শহীদ দৌলতের রক্তের মধ্য দিয়ে সৈরাচার এরশাদ পতন ঘটেছিলো

সংবাদ বিindexজ্ঞপ্তি :

শহীদ দৌলতের রক্তের মধ্য দিয়ে সৈরাচার এরশাদ সরকারের পতন ঘটেছিলো। তারই ধারাবাহিকতায় তৎকালীন বিরোদলীয় নেত্রী জননেত্রী বঙ্গবন্দু’র তনয়া শেখ হাসিনা আজ বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী হয়েছেন। তাই শহীদ দৌলত খান একটি বাংলার বীর সৈনিকে নাম। তৎকালীন বিরোদলীয় নেত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার ডাকে সৈরাচার এরশাদ সরকার পতনের দূর্বার আন্দোলনে ঝাপিয়ে পড়ে শহীদ হন দৌলত খান। তার এই বীর শহীদের নাম সকলের বুকে স্বর্ণাক্ষরে লেখা থাকবে চিরকাল।

গতকাল শনিবার সকাল ১০টা থেকে শহীদ দৌলতের ২৮তম শাহাদাত বার্ষিকী উপলক্ষ্যে শহীদ দৌলত খানের নিজ গ্রাম চকরিয়া উপজেলার কোনাখালী ইউনিয়ন বাজারে অনুষ্ঠিত ২৮তম মৃত্যু বার্ষিকী উপলক্ষ্যে স্বরণ সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে চকরিয়ার উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম বিএ(অনার্স)এমএ ওসব কথা বলেন। ওসময় তিনি সবসময় শহীদ দৌলত পরিবারের পাশে থাকার আশ্বাষ প্রদান করেন। তিনি শহীদ পরিবারকে ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ১ লক্ষ টাকা অনুদান, শহীদের নামে সড়ক ও চকরিয়া উপজেলায় একটি স্মতি পাঠাগার করার ঘোষণা দেন। তাছাড়াও কক্সবাজার শহরের পাবলিক লাইব্রেরীর শহীদ দৌলত ময়দানে স্থায়ী নাম ফলক স্থাপনের লক্ষ্যে সরকার ও দলীয় নেতাকর্মীদের অবগত করবেন বলেও বলেছেন। এর আগে প্রধান অতিথি শহীদ দৌলত খানের কবরে পূষ্পমাল্যদান, কবর জিয়ারত ও দোয়া-মোনাজাতে অংশ নেন।

কোনাখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সভাপতি দিদারুল হক সিকদারের সভাপতিত্বে ও ইউনিয়ন আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক শামসুল আলমের সঞ্চালনায় অনুষ্ঠিত সভায় বিশেষ অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন, কেন্দ্রীয় কৃষকলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক ও সাবেক চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান রেজাউল করিম, মাতামুহুরী আওয়ামীলীগের সভাপতি সিরাজুল ইসলাম বাবলা, মাতামুহুরী আওয়ামীলীগের সভাপতি জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সিনিয়র সহ-সভাপতি সরওয়ার আলম, মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের মাতামুহুরী সাংগঠনিক উপজেলা আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক মহসিন বাবুল, চকরিয়া উপজেলা আওয়ামীলীগের সাবেক যুগ্ন-আহবায়ক জামাল উদ্দিন জয়নাল ও চট্টগ্রাম সিটি কলেজ ছাত্রলীগৈর সাবেক সাধারণ সম্পাদক আমিনুর রশিদ দুলাল। অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, বদরখালী ইউনিয়নের চেয়ারম্যান নুর হোসেন আরিফ, কক্সবাজার পৌর আওয়ামীলীগের সাবেক দপ্তর সম্পাদক ও শহীদ দৌলত খানের ভাগিনা সাংবাদিক মহসীন শেখ, ঢেমুশিয়া ইউনিয়নের চেয়ারম্যান রুস্তম আলী,  চকরিয়া উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক সাদ্দাম হোসেন মিন্টু প্রমূখ।

