শহরে টমটম ধর্মঘট

ট্রাফিক পুলিশ কর্তৃক টমটম আটকের প্রতিবাদে কক্সবাজার শহরে টমটম ধর্মঘট চলছে। আজ বুধবার সকাল থেকে এই ধর্মঘট শুরু হয়েছে। ধর্মঘটের কারণে পথচারীদের যাত্রীদের সীমাহীন দুর্ভোগ চলছে।

জানা গেছে, গত তিন ধরে জেলা প্রশাসনের নির্দেশে শহরে টমটমের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। এই অভিযানে শতাধিক টমটম আটক ও কয়েকটি টমটম তৈরির কারখানা সীলগালা করে দেয়া হয়েছে। এর প্রতিবাদের টমটম মালিক ও চালক সমিতিগুলো ঐক্যবদ্ধ হয়ে ধর্মঘট ডেকেছে। তবে পূর্ব ঘোষণা ছাড়াই ধর্মঘট ডাকায় যাত্রীরা দুর্ভোগে পড়েছে। বিশেষ করে শিক্ষার্থীরা বেশি দুর্ভোগে পড়েছে। এই জন্য যাত্রী ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে।

িএকটি ব্যাটারি চালিত রিক্সাকে হামলা চালাচ্ছে ধর্মঘট আহ্বানকারীরা
সরেজমিন কক্সবাজার শহর ঘুরে দেখা গেছে, শহরের কোথাও একটি টমটমের দেখা মেলেনি। প্রধান সড়কের মোড়ে মোড়ে বিক্ষুব্ধ টমটম চালকেরা অবস্থান করে বিক্ষোভ করছে। একই সাথে তারা সিএনজি অটোরিক্সা, ব্যাটারি চালিত রিক্সাসহ অন্যান্য গাড়ি চলাচলে বাধা দিচ্ছে। এমনকি গাড়িতে হামলাও করছে। এই নিয়ে উভয়ের মধ্যে হাতাহাতির ঘটনা ঘটছে। কয়েকটি ব্যাটারি চালিত রিক্সার পাম্পছাড় করে দিয়ে চালকে মারধর করতে দেখা গেছে। এই নিয়ে যাত্রীদের সাথেও টমটম চালকদের বাকবিতন্ড ও বাড়াবাড়ি হচ্ছে।

কালুরদোকান এলাকায় সিএনজি অটোরিক্সা আটকে দিয়েছে ধর্মঘট আহ্বানকারীরা।
কক্সবাজার টমটম মালিক ও চালক ঐক্য পরিষদের সভাপতি নাজিম উদ্দীন জানান, লাইসেন্সধারীসহ ঢালাওভাবে টমটম আটকের কারণে মালিক ও চালকেরা ক্ষুব্ধ হয়ে উঠে। এই কারণে আজকে জেলা প্রশাসক ও পৌর মেয়রের সাথে বসার সিদ্ধান্ত ছিলো। কিন্তু টমটমের অন্য সংগঠনের নেতারা তার আগেই ধর্মঘট দিয়ে দিয়েছে। আমরা এর কিছু জানি না।

এদিকে পূর্ব ঘোষণা ছাড়া ধর্মঘট ডাকায় ক্ষুব্ধ হয়ে উঠেছে যাত্রীরা। তারা এই জন্য ধর্মঘট আহ্বানকারী নেপথ্যে কারিগরদের খুঁজে বের করে শাস্তির দাবি জানান।

এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক মো. আলী হোসেন বলেন, ‘শহর ও মানুষের ভালোর জন্যই টমটমের বিরুদ্ধে অভিযান চলছে। কিন্তু কিছু টমটম নেতা নেপথ্যে থেকে টমটম মালিক ও চালকদের উসকে দিয়ে ধর্মঘট ডাকিয়েছে। আমরা ওই নেপথ্য কারিগরদের খুঁজে বের শাস্তি আওতায় আনবো।’


শেয়ার করুন