রোহিঙ্গাদের সঠিক হিসাব নেই সরকারের কাছে: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

বাংলাদেশে কত রোহিঙ্গা প্রবেশ করেছে, তার কোনো সঠিক পরিসংখ্যান সরকারের কাছে নেই বলে উল্লেখ করেছেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল। আজ বৃহস্পতিবার পিলখানায় বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) সদর দপ্তরে দ্বিতীয় দফায় সীমান্ত অধিনায়ক সম্মেলন শেষে সাংবাদিকদের এ কথা বলেন মন্ত্রী।

অধিনায়ক সম্মেলনে বিজিবির বিভিন্ন ব্যাটালিয়নের অধিনায়কসহ ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা অংশ নেন। তাঁদের সঙ্গে সকাল ১০টা থেকে ১১টা পর্যন্ত বৈঠক করেন স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী। এরপর তিনি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দেন।
এর আগে বুধবার মেহেরপুরে এক অনুষ্ঠানে বিজিবির মহাপরিচালক মেজর জেনারেল আবুল হোসেন সীমান্তে হত্যা নিয়ে বক্তব্য দেন। সে বিষয়ে সাংবাদিকেরা জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বিজিবির মহাপরিচালক মেহেরপুরে যা বলেছেন, তা সঠিকভাবে গণমাধ্যমে আসেনি। সঠিক কথাটা হলো, তিনি ভারতের সীমান্তরক্ষী বাহিনী বিএসএফের মহাপরিচালককে উদ্ধৃত করে বলেছেন, ‘ওদের ওখানে (ভারতে) গিয়ে বাংলাদেশিরা সহিংস হয়ে যায়, তাই তারা আত্মরক্ষার্থে গুলি চালাতে বাধ্য হয়।’ বিএসএফের মহাপরিচালক এ কথা বলেছেন বিজিবির মহাপরিচালককে।
সীমান্ত হত্যা কেন বন্ধ হচ্ছে না জানতে চাইলে মন্ত্রী বলেন, বহু কারণে এটা হয়। সেসব কারণ চিহ্নিত হচ্ছে। ক্রমান্বয়ে এটা কমছে। আজ থেকে ১০ বছর বা ৫ বছর আগের হিসাব করলে দেখবেন অনেক কমে গেছে। ভবিষ্যতে আরও কমে যাবে বলে আশা করি।
৬৫ হাজার মিয়ানমারের নাগরিক বাংলাদেশে এসেছে বলে যে পরিসংখ্যান বেরিয়েছে, এটি সঠিক নয় বলে বিজিবির মহাপরিচালক যে মন্তব্য করেছেন, সে বিষয়ে জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা তো এখনো গুনে ফিগারটা দেখিনি। একেকজন একেক রকম বলেছেন। কেউ বলছেন ৪৫ হাজার, কেউ ৬৫ হাজার। সেটাই মহাপরিচালক বলেছেন। আমরা পরে হিসাব করে জানাব।’
সীমান্ত সুরক্ষায় বড় চ্যালেঞ্জ এখন কী জানতে চাইলে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আমরা যেটা মনে করি আমাদের সঙ্গে ভারতের একটা ভালো বন্ধুত্বপূর্ণ সম্পর্ক রয়েছে। আমরা সবকিছুই আলোচনার মাধ্যমে সমাধান করতে চাই। সীমান্ত এলাকায় কিছু সমস্য হতেই থাকে, হতেই পারে। এগুলো আলোচনার মাধ্যমে সমাধান হচ্ছে। ভবিষ্যতেও তাই চলবে। মিয়ানমারের সঙ্গেও আমরা সম্পর্ক উন্নয়নের চেষ্টা করছি এবং তা বেশ কিছুদূর এগিয়েছে। যত বেশি আলোচনা করতে পারব, তত সমস্যার সমাধান হবে বলে আমরা বিশ্বাস করি। তবে এর মধ্যে আমরা যে বসে আছি তা নয়। আমরাও বিজিবির সক্ষমতা বৃদ্ধি করছি। তাদের যা প্রয়োজন তা দেওয়ার চেষ্টা করছি। আমরাও তৈরি রয়েছি যাতে কোনো ধরনের ঘটনা ঘটলে আমরা প্রতিহত করতে পারি।’
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ব্যাটালিয়ন কমান্ডারদের সম্মেলনে তাঁরা কিছু সুবিধা-অসুবিধার কথা জানিয়েছেন। ক্রমান্বয়ে সেগুলোর সমাধান করা হবে। তাঁরা সীমান্ত সড়ক তৈরির কথা বলেছেন। ও বিষয়ে নীতিগতভাবে সবাই একমত হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীও দিকনির্দেশনা দিয়েছেন।


শেয়ার করুন