রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় হস্তক্ষেপ করবে ফ্রান্স

ডেস্ক নিউজ:
আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে (আইসিসি) দায়ের করা রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলায় হস্তক্ষেপ করবে ফ্রান্স। সোমবার ফরাসি প্রেসিডেন্ট ইমানুয়েল মাখোঁ ঢাকায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সাক্ষাতের পর এক যৌথ বিবৃতিতে এ কথা জানিয়েছে বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়। তুরস্কের রাষ্ট্রায়ত্ত সংবাদ সংস্থা আনাদোলু এজেন্সির প্রতিবেদন থেকে এ তথ্য জানা গেছে।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের যৌথ বিবৃতিতে বলা হয়েছে, ‘আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালতে দায়ের করা গাম্বিয়া বনাম মিয়ানমারের মধ্যকার মামলায় (রোহিঙ্গা গণহত্যা মামলা) হস্তক্ষেপের সিদ্ধান্ত জানিয়েছে ফ্রান্স। ন্যায়বিচার ও দায়বদ্ধতা নিশ্চিতে আন্তর্জাতিক প্রচেষ্টার অংশ হিসেবে এ সিদ্ধান্ত নিয়েছে ফ্রান্স।’

আন্তর্জাতিক অপরাধ আদালত মিয়ানমারের জান্তা সরকারের বিরুদ্ধে দায়ের করা রোহিঙ্গা গণহত্যার মামলার শুনানি করছে। মামলাটি দায়ের করেছে আফ্রিকার দেশ গাম্বিয়া।

মিয়ানমার থেকে প্রায় ১২ লাখ রোহিঙ্গা পালিয়ে বাংলাদেশে এসে আশ্রয় নিয়েছে। তাদের অধিকাংশই কক্সবাজারের একাধিক আশ্রয়শিবির এবং নোয়াখালীর ভাসানচর বসবাস করছে। এদের অধিকাংশই ২০১৭ সালের আগস্ট মাস থেকে শুরু করা মিয়ানমারের জান্তাবাহিনীর নির্মূল অভিযানের হাত থেকে বাঁচতে বাংলাদেশে পালিয়ে আসে।

এর আগে ২০১৭ সালে যখন রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনের সময় ফ্রান্সের প্রেসিডেন্ট মাখোঁ রোহিঙ্গাদের ওপর চালানো নির্যাতনকে ‘গণহত্যা’ বলে আখ্যা দিয়েছিলেন। মাখোঁ বলেছিলেন, ‘ফ্রান্স জাতিসংঘের নিরাপত্তা পরিষদের অন্যান্য সদস্য এবং অংশীদারদের সঙ্গে মিলে চলমান গণহত্যা এবং জাতিগত নির্মূল অভিযানের নিন্দা প্রস্তাব আনবে।’ সে সময় মাখোঁ রোহিঙ্গাদের আশ্রয় এবং মানবিক সহায়তা দেওয়ায় বাংলাদেশের প্রশংসা করেন।

পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বিবৃতিতে আরও বলা হয়, ‘উভয় দেশই (বাংলাদেশ এবং ফ্রান্স) আন্তর্জাতিক আলোচনায় রোহিঙ্গা প্রত্যাবাসন এবং মিয়ানমারে অভ্যন্তরে এমন পরিস্থিতি তৈরি করার প্রয়োজনীয়তার বিষয়টি তুলে ধরার ব্যাপারে প্রতিশ্রুতি পুনর্ব্যক্ত করেছে, যাতে রোহিঙ্গাদের স্বেচ্ছায় নিরাপদ, মর্যাদাপূর্ণ ও টেকসই উপায়ে তাদের জন্মভূমিতে দ্রুত ফেরানো যায়।’

এ ছাড়া প্যারিস রোহিঙ্গাদের সহায়তার জন্য অতিরিক্ত ১০ লাখ ইউরো দেওয়ার ঘোষণা দিয়েছে।

বিগত ৩৩ বছরের মধ্যে মাখোঁই প্রথম ফরাসি প্রেসিডেন্ট, যিনি বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন। তাঁর আগে ১৯৯০ সালের দিকে ফ্রাঁসোয়া মিতেরা বাংলাদেশ সফরে এসেছিলেন।


শেয়ার করুন