রেবি ম্যাডামের মিথ্যা মামলায় পালিয়ে বেড়াচ্ছে হামিদ

Rebi_Hamidশাহেদ ইমরান মিজান, সিটিএন:
বাংলাদেশের আলোচিত মানবপাচারের গড়ফাদার রেবি ম্যাডামের করা মিথ্যা মামলায় দেড় বছরেও নিস্তার পায়নি মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক প্রতিবাদী যুবক আবদুল হামিদ। কয়েক দফা পুলিশ ও আদালতের কয়েক দফা তদন্তের পরও আবার হামিদের বিরুদ্ধে মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন দেয়া হয়েছে। এই মিথ্যা তদন্ত প্রতিবেদন গৃহিত হওয়ায় হামিদের বিরুদ্ধে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করেছে আদালত। এর ফলে দেশ ও মানুষের স্বার্থে মানবপাচারের বিরুদ্ধে লড়া যুবক আবদুল হামিদ বর্তমানে ফেরারী জীবন কাটাচ্ছে।
আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে রেবির ম্যাডামের দায়ের করা মিথ্যা নারী নির্যাতন মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে এক সংবাদ সম্মেলন করেছে মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটি। বুধবার দুপুর ১২টার দিকে কক্সবাজার প্রেসক্লাবে এই সংবাদ সম্মেলন করা হয়।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সভাপতি ও হেলপ্ এর নির্বাহী পরিচালক আবুল কাশেম বলেন, কক্সবাজারের সুদীর্ঘ সমুদ্র উপকূলীয় এলাকা বিশেষ করে টেকনাফ, উখিয়া, কক্সবাজার সদর, মহেশখালী ও রামু উপজেলার সমুদ্র উপকূল দিয়ে হাজার হাজার মানুষ পাচার করা হয়েছে। এদের মধ্যে অনেকের মৃত্যু হয়েছে। অনেকে বর্তমানে অনেকে থাইল্যান্ড, মালয়েশিয়া, ভারত, ইন্দোনেশিয়া, মায়ানমার সহ বিভিন্ন দেশের কারাগারে অথবা ক্যাম্পে বন্দী হয়ে মানবেতর জীবন যাপন করছে। এই ভয়াবহ মানবপাচারের শীর্ষ গড়ফাদার উখিয়ার সোনার পাড়ার নূরুল কবিরের স্ত্রী রেজিয়া আক্তার ওরফে রেবি ম্যাডামের বিরুদ্ধে কথা বলেন আবদুল হামিদ। এতে ক্ষিপ্ত হয়ে রেবী তার মেয়ে শারমিন নুরী পাপিয়াকে বাদি বানিয়ে ২০১৪ সালের ২৩ জুলাই কক্সবাজার জেলার নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে একটি মিথ্যা ও হয়রানিমূলক মামলা দায়ের করেন। উক্ত মামলাটি উখিয়া থানা পুলিশ মিথ্যা মামলা হিসাবে চূড়ান্ত প্রতিবেদন প্রদান করেন। পরে বাদী পক্ষ নারাজি প্রদান করলে জুড়িসিয়াল বিচাকির তদন্তের আদেশ দেন আদালত। আদেশ মতে উখিয়া জুড়িসিয়াল ম্যাজিষ্ট্রেট সুশান্ত প্রসাদ চাকমা একতরফা স্বাক্ষী গ্রহণ করে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে প্রতিবেদন দিয়েছেন। এর ভিত্তিতে হামিদের বিরুদ্ধে মামলা আমলে নিয়ে গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি করে। গ্রেফতারী পরোয়ানা জারি হওয়ায় বতর্মানে হামিদ পালিয়ে বেড়াচ্ছে।

12467923_547368162085966_1775291076_n
আবুল কাশেম জানান, মামলার বাদীর মা রেজিয়া বেগম রেবী ও বাবা নুরুল কবির শীর্ষ মানব পাচারকারী তাদের বিরুদ্ধে প্রায় ডজন খানেক মানব পাচার মামলা বিচারাধীন। তাই তারা ক্ষিপ্ত হয়ে বিভিন্ন সময় বিভিন্ন ভাবে মানব পাচার প্রতিরোধ কমিটিকে শুরু থেকেই দেখে নেবে বলে হুমকি দিয়ে আসছিল। রেজিয়া আক্তার রেবী তার ছেলে রেজাউল কবির সুমনকে দিয়ে মিথ্যা হামলার ঘটনা সাজিয়ে ৯/১৪ নং একটি মামলা করেন। এই মামলায় বর্তমানে আবদুল হামিদ জামিনে আছেন। এর আগে রেবী ম্যাডাম বাদী হয়ে আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে ১ কোটি টাকার মানহানি মামলা করেছিল। সেই মামলা মিথ্যা প্রতিপন্ন হওয়ায় আদালত খারিজ করে দেন।

সংবাদ সম্মেলনে মানবপাচার প্রতিরোধ কমিটির সাধারণ সম্পাদক আবদুল হামিদের বিরুদ্ধে দায়েরকৃত মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবির জানানো হয়।


শেয়ার করুন