লামা পৌর নির্বাচনে সম্ভাব্য প্রার্থীতা নিয়ে নানা গুঞ্জন

lama photo ...এম বশিরুল আলম, লামা :

আসন্ন পৌরসভা নির্বচনকে কেন্দ্র করে দেশের বিভিন্ন এলাকার ন্যয় বান্দরবানের লামা পৌরবাসিদের মাঝেও বিরাজ করছে নির্বাচনী ইমেজ। দলীয় প্রতীক ও পরিচয়ে এ নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে, সরকার এমন সিদ্ধান্ত নিয়েছেন। ২রা নভেম্বর স্থানীয় সরকার (পৗরসভা) আইন ২০১৫ এর সংশোধন অধ্যাদেশ আকারে জারী করা হয়েছে বলে স্থানীয় সরকার, পল্লী উন্নয়ন ও সমবায় মন্ত্রী খন্দার মোশাররফ হোসেন জানান। এ দিকে নির্বাচন কমিশন সূত্রে জানাগেছে, চলতি মাসের তৃতীয় সপ্তাহে তফসিল ঘোষণা করে, ডিসেম্বরের তৃতীয় সপ্তাহে দেশের ২৪৫ টি পৌরসভার ভোট গ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। সূত্রে জানাযায় প্রথম ধাপে ২৪৫টি পৌরসভার নির্বাচনী তালিকায় লামা পৌরসভাও রয়েছে। এর ফলে সম্ভাব্য প্রার্থী ও সাধারণ ভোটারদের মাঝেও চমৎকার সেতু বন্ধন গড়ে উঠেছে। কিছুদিন আগেও সাধারণ মানুষের সাথে কথা বলার সুযোগ ছিল না যাদের, তাদের কাছে “সোনায় সোহাগা” এখন আম জনতা।

এদিকে লামা পৌরসভার দলীয় প্রার্থী হিসেবে কর্তমান মেয়র আমির হোসেনকে আবারও প্রার্থী দেয়া হবে এমনটি প্রচারের মাধ্যমে বাংলাদেশ জাতদীয়তাবাদী দল বিএনপি তাদের অবস্থান পরিস্কার করেছেন। অপর দিকে সরকার দলীয় প্রার্থী কে হবে? এমন প্রশ্নের জবাব মিলছে না কোথাও। এর ফলে স্থানীয়ভাবে বিএনপি সমর্থিত প্রার্থী বর্তমান মেয়র উপজেলা বিএনপি সভাপতি আমির হোসেন খালী মাটে চষে বেড়াচ্ছেন। ইতিমধ্যে বিএনপি প্রার্থী পৌরসভার ৯ ওয়ার্ডে প্রতিটি ঘরে ঘরে কয়েক দফা জন সংযোগ করেছেন। এদিকে সরকারদলীয় প্রার্থী ঘোষণার বিষয়টি রহস্যের চাদরে ঢাকা রয়েছে। কাকে প্রার্থী করা হবে? সে উত্তর শীর্ষ নেতাদের কাছে থাকলেও সাধারণ মানুষ জানেনা, এখনো কে হবেন আওয়মীলীগ সমর্থিত প্রার্থী।

স্থানীয় সূত্রগুলো জানান, এখন পর্যন্ত সরকার দলীয় সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে চার জনের নাম ভোটারদের মুখে মূখে শোনা যাচ্ছে। এদের একজন বর্তমান আওয়ামীলীগের সভাপতি, সাবেক লামা ইউপি চেয়ারম্যান, পৌরসভার প্রতিষ্ঠাতা মেয়র ও সাবেক উপজেলা চেয়ারম্যান, আলহাজ মো: ইসমাইল। তিনি মেয়র থাকাকালীন সময় ব্যপক উন্নয়ন হয়েছিল লামা পৌরসভার। অনেকে মনে করেন তাকে দলীয় প্রার্থী ঘোষণা করা হলে, তিনি নির্বাচিত হয়ে উন্নয়নের পূর্বধারা ফিরিয়ে আনবেন এলাকায়। এছাড়া অন্যদের মাঝে রয়েছেন, বর্তমান জেলা পরিষদের সদস্য, সাবেক ছাত্রনেতা, লামা আয়ামীলীগের সাংগঠনিক সম্পাদক জহিরুল ইসলাম। বর্তমান সময়ে গণ মানুষের কাছ থেকে এ প্রার্থী ইতোমধ্যে যতেষ্ট সুনাম কুড়িয়েছেন তৃণপর্যায়ে। এ ছাড়া লামা আয়ামীলীগের যুগ্ন সাধারণ সম্পাদক, বিআরডিবি চেয়ারম্যান, সাবেক ছাত্র নেতা মোস্তফা জামাল ও পৌর আওয়ামীলীগের সাধারণ সম্পাদক, সাবেক কাউন্সিলর ও ভারপ্রাপ্ত মেয়র তাজুল ইসলামের কথাও শুনা যাচ্ছে সম্ভাব্য প্রার্থী হিসেবে।

স্থানীয়রা জানান, বর্তমান মেয়র বিএনপি সভাপতি আমির হোসেনের সাথে প্রতিযোগিতায় জিতে আসতে হলে সরকার দলীয় প্রভাবশালী প্রার্থী দিতে হবে। এর কারণ হিসেবে জানাযায়, চলমান রাজনৈতিক প্রেক্ষাপটে এসব এলাকায় বিগত উপজেলা নির্বচনের বিষয় বিবেচনা করলে দলীয় প্রতীক নিয়ে নির্বাচনী পরিবেশ অনেকটা বিএনপির অনুকুলে। এছাড়া এখনো সরকার দলীয় প্রার্থী ঘোষণা নিয়ে লুকচুরির বিষয়টিও তৃণপর্যায়ে বিরুপ সমালোচনা হচ্ছে ক্ষমতাসীনদের সিদ্ধান্তহীনতার প্রশ্নে। অনেকের মতে বর্তমান মেয়র আমির হোসেন বিগত ৫ বছরে পৌর এলাকার উন্নয়ন করতে ব্যর্থ হয়েছেন। পৌরবাসিদের মাঝে বিশুদ্ধ পানিয় জল সরবরাহ, শহর উন্নয়ন, ড্রেনেজ ব্যবস্থা, রাস্তাঘাট সংস্কারসহ নাগরিক জীবনমান উন্নয়নে আশানুরুপ কিছুই করতে পারেননি বর্তমান মেয়র। এর ফলে স্থানীয়রা তাদের কাঙ্খিত উন্নয়ন নিশ্চিত করতে নেতৃত্বে পরিবর্তনে বদ্ধ পরিকর বলে জানাগেছে। এ প্রেক্ষাপটে শীর্ষ দুই রাজনৈতিক দল প্রার্থী মনোনীত করতে সময়ের চাহিদা পূরণের বিষয়টি মাতায় রাখা প্রয়োজন বলে সু-শীল সমাজ মনে করেন।


শেয়ার করুন