যে ৫ কাজে বন্ধুত্বে লাগে প্যাঁচ

44153df2ed89f351d40710c8fdffce21-friবন্ধুত্বের বড় বিষয়টি হচ্ছে সুসম্পর্ক ধরে রাখা। বন্ধুর সঙ্গে চলাফেরা বা আচার-ব্যবহারে একটু এদিক-সেদিক হয়েছে তো লেগে যাবে প্যাঁচ। কখনো কখনো তা এমন গিট্‌ঠু লাগাতে পারে, কোনো দিনও আর খুলল না।

আগস্টের প্রথম রোববার বন্ধু দিবস। এই দিবসকে সামনে রেখে কোন পাঁচটি কাজে বন্ধুত্বে বেশি প্যাঁচ লাগে, তা তুলে ধরা হলো:

লজ্জায় ফেলবেন না
বন্ধু তো বন্ধু। সে দেখতে কেমন, তা ভাবনা ঠিক নয়। বন্ধুত্বের সম্পর্ক ভালো হলেও বন্ধুর গায়ের রং বা বর্ণ নিয়ে কখনো খোঁচা দিয়ে কথা বলতে নেই। বন্ধুকে খোঁচা দিয়ে কথা বলার চেয়ে প্রশংসা করলে সম্পর্ক আরও গাঢ় হয়। প্রীতি আর সম্মান বন্ধুত্ব জোরালো করে।

নিরুৎসাহ করবেন না
বন্ধুকে ভালো কাজে যত পারেন উৎসাহ দিন। বন্ধুর অনেক সময় সমর্থন, সাহায্য আর নির্দেশনার প্রয়োজন হতে পারে। বন্ধুর পাশে থাকুন। যদি বন্ধু অনৈতিক বা খারাপ দিকে যেতে থাকে, তবে তাকে বুঝিয়ে বলুন। ভালো কাজে উৎসাহ দিন। বন্ধুর আত্মবিশ্বাস জাগিয়ে তুলুন। বন্ধুর শক্তিকে আবিষ্কার করতে সাহায্য করুন। তবেই ভালো বন্ধু হতে পারবেন।

বন্ধুর গোপন কথা ফাঁস করবেন না
বন্ধুর গোপন কথা অন্য কারও কাছে বলতে নেই। তার দুর্বল জায়গায় খোঁচা দিতেও নেই। বন্ধু হচ্ছে বিশ্বাস আর আস্থার জায়গা। ঘনিষ্ঠ বন্ধু বিশ্বাস করে অনেক গোপন কথা বলতে পারে। কাউকে যেন বিশ্বাসভঙ্গের বেদনায় পুড়তে না হয়।

সুসময়ের বন্ধু হবেন না
কথায় বলে, সুসময়ে অনেকই বন্ধু বটে হয়, অসময়ে হায় হায় কেউ আরও নয়। আপনার বেলায় যেন তা না ঘটে। যদি সুসময়ে বা আপনার দরকারে বন্ধুকে কাছে টানেন, তবে এই মধুর সম্পর্কের প্রতি আপনি অবিচার করবেন। বিপদে বন্ধুর পাশে থাকুন। একসঙ্গে হাসুন, একসঙ্গে বেদনা ভাগাভাগি করুন।

অর্থই অনর্থের মূল
কথায় বলে, কাছের বন্ধুকে টাকা ধার দিতে নেই, তাহলে সম্পর্ক নষ্ট হয়। বন্ধুত্বের সম্পর্কের মধ্যে যদি অর্থের বিষয় যুক্ত থাকে, মনোমালিন্য তৈরি হতে পারে। বন্ধুত্বের মধ্যে যেন বিব্রত ও অস্বস্তিকর অবস্থা চলে না আসে সে বিষয়টি খেয়াল রাখা উচিত। বন্ধুর যদি আর্থিক অবস্থা খারাপ থাকে, তবে তাকে স্বনির্ভর হতে বা ঘুরে দাঁড়াতে সার্বিকভাবে সহযোগিতা করতে পারেন। তথ্যসূত্র: জিনিউজ।


শেয়ার করুন