সিটিএন ডেস্ক :
মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামা সেই মুসলিম বালককে হোয়াইট হাউজে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন, বাড়িতে তৈরি ঘড়ি স্কুলে নিয়ে যাওয়ার জন্য পুলিশ যাকে গ্রেপ্তার করেছিল।
টেক্সাসের আর্ভিংয়ের নবম শ্রেণির ছাত্র আহমেদ মোহাম্মদ সোমবার তার তৈরি একটি ঘড়ি স্কুলে নিয়ে গেলে সেটি বোমা মনে করে শিক্ষকরা তাকে পুলিশে সোপর্দ করে।
এক টুইটার বার্তায় ওবামা লিখেছেন, ‘ কুল ক্লক, আহমেদ। এটাকে হোয়াইট হাউজে নিয়ে আসতে চাও? আমাদের উচিত তোমার মত শিশুদের বিজ্ঞানকে ভালোবাসতে উৎসাহিত করা। এতেই তো আমেরিকা মহান হবে।’
ফেসবুকের প্রতিষ্ঠাতা মার্ক জুকারবার্গ মোহাম্মদকে ক্যালিফোর্নিয়ায় সামাজিক গণমাধ্যমটির প্রধান কার্যালয়ে আমন্ত্রণ জানিয়েছেন। নাসার বিজ্ঞানী এবং যুক্তরাষ্ট্রের বিশ্বখ্যাত এমআইটির গবেষকরা তার মেধার প্রশংসা করে তাকে নিয়ে ঘুরতে যাওয়ার আগ্রহ দেখিয়েছেন।
ওবামা ও জুকারবার্গের আমন্ত্রণের খবর জানতে পেরে উল্লাস প্রকাশ করেছে মোহাম্মদ।
বুধবার বাড়ির বাইরে এক সংবাদ সম্মেলনে মোহাম্মদ স্মিতহাস্যে বলেছে, ‘আমিই সেই লোক যে একটি ঘড়ি তৈরি করেছি এবং এজন্য আমাকে যথেষ্ট দুর্ভোগ পোহাতে হয়েছে।’
সে ভবিষ্যতে এমআইটিতে পড়ার আগ্রহ ব্যক্ত করেছে।
স্কুলের একটি বিজ্ঞান প্রকল্পের জন্য ১৪ বছর বয়সী শিশুটিকে কর্তৃপক্ষ গ্রেপ্তার করার পর হাজার হাজার লোক সামাজিক গণমাধ্যমে এর তীব্র নিন্দা জানায়। এটি যুক্তরাষ্ট্রের জাতীয় সংবাদে পরিণত হয়।
টুইটারে তার সমর্থনে একটি হ্যাশট্যাগে ৫ লাখ লোক সমর্থন দিয়েছে।
পুলিশ বলছে, মোহাম্মদের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ দায়ের করা হবে না। কিন্তু সে সাংবাদিকদের জানিয়েছে যে বৃহস্পতিবার পর্যন্ত তাকে স্কুল থেকে বরখাস্ত করা হয়েছে।
অনেকেই বলছেন, মুসলিম হওয়ার কারণেই মোহাম্মদকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যুক্তরাষ্ট্রের বৃহত্তম মুসলিম সংগঠনও একই কথা বলছে।
কাউন্সিল অন আমেরিকান-ইসলামিক রিলেশন্স (কেয়ার) এর মুখপাত্র ইব্রাহীম হুপার আলজাজিরাকে বলেন, স্কুল ছাত্রটির এই গ্রেপ্তারে তার ধর্ম ‘অবশ্যম্ভাবী’ ভূমিকা রেখেছে।
‘আমরা বিশ্বাস করি ছাত্রটি মুসলিম না হলে তাকে গ্রেপ্তার করা হতো না…এটা ক্রমবর্ধমান ইসলামভীতির একটি লক্ষণ যে বিজ্ঞান প্রকল্পের জন্য ১৪ বছর বয়সী একটি শিশুকে হাতকড়া পরিয়ে টেনেহিঁচড়ে নিয়ে যাওয়া হয়েছে,’ বলছিলেন হুপার।
সুদানি বংশোদ্ভূত শিশুটি জন্য আমেরিকার বহু বিশিষ্ট নাগরিকও সমর্থন জানিয়েছেন।
সূত্র: আলজাজিরা