শিশুদের জন্যে দুই শতাধিক চলচ্চিত্র

বাংলামেইল:

children's film festival‘ফ্রেমে ফ্রেমে আগামী স্বপ্ন’ স্লোগানকে ধারণ করে শুরু হয়েছে সাত দিনব্যাপী অষ্টম আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব। শিশুদের জন্যে দুই শতাধিক চলচ্চিত্র নিয়ে উৎসবটির আয়োজক চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি, বাংলাদেশ।

রাজধানীর গণগ্রন্থাগার মিলনায়তনে শনিবার বিকেলে উৎসবের উদ্বোধন করেন অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত। এসময় অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর, চিত্রশিল্পী মুস্তফা মনোয়ার, শিশু সাহিতিক্য ড.মুহাম্মদ জাফর ইকবাল প্রমুখ।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের প্রথম পর্বে বিকেল ৪টা ৫৫ মিনিটে উৎসব সংগীত, এরপর পতাকা উত্তোলন, জাতীয় সংগীত পরিবেশন ও শান্তির প্রতীক পায়রা ও বেলুন ওড়ানো হয়। এরপর দ্বিতীয় পর্বের শুরুতেই প্রদীপ প্রজ্জ্বলন করেন আগত অতিথিরা।

উৎসবরে উদ্বোধন করে অর্থমন্ত্রী আবুল মাল আব্দুল মুহিত বলেন, ‘আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসব একটা বিরাট উদ্যোগ। এধরনের উৎসব শিশুদের শুধু চিন্তার উৎকর্ষই সাধন করে না একই সাথে তাদের মধ্যে সৃজনশীলতাকে নানা ভাবে সমৃদ্ধ করে।’

তিনি আরো বলেন, ‘মানুষের অন্তরের দৃষ্টি আকর্ষণের মধ্যেই বাহাদুরী। আর অন্তরের দৃষ্টি প্রজ্বলন করতে এ ধরণের উৎসব কার্যকরী। আশা করি এটা অনবরত চলতেই থাকবে।’

বিশেষ অতিথির বক্তব্যে সংস্কৃতিমন্ত্রী আসাদুজ্জামান নূর বলেন, ‘উৎসবটা এতটাই সুশৃঙ্খল, ছোটরা যেভাবে এটা আয়োজন করেছে তা থেকে বড়রা শিক্ষা নিতে পারে। আর বর্তমান সরকারও শিশুদের সংস্কৃতি বিকাশে কাজ করে যাচ্ছে।’

চিলড্রেনস ফিল্ম সোসাইটি বাংলাদেশ এর উপদেষ্টা মুস্তফা মনোয়ারের সভাপতিত্বে এসময় আরো বক্তব্য দেন সংগঠনটির সভাপতি ড. মুহাম্মদ জাফর ইকবাল, সাধারণ সম্পাদক মুনিরা মোরশেদ মুননী, উৎসব সমন্বয়ক রায়ীদ মোরশেদ প্রমুখ।

এদিকে শত প্রতিকূলতা ডিঙ্গিয়ে প্রতিবারের ন্যায় এবারের আন্তর্জাতিক শিশু চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিচ্ছে বিশ্বের ৪০টি দেশের দুই শতাধিক শিশুতোষ চলচ্চিত্র। দেশের চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতার মধ্যেও উৎসব চলবে ঢাকা, চট্টগ্রাম ও সিলেট বিভাগে। উৎসবে সারাদেশ থেকে ৫০ জন ক্ষুদে নির্মাতা নিজেদের বানানো চলচ্চিত্র নিয়ে অংশ নিচ্ছে। প্রতিদিন বিকেল ৩টা থেকে তিন ধাপে চলচ্চিত্র প্রদর্শিত হবে। এছাড়া চলচ্চিত্র নির্মাণ কর্মশালা ও সেমিনারে আয়োজন রয়েছে। আগামী ৩০ পুরষ্কার বিতরণের মধ্যদিয়ে উৎসবের সমাপ্তি ঘটবে।


শেয়ার করুন