যুবাদের দাপটে হোয়াইটওয়াশ ওয়েস্ট ইন্ডিজ

gggসিটিএন ডেস্ক:

ঘরের মাঠে অনুষ্ঠেয় যুব বিশ্বকাপের আগে প্রস্তুতিটা দুর্দান্তই হলো বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ ক্রিকেট দলের। তিন ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজে ওয়েস্ট ইন্ডিজ অনূর্ধ্ব-১৯ দলকে হোয়াইটওয়াশ করেছে বাংলাদেশের যুবারা।
প্রথম ‍দুটি ম্যাচ দাপটে জিতে সিরিজ আগেই নিশ্চিত করেছিল বাংলাদেশ। শনিবার চট্টগ্রামের জহুর আহমেদ চৌধুরী স্টেডিয়ামে অনুষ্ঠিত তৃতীয় ও শেষ ম্যাচটি ছিল তাই নিয়মরক্ষার। এমন আবহের ম্যাচেও ১৬ রানে জিতেছে বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-১৯ দল। আগে ব্যাট করতে নেমে সাইফের সেঞ্চুরিতে নির্ধারিত ৫০ ওভারে সাত উইকেটে ২৩৫ রান সংগ্রহ করে বাংলাদেশ। জবাবে এক বল বাকি থাকতে ২১৯ রানে অলআউট ওয়েস্ট ইন্ডিজ। বল হাতে পাঁচ উইকেট নিয়ে সবাইকে চমকে দিয়েছেন সঞ্জিত শাহা।
ছোট টার্গেটে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভালোই ছিল উইন্ডিজ যুবাদের। উদ্বোধনী জুটিতে ইমলাচ ও পোপ তোলেন ৮২ রান। পোপকে বিদায় করে এই জুটি ভাঙ্গেন বাংলাদেশের সাইদ সরকার। তবে যাওয়ার আগে ৪৮ বলে ৫৭ রান করে যান পোপ। এরপর থেকেই বিপর্যয় শুরু। কোন জুটিই বড় রান করতে পারেনি।
দ্বিতীয় সর্বোচ্চ ৪২ রান আসে কার্টির ব্যাট থেকে। ওপেনার ইমলাচ করেন ৩৮ রান। গুলি ২৩ ও জন ১৬ রান করেন। বাকি সবার রান ছিল ১০ এর নিচে। বাংলাদেশের হয়ে বল হাতে দারুণ চমক দেখান সঞ্জিত শাহা। ১০ ওভারে তিন মেডেন, রান দিয়েছেন ২১, উইকেট পেয়েছেন পাঁচটি। এছাড়া হালিম, মেহেদী, সাইদ, আরিফুল একটি করে উইকেট লাভ করেন।
এর আগে টসে জিতে ব্যাট করতে নেমে বাংলাদেশের যুবাদের সূচনাটা খুব ভালো হয়নি। মাত্র ৩৬ রানে দুই উইকেট হারায় স্বাগতিকরা। সাইফ হাসান একপ্রান্ত আগলে রেখে দুর্দান্ত ব্যাটিং করলেও তাকে রেখে জয়রাজ শেখ ও জাকির হাসান ফিরেন সাজঘরে। দুজনের কেউই দুই অঙ্কে পৌঁছতে পারেননি। তবে সাইফ তার ব্যাটিং নৈপুণ্য তখনো অব্যাহত রাখেন।
তাকে কিছুটা সময় সঙ্গ দেয়ার চেষ্টা করলেও পারেননি জাকের আলী। ২৪ রান করে আউট হয়ে যান তিনি। এরপর অধিনায়ক মেহেদি হাসান মিরাজ ফিরে যান রানের খাতা খোলার আগেই। ৮৮ রানে চার উইকেট হারিয়ে তখন রীতিমতো ধুকছিল বাংলাদেশ দল। তবে পঞ্চম উইকেটে সাইফের সঙ্গে ৮৭ রানের জুটি গড়েন সাইফুল হায়েত। সেই সুবাদে বাংলাদেশ লড়াকু ইনিংস গড়ার সুযোগ পায়।
সাইফুল ৬৯ বলে নয়টি চারের মারে ৬১ রান করে আউট হলেও সাইফ অপরাজিত ছিলেন শেষ পর্যন্ত। বাকি ব্যাটসম্যানদের নিয়ে সাত উইকেটে ২৩৫ রানে ইনিংস গড়তে সক্ষম হন তিনি। শেষ পর্যন্ত ১৪৭ বলে ১১ চার ও তিন ছক্কার মারে ১০৭ রানের লড়াকু এক ইনিংস গড়েন সাইফ। ক্যারিবীয় বোলারদের মধ্যে গির্ডন পপ, কিরস্টান কালিচরন ও ওডিয়ান স্মিথ দুটি করে উইকেট নেন।


শেয়ার করুন