রামুতে যুবককে কুপিয়ে হত্যা

images (1)রামু প্রতিনিধি:
রামুতে রুবেল নামে এক যুবককে কুপিয়ে হত্যা করা হয়েছে। গত বুধবার দিবাগত রাত দেড়টার দিকে উপজেলার জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ড নতুন মুরাপাড়া এলাকায় এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হয়। নিহত রুবেল (২০) ওই এলাকার কমিউনিটি পুলিশের সদস্য কালামিয়ার ছেলে। এ ঘটনায় নিহতের মা ও স্ত্রী আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। হত্যাকান্ডের কয়েক ঘন্টার মধ্যে রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ, ওসি (তদন্ত) মো. কায় কিসলু ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেছেন। গতকাল বৃহস্পতিবার (১০ সেপ্টেম্বর) সকালে নিহতের লাশ উদ্ধার করে ময়না তদন্তের জন্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালে প্রেরণ করেছে পুলিশ।
প্রতিবেশী জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়ন যুবলীগের সহ-সভাপতি আবদু শুক্কুর ও জোয়ারিয়ানালা ইউনিয়নের ৫নং ওয়ার্ডের মেম্বার আবদুল করিম জানান, বুধবার রাত আনুমানিক দেড়টার দিকে জোয়ারিয়ানালা নতুন মুরাপাড়া এলাকায় একদল দূর্বৃত্ত বাড়িতে ঢুকে কালামিয়ার ছেলে মো. রুবেলকে কুপিয়ে হত্যাকরে। দূর্বৃত্তরা এ সময় রুবেলের মা জোহরা খাতুন (৫০) ও স্ত্রী রশিদা বেগম আহত হয়। গুরুতর আহত জোহরা খাতুনকে চট্টগ্রাম মেডিকেল হাসপাতালে ও স্ত্রী রশিদা বেগমকে স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসা সেবা দেয়া হচ্ছে। যুবলীগ নেতা আবদু শুক্কুর আরো জানান, বুধবার রাত দুইটার দিকে নিহত রুবেলের মা জোহরা খাতুনের চিৎকার শুনে স্থানীয়রা ছুটে যায়। রক্তাক্ত রুবেলকে তাৎক্ষণিক রামু স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে নিয়ে গেলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাঁকে মৃত ঘোষনা করেন।
এলাকাবাসীদের কয়েকজন জানান, দরজা-জানালা সবকিছুই ভাঙ্গা হয়নি। বাড়ি থেকে কিছু নিয়েও যাওয়া হয়নি। এ ঘটনাকে ডাকাতি বলেও মনে হচ্ছেনা। নারী ঘটিত কোন কারণে এ হত্যাকান্ড সংগঠিত হতে পারে। আট মাস পূর্বে প্রতিবেশী আবদুল করিমের মেয়ে রশিদা বেগমের সাথে রুবেলের বিয়ে হয়।
রামু থানার অফিসার ইনচার্জ আবদুল মজিদ জানান, পারিবারিক কলহের জের ধরে এ হত্যাকান্ড ঘটতে পারে বলে মনে হচ্ছে। হত্যাকান্ডে জড়িত হিসেবে এখনো কাউকে সনাক্ত করা যায়নি। তদন্ত চলছে, অপরাধিদের দ্রুত আইনের আওতায় আনা হবে। গতকাল বৃহস্পতিবার সকালে নিহতের মরদেহের সুরতহাল শেষে ময়নাতদন্তের জন্যে কক্সবাজার সদর হাসপাতালের মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।


শেয়ার করুন