এতে আরো উপস্থিত ছিলেন, চ্যালেন আই’র স্টাফ রিপোর্টার সরওয়ার আজম মানিক, কক্সবাজার শহর যুবলীগ নেতা মো: ইব্রাহিম ও করিম উল্লাহ বাদশা।

সভায় উপস্থিত ছিলেন, শহীদ দৌলত খানের একমাত্র ছোট ভাই আমানত খান সহ শহীদ পরিবারের সদস্যবৃন্দ।

এদিকে প্রতিবছরের ন্যায় গতকাল শনিবার দিবসটি পালনের লক্ষ্যে সকাল ৭টায় কোরআনখানী ও মিলাদ মাহফিল, সকাল ৮টায় কালো পতাকা উত্তোলন ও কালো ব্যাজ ধারণ, সকাল ৯টায় কবর জিয়ারত ও পুষ্পমাল্য অর্পন, বিশেষ মোনাজাত, দুপুরে শহীদের নিজ বাড়িতে মেজবানের আয়োজন করা হয়।

উল্লেখ্য, ১৯৮৭ সালের এই দিনে তৎকালীন সৈরাচার এরশাদ সরকার বিরোধী আন্দোলনের তৎকালিন ৮ দলীয় জোট ৫ দলীয় বামজোট্ এবং ৭ দলীয় জোটের কেন্দ্রিয় কর্মসূচির অংশ হিসেবে ৮ দলীয় জোটের আওয়ামী লীগ নেতা এমভোকেট এমজাদ হোসেনের নেতৃত্বে চিরিঙ্গা ফাতেমা স্টোরের সম্মুখে জমায়েত হয়। বিক্ষোভ সমাবেশ পরবর্তী মিছিল সহকারে উপজেলা ঘেরাও চলাকালে পুলিশের মুখোমুখি সংঘর্ষে জাতীয় ছাত্রলীগের চকরিয়া কলেজ শাখার যুগ্ন আহ্বায়ক ও উপজেলা জাতীয় ছাত্রলীগের সহ সভাপতি দৌলত খান উপজেলা কৃষি কার্যালয়ের পেছনে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়ার মথ্যে পুলিশ অতির্কিত গুলি করলে দৌলত খান শহীদ হন।

ওই জমায়তে উপস্থিত ছিলেন বাকশালের মাস্টার আবুল হাশেম জাতীয় ছাত্রলীগে নেতা সরওয়ার অলাম বিএ.অনার্স.এমএ, চকরিয়া উপজেলা চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামীলীগের সভাপতি জাফর আলম. কমরেড নুরুল আবছার, জাহাঙ্গীর আলম বুলবুল, জাতীয় ছাত্রলীগের মহসিন বাবুল, বাংলাদেশ  ছাত্রলীগের এডভোকেট লুৎফুল কবির, জামাল উদ্দিন জয়নাল, এম আর চৌধুরী, ৫ম শ্রেণীর ছাত্র রেজাউল করিম সেলিম। ঐ দিন বাংলাদেশ ছাত্রলীগ নেতা ইয়াহিয়া খান কুতুবী, তৎকালীন উপজেলা আওয়ামীলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক বর্তমান জেলা আ.লীগের যুগ্ম সম্পাদক এড. আমজাদ হোসেন, সাবেক সহ-সভাপতি মাষ্টার আবুল হাসেম বিকম, ছাত্রনেতা আমিনুর রশিদ দুলাল, জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের জকরিয়া, শাহ আলম, সেলিম রেজা, খালেদু ও জিল্লুর রহমান গ্রেপ্তার হন।

কক্সবাজার সদরে পাবলিক লাইব্রেরীর হল সংলগ্ন মাঠ ‘শহীদ দৌলত ময়দান’ তার স্মৃতি বহন করছে।


শেয়ার করুন