া আখতার জুথি (ব্যাডমিন্টন), আর্চারি ফেডারেশনের সাধারণ সম্পাদক কাজী রাজিবউদ্দিন আহমেদ চপল (সংগঠক), আ.ন.ম মামুনুর রশিদ (হকি), উন্মে সালমা রফিক (সংগঠক, মরণোত্তর) এবং নুরুল আলম চৌধুরী (সংগঠক)।

বিজয়ীরা সকলেই প্রধানমন্ত্রীর নিকট থেকে তাদের পদক গ্রহণ করেন। আর মরনোত্তর পুরস্কার প্রাপ্তদের পক্ষে তাদের পরিবারের সদস্য এবং নিকটজনেরা পুরস্কার গ্রহণ করেন।

 


শেয়ার করুন