লন্ডন গেলেন খালেদা জিয়া

119970_1সিটিএন ডেস্ক :

চিকিৎসার জন্য প্রায় দুই সপ্তাহের ব্যক্তিগত সফরে লন্ডন গেছেন বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া।

মঙ্গলবার রাত সাড়ে নয়টার পরে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের ৫৮৫ একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে রওনা হন তিনি।

সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর সফর সঙ্গী হিসেবে রয়েছেন- ছোট ভাই শামীম এস্কান্দার, তার স্ত্রী কানিজ ফাতেমা, একান্ত সচিব এবিএম আবদুস সাত্তার, বিএনপি নেতা আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী ও গৃহকর্মী ফাতেমা আখতার।

রাত সাড়ে আটটার দিকে ভিআইপি গেইট দিয়ে বিমানবন্দরে প্রবেশ করেন খালেদা জিয়া। সেখানে দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, বর্তমান মুখপাত্র ড. আসাদুজ্জামান রিপন, সহ-দপ্তর সম্পাদক শামীমুর রহমান শামীম, চেয়ারপারসনের প্রেস উইং কর্মকর্তা শায়রুল কবির খান, সাবেক এমপি অধ্যক্ষ সোহরাব উদ্দিন, সংরক্ষিত ‍‌আসনের সাবেক এমপি হেলেন জেরিন খান, মহিলা দলের সাধারণ সম্পাদক শিরিন সুলতানা প্রমুখ তাকে বিদায় জানান।

এ সময় নজরুল ইসলাম খান উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, ‘এই সফর ম্যাডামের একান্ত ব্যক্তিগত। তিনি চিকিৎসার জন্য যাচ্ছেন, ওখানে ঈদ করবেন। পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাবেন। তিনি সব ঈদ জনগণ ও আমাদের সঙ্গে কাটান। এজন্য এবার আমরা তাকে পরিবারের সঙ্গে ঈদ করার অনুরোধ করেছি।’

তিনি বলেন, ‘মাড্যামের অনুপস্থিতিতে আমরা দলের সংগঠনিক কাজগুলো এগিয়ে নেব। তিনি সব বিষয়ে আমাদের দিক নির্দেশনা দিয়ে গেছেন। ঈদের পর তিনি খুব দ্রুতই দেশের ফিরবেন।’

এর আগে রাত আটটার পরপর গুলশান-২ নম্বর সেক্টরের ৭৯ নম্বর রোডের ১ নম্বর বাসা ‘ফিরোজা’ থেকে বিমানবন্দরের উদ্দেশে রওনা দেন খালেদা জিয়া।

তার আগমনের খবরে আগে থেকেই বিমানবন্দরে অবস্থান নেন বিএনপি, এর অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীরা। এ সময় স্লোগানে স্লোগানে খালেদাকে শুভেচ্ছা জানান তারা। খালেদা জিয়াও গাড়ির ভেতর থেকে হাত নেড়ে তাদের অভিনন্দন জানান।

বিএনপি চেয়ারপারসনের প্রেস সচিব মারুফ কামাল খান বলেছেন, ‘ম্যাডামের চোখের চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য চিকিৎসকদের সঙ্গে সাক্ষাতের সময়ও ঠিক করা হয়ে গেছে।’

তিনি বলেন, ‘ম্যাডাম দুই সপ্তাহের সফরে লন্ডন যাচ্ছেন। সেখানে চোখ ও পায়ের চিকিৎসা এবং তারেক রহমান ও প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমানের স্ত্রী ও দুই মেয়ের সঙ্গে সময় কাটাবেন তিনি।’

তারেক রহমান ও তার স্ত্রী-সন্তানের সঙ্গে ঈদুল আজহা উদযাপন করেই খালেদা ফিরবেন বলে বিএনপি নেতারা জানিয়েছেন।

এছাড়া প্রয়াত ছোট ছেলে আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী শামিলা রহমান সিঁথি, তার দুই মেয়ে জাহিয়া রহমান ও জাফিয়া রহমানেরও মালয়েশিয়া থেকে লন্ডন যাওয়ার কথা রয়েছে।

খালেদা জিয়া সর্বশেষ ২০১১ সালে যুক্তরাজ্যে যান। সে সময় তিনি যুক্তরাষ্ট্র ঘুরে দেশে ফেরার পথে বড় ছেলে তারেক রহমানকে দেখতে লন্ডনে গিয়েছিলেন।

বিএনপির সিনিয়র ভাইস চেয়ারম্যান তারেক রহমান বছর সাতেক স্ত্রী-সন্তানকে নিয়ে লন্ডনে নির্বাসিত জীবন কাটাচ্ছেন।

খালেদা জিয়া গত বছর ওমরাহ করতে সৌদি আরবে গেলে তারেক রহমানও লন্ডন থেকে সেখানে গিয়েছিলেন। এরপর আর মা-ছেলের দেখা হয়নি। এরপর মালয়েশিয়ায় থাকা খালেদার ছোট ছেলে কোকো মারা যান।

দলীয় সূত্রে জানা গেছে, চিকিৎসা ও পারিবারিক ব্যস্ততার ফাকে দলের প্রবাসী নেতাকর্মীদের সঙ্গেও সফরকালে খালেদার কর্মসূচি হতে পারে। তিনি সফর শেষে আগামী ১ অক্টোবর দেশে ফিরবেন বলে আশা করা যাচ্ছে।


শেয়ার করুন