বাংলাদেশ-নেপাল আন্তর্জাতিক প্রীতি ম্যাচ

রনির গোলে নেপালকে হারালো বাংলাদেশ

2015_09_02_20_12_53_dym1JgCmFhxindpd8E6YRU7cdkzRfq_original (1)জয় দিয়ে সাফের প্রস্তুতি সারল বাংলাদেশ জাতীয় ফুটবল দল। বৃহস্পতিবার বিকেলে বঙ্গবন্ধু জাতীয় স্টেডিয়ামে নেপালের বিপক্ষে প্রস্তুতিমূলক প্রীতি ম্যাচে ১-০ গোলে জিতেছে মামুনুল বাহিনী। জয়সূচক গোলটি করেছেন বাংলাদেশের সাখাওয়াত হোসেন রনি। ভারতে অনুষ্ঠেয় সাফ চ্যাম্পিয়নশিপকে সামনে রেখে এই প্রীতি ম্যাচের ব্যবস্থা করে বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশন (বাফুফে)। মূলত ১৭ দিনের প্রস্তুতি পরখ করে চূড়ান্ত দল নির্বাচনের জন্যই খেলা হয় এই ম্যাচ। ইতালিয়ান কোচ ফ্যাবিও লোপেজ বরখাস্ত হওয়ার পর দেশীয় কোচ মারুফুল হকের অধীনে এই অনুশীলন হয় বাংলাদেশ ক্রীড়া শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে (বিকেএসপি)। মারুফুল তাই প্রথম পরীক্ষায় উত্তীর্ণ হলেন সফলভাবেই। অভিষেকেই পেলেন জয়।

খেলার শুরু থেকে কিছুটা অগোছালো ফুটবল খেলতে থাকে দুদল। যে কারণে প্রথমার্ধের শুরুর দিকটাতে সেভাবে কোনো আক্রমণে যেতে পারেনি। তবে ধীরে ধীরে খেলায় খানিকটা ছন্দ ফিরে আসে। সেই সুযোগে শুরুতে গোল করে এগিয়ে যায় বাংলাদেশ। ১৮ মিনিটে সাখাওয়াত হোসেন রনির গোলে এগিয়ে যায় মারুফুল হকের শিষ্যরা। বাম পাশ থেকে ইয়ামিন মুন্নার ক্রসে দুর্দান্ত হেডে গোল করেন সাখাওয়াত হোসনে রনি।

এক গোলে পিছিয়ে পড়ে অনেকটা মরিয়া হয়ে ওঠে নেপালও। তাই আক্রমণের ক্ষুরধার বাড়াতে থাকে সফরকারীরা। ২৫ থেকে ৩০ মিনিট পর্যন্ত কয়েকবার বাংলাদেশের গোলপোস্টে আঘাত হানার চেষ্টা করে নেপাল। ২৫ মিনিটে হেমান গুরাংয়ের দূরপাল্লার একটুর জন্য শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হয়। পরের মিনিটে বিশাল রায়ের ফ্রি কিক রক্ষণ দেয়াল টপকে সামনে গেলেও বাংলাদেশের ডিফেন্ডাররা তা ক্লিয়ার করতে সক্ষম হন। এরপর তিন মিনিটের মধ্যে দুবার গোলের চেষ্টা চালান নেপাল অধিনায়ক অনিল গৌরাং ও হেমান গৌরাং। অনিলের শট লক্ষ্যভ্রষ্ট হলেও হেমানের শট ক্লিয়ার করেন গোলরক্ষক আশরাফুল ইসলাম রানা।

প্রথমার্ধের শেষ দিকটা আবারো বাংলাদেশ খেলায় ফিরে আসে। ৩৯ মিনিটে ডানপ্রান্তে বক্সের ঠিক বাইরে থেকে হেমন্ত দুর্দান্ত গতির শট নিলেও গোলরক্ষক ফিস্ট করে সামনে দেন। এরপর আরেক দফা চেষ্টা করেও গোল করতে পারেননি হেমন্ত। তাই প্রথমার্ধে ১-০ গোলে এগিয়ে থেকেই শেষ করে লাল-সবুজ শিবির।

দ্বিতীয়ার্ধে দুদল খেলেছে সমানে সমান। খেলার ৫০ মিনিটে রনজিত দিমাল বক্সের মধ্যে বল পেয়ে সামনে যেতে চাইলে কর্নারের বিনিময়ে বাংলাদেশকে বিপদমুক্ত করেন ফরোয়ার্ড জুয়েল রানা। সেই কর্নার কিকে বদলি খেলোয়াড় অনন্ত তামাং কর্নার কিক নিলেও বাংলাদেশের রক্ষণভাগের খেলোয়াড়রা তা ক্লিয়ার করেন। দ্বিতীয়ার্ধের খেলা শুরুর পরও আরেকবার ডিফেন্সে দলকে একদফা বিপদমুক্ত করেন জুয়েল রানা।

বাংলাদেশের একটি গোল অফসাইডের ফাঁদে পড়ে বাতিল হয়। ৫৫ মিনিটে ডানপ্রান্তে জুয়েলকে ফাউল করেন বিক্রম লামা। সেই সুবাদে ফ্রি কিক পায় বাংলাদেশ। মামুনুল ফ্রি কিক নিলে জটলায় বল পড়ে। সেখান থেকে বল নেপালের জালে জড়িয়েছিলেন ইয়াসিন খান। যদিও সেই গোলের আগেই ইয়াসিনের বিরুদ্ধে ফাউলের বাঁশি বাজান রেফারি। তাই ভাল একটি সুযোগ পেয়েও ব্যবধান দ্বিগুণ করতে পারেনি।

সমতায় ফিরতে চেষ্টা করেছে নেপালও। ৬০ মিনিটে বক্সের বাইরে থেকে দুর্দান্ত শট নিয়েছিলেন রোহিত চাঁদ। বারের উপর দিয়ে মাঠের বাইরে চলে যায়। ৮৫ মিনিটে রোহিত চাঁদের হেড করলে তা গোলরক্ষক ফিরিয়ে দেন। অবশ্য তার আগেই অফসাইডের বাঁশি বাঁজান রেফারি। এভাবে দুদল প্রাপণপণ চেষ্টা চালালেও আর গোল হয়নি। শেষ পর্যন্ত রনির একমাত্র গোলেই জয় নিয়ে মাঠ ছাড়ে বাংলাদেশ।


শেয়ার করুন