১১:১৪ অপরাহ্ণ 
মুসলিম সংখ্যালঘু রোহিঙ্গাদের মিয়ানমারে ফেরত পাঠাতে ইন্দোনেশিয়ার সহযোগিতা কামনা করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘মিয়ানমারের শরণার্থীরা বাংলাদেশের জন্য একটি বড় সমস্যা এবং এর সমাধান প্রয়োজন।’
আজ মঙ্গলবার ইন্ডিয়ান ওশান রিম অ্যাসোসিয়েশনের (আইওআরএ) লিডার্স সামিটের সাইড লাইনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট জোকো উইদোদোর সঙ্গে অনুষ্ঠিত দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে এ কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। খবর বাসসের।
বৈঠকে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট বলেন, তাঁর দেশ রেল যোগাযোগের ক্ষেত্রে প্রভূত উন্নতি সাধন করেছে এবং বাংলাদেশের রেল যোগাযোগ খাতে আরও সহযোগিতা করতে ইচ্ছুক। এ প্রসঙ্গে শেখ হাসিনা বাংলাদেশে ২৫০টি রেলের বগি সরবরাহ করায় ইন্দোনেশিয়া সরকারের প্রতি সন্তুষ্টি প্রকাশ করেন। বাংলাদেশের ওষুধশিল্পে ব্যাপক উন্নয়নের খণ্ডচিত্র তুলে ধরে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের ওষুধ এখন যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত দেশগুলোসহ বিশ্বের ৭০টির বেশি দেশে রপ্তানি হচ্ছে। এ সময় ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট দুই দেশের মধ্যে ওষুধশিল্পে যৌথ উদ্যোগের ওপর গুরুত্বারোপ করেন।
বৈঠকের পরে পররাষ্ট্রসচিব শহীদুল হক সাংবাদিকদের বলেন, ইন্দোনেশিয়ার পররাষ্ট্রসচিব সম্প্রতি বাংলাদেশ ও মিয়ানমারের এই সমস্যা নিয়ে আলোচনা করতে এ দুটি দেশ সফর করেছেন। আজ জাকার্তা কনভেনশন সেন্টারে আইওআরএ লিডার্স সামিটের সাইড লাইনে ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের সঙ্গে প্রধানমন্ত্রীর দ্বিপক্ষীয় বৈঠকে মিয়ানমারের শরণার্থী সমস্যাটি আলোচিত হয়। তিনি বলেন, প্রধানমন্ত্রী বৈঠকে মিয়ানমারের শরণার্থীদের তাদের দেশে ফেরত পাঠানোর বিষয়ে ভূমিকা নেওয়ার জন্য ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টের প্রতি অনুরোধ জানান। শহীদুল হক বলেন, রেল, ওষুধশিল্প এবং জ্বালানি খাতে পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়েও দুই নেতার বৈঠকে আলোচনা হয়।
প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব কামাল আবদুল নাসের চৌধুরী, প্রেস সচিব ইহসানুল করিম এবং পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মেরিটাইম বিষয়ক ইউনিটের প্রধান (সচিব) রিয়ার অ্যাডমিরাল (অব.) মো. খোরশেদ আলম ব্রিফিংয়ে উপস্থিত ছিলেন।
ইন্দোনেশিয়া এলএনজির প্রস্তুতকারক ও রপ্তানিকারক উল্লেখ করে শহীদুল হক বলেন, দুই নেতার মধ্যে বৈঠকে এ ক্ষেত্রেও সম্ভাব্য পারস্পরিক সহযোগিতার বিষয়ে আলোচনা হয়। ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্ট এ সময় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে বাংলাদেশের চমকপ্রদ আর্থসামাজিক উন্নয়নের ভূয়সী প্রশংসা করেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী ইন্দোনেশিয়ার প্রেসিডেন্টকে তাঁর সুবিধাজনক সময়ে বাংলাদেশ সফরের আমন্ত্রণ জানালে উইদোদো তা সাদরে গ্রহণ করেন। এ বিষয়ে উইদোদো বলেন, তাঁর সফরের বিষয়ে আলোচনা করতে আগামী দুই মাসের মধ্যে ইন্দোনেশীয় সরকারের একটি মন্ত্রী পর্যায়ের প্রতিনিধিদল বাংলাদেশ সফর করবে।
এ বছরেই ইন্দোনেশীয় প্রেসিডেন্ট বাংলাদেশ সফরে আসবেন বলেও এ সময় পররাষ্ট্রসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করেন।
