মিয়ানমারে প্রবল বন্যায় নিহত ২৭

115576_1সিটিএন ডেস্ক:

মিয়ানমারে মৌসুমী বৃষ্টিপাতে সৃষ্ট প্রবল বন্যায় ২৭ জনের মৃত্যু হয়েছে। বন্যায় দেশটির বহু বাড়িঘর পানিতে ডুবে গেছে এবং বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে।

শুক্রবার দেশটির দুর্যোগ ও ত্রাণ কর্মকর্তা আরো ভারী বৃষ্টিপাত হতে পারে বলে সতর্ক করেছেন।

কয়েক সপ্তাহের টানা বৃষ্টিপাতে মিয়ানমারের উত্তর ও পশ্চিমাঞ্চলের বিস্তীর্ণ এলাকা প্লাবিত হয়েছে। এতে প্রত্যন্ত গ্রামগুলোর বাসিন্দারা পানিবন্দি হয়ে পড়েছে।

শুক্রবার রাষ্ট্র পরিচালিত গ্লোবাল নিউ লাইট অব মিয়ানমার-এ প্রকাশিত খবরে বলা হয়, অব্যাহতভাবে পানি বাড়ায় ভূমিধসের কারণে বহু রাস্তাঘাট, রেলপথ, সেতু ও বাড়িঘর ধ্বংস হয়েছে।

মিয়ানমারের সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়ের ত্রাণ ও পুনর্বাসন বিভাগের পরিচালক চুমহ্রি বার্তা সংস্থা এএফপিকে বলেন, ‘বৃহস্পতিবার প্রাকৃতিক এই দুর্যোগে ২৭ জন মারা গেছে। এছাড়া মান্দালয় অঞ্চলে আরো ৪ জন নিখোঁজ রয়েছে।’

তিনি আরো বলেন, বন্যায় প্রায় দেড় লাখ লোক গৃহহীন হয়ে পড়েছে অথবা তাদের জীবন জীবিকা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। প্রাকৃতিক এই দুর্যোগটিতে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মিয়ানমারের উত্তরাঞ্চলীয় সাগাইং অঞ্চলের কালাই এবং পশ্চিমাঞ্চলীয় রাখাইন অঞ্চলের রাজধানী সিতউই। কর্তৃপক্ষ এই অঞ্চলগুলোর বাসিন্দাদের নিরাপদ স্থানে চলে যাবার নির্দেশ দিয়েছে। এসব নগরীতে সকল ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

রাখাইনে ইতোমধ্যেই ১ লাখ ৪০ হাজার লোক গৃহহীন অবস্থায় রয়েছে। এদের অধিকাংশই রোহিঙ্গা মুসলিম। তিন বছর আগে সাম্প্রদায়িক সহিংসতার পর এরা উপকূলবর্তী অস্থায়ী শিবিরগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে। সিতউইর উপকণ্ঠে অবস্থিত বুমাই গ্রামের এক বাসিন্দা বলেন, বৃহস্পতিবারের ঝড়ের পর বন্যায় পার্শ্ববর্তী কয়েকটি আশ্রয় শিবিরের নবনির্মিত বাড়ি প্লাবিত হয়েছে।

তিনি বলেন, ‘মানুষকে প্রাণ নিয়ে পালাতে হয়েছে। অনেকে এখন থেচাউং ও বুমেই গ্রামের স্কুলগুলোতে আশ্রয় নিয়েছে।’

বৃহস্পতিবার জাতিসংঘের মানবিক সহায়তা প্রকল্পের এক কর্মকর্তা জানান, ‘বন্যায় আরো মানুষ ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে। রাখাইন রাজ্যের কোন কোন স্থানে আগামী কয়েকদিনে শক্তিশালী বাতাস বইতে পারে।’

উদ্ধার ও ত্রাণ তৎপরতায় স্থানীয় সাহায্যকারী সংস্থাগুলোর সঙ্গে সৈন্যরাও কাজ করছে বলে জানায় জাতিসংঘ।


শেয়ার করুন