যাত্রাবাড়ীতে বাসে পেট্রোলবোমা, দগ্ধ ২৯

ঘটনার পর দগ্ধ ব্যক্তিদের ঢামেকে নেওয়া হলে এক হৃদয়বিদারক দৃশ্যের অবতারণা হয়। আহত ব্যক্তিদের কারও মুখ, কারও হাত, কারও পা পুড়েছে। কারও নাক-মুখ থেঁতলে রক্ত গড়িয়ে পড়ছে। তীব্র যন্ত্রণা আর ব্যথায় ছটফট করছিলেন অনেকেই। খবর পেয়ে ছুটে আসেন স্বজনেরা। কান্নাজড়িত কণ্ঠে তাদের তীব্র ক্ষোভ দেখেছেন উপস্থিত সংবাদকর্মীরা।

রাত পৌনে ১২টার দিকে সংবাদ সম্মেলনে ঢামেকের বার্ন ইউনিটের প্রফেসর সাজ্জাত খন্দকার বলেন, যাত্রাবাড়ীর ঘটনায় এখন পর্যন্ত ২৯ জন অগ্নিদগ্ধ হয়ে ঢামেকে চিকিৎসা নিচ্ছেন। এর মধ্যে ৯ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের শ্বাসনালী দগ্ধ হয়েছে। এছাড়া বাকি ২০ জনের শরীরের ২০ থেকে ৬০ শতাংশ দগ্ধ হয়েছে। তাড়াহুড়ো করে বাস থেকে বের হতে গিয়ে অনেকের হাত পা ভেঙ্গে গেছে। অনেকের চিকিৎসার জন্য দ্রুত রক্তের প্রয়োজন। অনেকের অবস্থা গুরুতর। তাদের নিবিড় পরিচর্যা কেন্দ্রে (আইসিইউ) নিতে হবে। সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন বার্ন ইউনিটের প্রতিষ্ঠাতা প্রফেসর সামন্ত লাল সেন।

দগ্ধরা হলেন- জয়নাল আবেদীন, ইসতিয়াক মো. বাবর, সালাউদ্দিন পলাশ, সালমান, নাজমুল হোসেন, মো. শরীফ, মো. রাশেদ, শাহিদা আক্তার, তার স্বামী ইয়াসির আরাফাত, সালাউদ্দিন, মোশারফ হোসেন, মো. হৃদয়, ওসমান গনি, মোহাম্মদ খোকন, মো. মোমেন, মো. হারিছ, নূর আলম, মো. ফারুক হোসেন, মো. সুমন, মো. রুবেল, আবুল হোসেন, শাজাহান সর্দার, মোজাফ্ফর মোল্লা, জাবেদ আলী, শহীদুল ইসলাম, রফিকুল ইসলাম ও তানভির। ককটেল বিস্ফোরণে আহতরা হলেন তাকবিরুল ইসলাম, আফরোজা আক্তার।

যাত্রাবাড়ী থানার ডিউটি অফিসর মো. শাজাহান দ্য রিপোর্টকে বলেন, গ্লোরী পরিবহনের গাড়িটি গুলিস্তান থেকে নারায়ণগঞ্জ যাতায়াত করে। শুক্রবার রাতে গাড়িটি ডেমরা রোডের কাঠের পুল এলাকায় পৌঁছলে দুর্বৃত্তরা পেট্রোলবোমা ছুড়ে মারলে সঙ্গে সঙ্গে গাড়িটিতে আগুন ধরে যায়। এতে দগ্ধ হন ২৯ জন যাত্রী। এছাড়া আহত হয়েছেন দুজন। দগ্ধ ও আহতদের ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।


শেয়ার করুন